আনজেনের যুদ্ধ ৮৩৮ সালের ২২শে জুলাই বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এবং আব্বাসীয় খিলাফতের মধ্যে আনজেন বা দাজিমনে যা বর্তমান তুরস্কের দাজমানায় নামে পরিচিত,সেখানে সংঘটিত হয়। পূর্বের বছরের সম্রাট থিওফিলোসের অভিযানের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে আব্বাসীয়রা দুইটি পৃথক বাহিনী নিয়ে সেসময় ব্যাপক অভিযান চালায়। অন্যতম বৃহৎ বাইজেন্টাইন শহর আমোরিয়াম ছিল আব্বাসীয়দের মূল লক্ষ্যবস্তু। সম্রাট থিওফিলোস তার বাহিনী নিয়ে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। মুসলিম বাহিনীর প্রধান ছিলেন ইরানের আঞ্চলিক শাসক আফশিন।প্রথমদিকে সংখ্যাধিক বাইজেন্টাইন বাহিনী সফলতা লাভ করলেও থিওফিলোস ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ পরিচালনা করা থেকে বিরত হওয়ার পর বাইজেন্টাইন সৈনিকরা তার মৃত্যুর কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আফশিনের তুর্কি অশ্বারোহী তীরন্দাজরা প্রবল আক্রমণ চালানোর পর বাইজেন্টাইনরা পালিয়ে যায়। থিওফিলোস এবং রক্ষীরা পালানোর পূর্বে একটি পাহাড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সেই পরাজয়ের ফলে কয়েক সপ্তাহ পরে আমোরিয়ামে অভিযানের পথ উন্মুক্ত হয়।
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য
পোস্টের খাতিরে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু দিয়ে দিলাম । বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য অথবা বাইজান্টিয়াম শব্দটি ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে মধ্যযুগীয় গ্রিকভাষী রোমানদের দ্বারা পরিচালিত সাম্রাজ্যের সাধারণ নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই সুবিশাল সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল রাজধানী কন্সটান্টিনোপলকে কেন্দ্র করে। এই সাম্রাজ্যের অপর নাম হচ্ছে পূর্বাঞ্চলীয় রোমান সাম্রাজ্য যদিও পশ্চিমাঞ্চলীয় রোমান সম্রাজ্যের পতনের পরবর্তি যুগকে বিবেচনা করলেই কেবল এই নামটি কার্যকারিতা লাভ করে। যখন এই সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল তখন অনেকেই একে গ্রিকদের সাম্রাজ্য নামে অভিহিত করতো কারণ এ অঞ্চলে গ্রিক আধিপত্যই সবচেয়ে প্রকট রূপ ধারণ করেছিল। একই সাথে সেখানে গ্রিক সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, জনগোষ্ঠী এবং মধ্যযুগীয় গ্রিক প্রথার বিস্তার ঘটেছিল। মোদ্দা কথা সাম্রাজ্যটিকে নির্দ্বিধায় রোমান সম্রাজ্য নামে অভিহিত করা যায় এবং এর সম্রাটদেরকে প্রাচীন রোমান সম্রাটদেরই অবিচ্ছিন্ন উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইসলামী বিশ্বে এই সাম্রাজ্য প্রাথমিকভাবে রূম নামে পরিচিত ছিল, মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনে একে এই নামেই উল্লেখ করা হয়েছে।ঠিক কবে এই সাম্রাজ্যের যাত্রা শুরু হয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়, কারণ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও এ নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। অনেকের মতে রোমান সম্রাট প্রথম কন্সট্যান্টাইন ছিলেন প্রথম বাইজেন্টাইন সম্রাট। সম্রাট কনস্টান্টিনই ৩৩০ সালে রোম থেকে তার রাজধানী বাইজান্টিয়ামে সরিয়ে আনেন এবং এই শহরকে কন্সটান্টিনোপল নামে পুনর্গঠিত করেন যাকে অনেকেই নতুন রোম নামে অভিহিত করে থাকেন।
আব্বাসীয় খিলাফত হল ইসলামী খিলাফতগুলোর মধ্যে তৃতীয় খিলাফত। এটি আব্বাসীয় বংশ কর্তৃক শাসিত হয়। বাগদাদ এই খিলাফতের রাজধানী ছিল। উমাইয়া খিলাফতকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে আন্দালুসে উমাইয়া খিলাফত উৎখাত করা যায়নি।আব্বাসীয় খিলাফত নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর চাচা আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের বংশধরদের কর্তৃক ৭৫০ সালে কুফায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭৬২ সালে বাগদাদে রাজধানী স্থানান্তরিত করা হয়। পারস্যে ১৫০ বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করার পর খলিফাকে প্রধান কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়ে স্থানীয় আমিরদের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চাপ দেওয়া হয়। খিলাফতকে তার পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ আন্দালুস, মাগরেব এবং ইফ্রিকিয়া যথাক্রমে একজন উমাইয়া যুবরাজ, আগলাবি ও ফাতেমীয় খিলাফতের কাছে হারাতে হয়।
মোঙ্গল নেতা হালাকু খানের বাগদাদ দখলের পর ১২৫৮ সালে আব্বাসীয় খিলাফত বিলুপ্ত হয়। মামলুক শাসিত মিশরে অবস্থান করে তারা ১৫১৯ সাল পর্যন্ত ধর্মীয় ব্যাপারে কর্তৃত্ব দাবি করতে থাকেন। এরপর উসমানীয় সাম্রাজ্যের কাছে ক্ষমতা চলে যায় এবং কনস্টান্টিনোপলে রাজধানী স্থাপিত হয়। এ নিয়ে বিস্তারিত পরে পোস্টে আরো আলোচনা করবো ।
৮২৯ সালে থিওফিলোস সিংহাসনে বসেন। তিনি উচ্চাভিলাষী ছিলেন এবং আব্বাসীয়দের বিরুদ্ধে সামরিক সফলতা অর্জন করেন নিজ শাসনকে শক্তিশালী করতে এবং তার ধর্মীয় নীতির প্রতি সমর্থন আদায় করতে চেয়েছিলেন। ৮৩০ এর দশকজুড়ে থিওফিলোস খিলাফতের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। সেসকল অভিযান আংশিকভাবে সফল হলেও থিওফিলোস রোমান কায়দায় বিজয়ী সম্রাট হিসেবে পরিচিতি লাভের জন্য যথেষ্ট ছিল।৮৩৭ সালে থিওফিলোস ব্যক্তিগতভাবে ফোরাত নদী অঞ্চলে একটি বড় অভিযানে নেতৃত্ব দেন। সেসময় আরসামোসাতা এবং সাজোপেত্রা শহর ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তাছাড়াও মালাতিয়া শহরের নিরাপত্তার বিনিময়ে কর প্রদান এবং জিম্মি প্রেরণের জন্য বাধ্য করা হয়।সে কারণে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে খলিফা আল মুতাসিম মধ্য আনাতোলিয়ার দুটি প্রধান বাইজেন্টাইন শহর আনকাইরা এবং আমোরিয়াম দখলের জন্য বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। ধারণা করা হয় যে দ্বিতীয় শহরটি তৎকালীন আনাতোলিয়ার সর্ববৃহৎ শহর ছিল। প্রাচীন বিবরণ অনুযায়ী আল মুতাসিমের সৈনিকরা তাদের ঢাল ও ব্যানারে আমোরিয়াম শব্দটি উৎকীর্ণ করে রেখেছিল। একটি বড় বাহিনী তারসুস শহরে জড়ো হয় একে পরে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তরের বাহিনী ছিল ইরানি আঞ্চলিক শাসক আফশিনের অধীনে। তাকে মালাতিয়ার আমির উমর আল আকতার সাথে যোগ দিয়ে মালাতিয়া অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়াক থিমে আক্রমণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। দক্ষিণের বাহিনীকে খলিফা নিজে নেতৃত্ব দেন। তারা সিলিসিয়ান গিরিপথ দিয়ে কাপাডোকিয়া হয়ে আনকাইরা যাত্রার পরিকল্পনা করে। সেই শহর অধিকার করার আরব বাহিনীগুলি একত্রিত হয়ে আমোরিয়াম আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল। একাদশ শতাব্দীর গ্রীক ইতিহাসবিদ জন স্কাইলিটজেসের বর্ণনা অনুযায়ী আফশিনের বাহিনীতে আর্মেনীয় রাজাদের পুরো সেনাবাহিনী অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তাদের সংখ্যা ছিল ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ যাদের মধ্যে ১০,০০০ ছিল তুর্কি অশ্বারোহী তীরন্দাজ।এদিকে সম্রাট থিওফিলোস খলিফা আল মুতাসিমের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং জুনের শুরুর দিকে কনস্টান্টিনোপল থেকে যাত্রা শুরু করেন। বাইজেন্টাইনরা ডোরিলাইয়ামে শিবির স্থাপন করে। এখানে বাইজেন্টাইন বাহিনীকে বিভক্ত করা হয়। আমোরিয়ামের সুরক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী বাহিনী প্রেরণ করা হয় এবং সম্রাট নিজে বাকি ২৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ সৈনিক নিয়ে সামনে অগ্রসর হন।
আংকারা হল তুরস্কের রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ইস্তানবুলর পরেই । আংকারা শহরের এর গড় উচ্চতার হচ্ছে ৯৩৮ মিটার (৩,০৭৭ ফিট) , এবং ২০১০ এর হিসাবে সম্পূর্ণ আঙ্কারা প্রদেশ মহানগর এলাকায় ৪.৪ মিলিয়ন এর জনসংখ্যা রয়েছে । আনাতোলিয়া মধ্যে কেন্দ্রিয় অবস্থিত, আঙ্কারা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এবং শিল্প শহর। আংকারাতে তুর্কি সরকারের কেন্দ্র, এবং সমস্ত বিদেশী দূতাবাস অবস্থিত । এটি একটি ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও জনপদ , তুরস্ক এর হাইওয়ে এবং রেলপথ নেটওয়ার্কের কেন্দ্রে সঠিক অবস্থিত, এবং পার্শ্ববর্তী কৃষি - এলাকা জন্য বিপণন কেন্দ্র স্থল। আংকারা শহর দীর্ঘ লোমবিশিষ্ট ছাগলের জন্য বিখ্যাত ছিল যা অ্যাঙ্গোরা ছাগল নামে পরিচিত । তাছারা এটি দীর্ঘ লোমবিশিষ্ট বিড়াল বা খরগোস এবং নাসপতি , মধু , আঙ্গুরের জন্য বিখ্যাত ।
আঙ্কারা ঐতিহাসিক কেন্দ্র শিলাময় পর্বতের উপর অবস্থিত , যা আঙ্কারা Çayı, Sakarya (Sangarius) নদীর একটি উপনদী তীরে বাঁদিকে অবস্থিত উপর ১৫০ মিটার (৪৯২ ফুট) সমভূমির উপর অবস্থিত.
বাইজেন্টাইন যুগে কনস্টান্টিনোপল
যুদ্ধ বিবরনঃ
জুনের মধ্যভাগে আফশিন তোরোসের বিপরীত পর্বতমালা অতিক্রম করে দাজিমনের দুর্গে শিবির স্থাপন করেন। এর অবস্থান ছিল আমাসেইয়া এবং তোকাতের মধ্যবর্তী স্থানে ও এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কয়েকদিন পরে ১৯শে জুন আব্বাসীয় বাহিনীর একটি অগ্রবর্তী দল বাইজেন্টাইন অঞ্চলে আক্রমণ চালায় এবং এর দুইদিন পরে খলিফা মূল বাহিনী নিয়ে যোগ দেন। মধ্য জুলাইয়ে থিওফিলোস এই সংক্রান্ত খবর পান। আফশিনের বাহিনী আকারে ছোট ছিল এবং সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঝুকি ছিল। সেসময় থিওফিলোস খলিফার বাহিনীর সাথে মোকাবেলা করার জন্য একটি ক্ষুদ্র সেনাদল রেখে আফশিনের সাথে লড়াইয়ের জন্য পূর্ব দিকে অগ্রসর হন। ২১শে জুলাই বাইজেন্টাইনরা আরব বাহিনীর দেখা পায় এবং দাজিমন দুর্গের দক্ষিণে পাহাড়ে শিবির স্থাপন করে।
থিওফিলোসের প্রধান কমান্ডার থিওফোবোস ও ম্যানুয়েল উভয়ে রাতের বেলা ঝটিকা আক্রমণের পরামর্শ প্রদান করলেও সম্রাট অন্য অফিসারদের প্রস্তাবে সায় দেন এবং পরের দিন আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। বাইজেন্টাইনরা ভোরে আক্রমণ করে এবং প্রাথমিকভাবে সফলতা লাভ করে। আরব বাহিনীর একটি পার্শ্বভাগ ব্যাপক আক্রান্ত হয় এবং আরবদের পক্ষে ৩,০০০ জন হতাহত হয়। দুপুরের দিকে থিওফিলোস অন্য পার্শ্বভাগে আক্রমণের জন্য ২,০০০ বাইজেন্টাইন ও কুর্দিকে প্রেরণ করেন এবং নিজ অবস্থান ত্যাগ করে বাহিনীর পেছনে অবস্থান নেন। এসময় আফশিন তার তুর্কি অশ্বারোহী-তীরন্দাজদের মাঠে নামান। তাদের মারাত্মক আক্রমণের ফলে বাইজেন্টাইনরা বাঁধা পায় এবং আরবরা সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়। এসময় বাইজেন্টাইনরা সম্রাটের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং তার মৃত্যুর কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ফলে দ্রুত সেনারা পিছু হটতে থাকে।তার ফলে থিওফিলোস তার বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। আরবরা পাহাড় ঘিরে ফেলার জন্য অগ্রসর হয় কিন্তু আকস্মিক বৃষ্টিপাতের ফলে বাইজেন্টাইনরা বেঁচে যায়। আফশিন এরপর আক্রমণের জন্য ক্যাটাপুল্ট প্রেরণ করেন।এসময় থিওফিলোসের অফিসাররা পিছু হটার পরামর্শ দেন এবং থিওফিলোস তার ক্ষুদ্র দল নিয়ে চিলিওকোমোন পৌছায়। এখানে তিনি সেনাবাহিনীর বাকি অংশকে সংগঠিত করতে থাকেন।
যুদ্ধের ফলাফল
পরাজয় এবং মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার ফলে থিওফিলোসের অবস্থান বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। তিনি অভিযান ত্যাগ করে ডোরিলাইয়ামে পিছু হটেন এবং এখান থেকে দ্রুত রাজধানী রওয়ানা হন। আনকাইরা শহরও ত্যাগ করা হয় এবং ২৭শে জুলাই আরবরা এখানে আক্রমণ করে।এরপর সম্মিলিত আব্বাসীয় বাহিনী আমোরিয়ামের দিকে অগ্রসর হয়। দুই সপ্তাহ অবরোধের পর শহরের পতন ঘটে। ৯ম শতাব্দীতে বাইজেন্টাইনদের আক্রমণের মধ্যে শহরের পতন অন্যতম মারাত্মক ঘটনা ছিল। অন্যদিকে বিদ্রোহের খবর পাওয়ার ফলে খলিফা আল-মুতাসিমও আর সামনে অগ্রসর হননি।একই সময়ে থিওফিলোসকেও থিওফোবোস এবং তার কুর্দিদের বিদ্রোহের মোকাবেলা করতে হয়। থিওফিলোসের মৃত্যুর খবর রাজধানীতে পৌছানোর পর কেউ কেউ নতুন সম্রাট হিসেবে থিওফিলোসের নাম প্রস্তাব করে। রাজধানীতে ফেরার পর থিওফিলোস তাকে তলব করেন কিন্তু শাস্তির ভয়ে থিওফোবোস তার অনুগত কুর্দিদের নিয়ে সিনোপে পালিয়ে যান এবং সেখানে নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করেন।পরের বছর থিওফোবোস শান্তিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬