somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বড় অদ্ভুত পথিবীর কিছু সীমান্ত

১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একটা সীমানা রেখায় ভাগ হয়ে যায় দুটো দেশ। এই তো মনে হয় সেদিনও একসঙ্গেই ছিলো ভারত ওপাকিস্তান এবং আমাদের বাংলাদেশ। একটি সময় সীমানার মাঝে একটা রেখা টেনে ভাগ হয়ে গেল সব কিছু। সীমান্ত মানেই কাঁটাতার। সীমান্ত মানেই এবং প্রান্তে কিছু না দেখা যাওয়া দুটো দেওয়াল। কিন্তু এমনও কিছু সীমান্ত রেখা আছে যাটে দুটো দেশকে আলাদা করে দিয়েছে বড় অদ্ভুতভাবে। কখনো বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েছে সীমানা রেখা কোথাও আবার ছোট একটা জলাশয়ের এদিক ওদিক হয়ে গেছে দুটো দেশ। আবার পৃথিবীতে এখনো এমন কিছু সীমান্ত আছে যেখানে নেই কোনো কাঁটাতার বা নেই কোন বেড়া । নেই কোন সীমান্তরক্ষীও। কোথাও কোথাও নদী বিভক্ত করেছে একাধিক দেশকে আবার কোথাও শুধু কাগজে কলমে আছে বিভক্তকারী রেখা। কখনো আবার সীমান্তের এপারে ওপারে দাঁড়িয়ে খেলা যায় দুই দেশের সীমানয়। কখনো এক সঙ্গে বসেই আবার কেহ চা পান করছেন । কিন্তু দুজনই বসে আছেন ভিন্ন ভিন্ন দেশে! কখনো কখনো এক পা একদেশে আবার অন্য পা আরেক দেশে । অবাক করা এমন অনেক সীমান্ত আছে এ বিশ্বজুড়ে।
তেমনি উপরে যে ছবিটি দেখছেন সেটা হলো ঘরের মাঝ বরাবর বয়ে গেছে দুদেশের সী মান্ত রেখা। বাচ্চা কোলে নিয়ে স্ত্রী বসে আছেন আমেরিকায় আর অদূরেই সোফায় গা এলিয়ে মেক্সিকোতে বসে আছেন স্বামী।


উপরের দুই নম্বর ছবিটাতে যে জায়গাটি দেখছেন তা দুপাশ থেকে ঘণ গাছে ভরা বনটি চলতে চলতে মুখোমুখি এসে হঠাৎ যেনো থেমে গেছে। মাঝখানে তাদের সম্মানসূচক দূরত্ব। এ দূরত্ব রেখাটিই হলো সুইডেন এবং নরওয়ের সীমান্ত রেখা। এর বাম পাশে সুইডেন ও ডান পাশে নরওয়ে।


উপরে যে বাড়িটির দৃশ্য দেখছেন সেটা হলো বাড়িটির মাঝ বরাবর পড়েছে দুটি দেশেরই সীমান্ত। সাদা চুনকাম করা অংশটি পড়েছে বসনিয়াতে আর বাদামি অংশটি ক্রোয়েশিয়াতে। বাড়িটিতে বসবাসকারীরা একই সঙ্গে তারা দুই দেশেই বসবাস করছেন।


উপরের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে পাড়ার ছেলেরা বেশ মজা করে ভলিবল খেলা জমিয়ে তুলেছেন। আর তাদের ভলিবল কোটের মাঝখানে যে নেট টানানো আছে সেটি কিন্তু দুটি দেশের সীমান্ত বরাবর। বাম পাশে আমেরিকা আর ডান পাশে মেক্সিকো। বল বেচারা একবার আমেরিকা যায় পরক্ষণেই আবার তাকে মেক্সিকোতে ছুটতে হয়।


উপরে ঘরের যে চেয়ারগুলোর পাশে NL লেখা অংশটি নেদারল্যান্ডসের। মাঝখানে + চিহ্ন বয়ে গেছে সীমানা। তার ওপাশে B লেখা অংশটি বেলজিয়ামের।


উপর থেকে দেখা যাচ্ছে বিস্তৃত মাঠে বিশাল আকৃতির দুটি মাছের চিত্র। মাছ দুটিকে মাঝ বরাবর বিদ্ধ করেছে একটি রেখা। এই রেখাটি হলো পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সীমান্ত রেখা। রেখার বাম পাশে পোল্যান্ড ও ডান পাশে ইউক্রেন।


উপরে সেতুটির বাম পাশে সৌদি আরব আর ডান পাশেই অবস্থিত বাহরাইন। নীল কাচের মতো স্বচ্ছ পানির বুক চিরে এঁকে বেঁকে চলে যাওয়া সেতুটি দুই দেশের সীমান্ত রেখা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।


উপরে ছবির দুটি নদীর ত্রিমোহীনিতে মিলেছে তিনটি দেশের সীমান্ত। নদীর বাঁয়ে আর্জেন্টিনা ও ডানে প্যারাগুয়ে আর মধ্যভাগে ব্রাজিল।


রাস্তাটির মাঝ বরাবর সাদা কালিতে লেখা দুই দেশের সীমান্তের কথা। এক ব্যক্তি মজার ভঙ্গিতে দুদেশের সীমান্তে পা রেখেছেন। তার ডান পা সুইডেনে আর বাম পা নরওয়েতে।


স্পেন এবং পর্তুগালের মাঝ বরাবর বয়ে গেছে একটি ছোট্ট নদী। এ নদীটিই দু দেশের মধ্যে সীমান্ত রেখা। মজার ব্যাপার হলো ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই একটি দড়িতে ঝুলে এক দেশ থেকে অন্যদেশে যাতায়াত করতে পারেন নাগরিকরা। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি দড়িতে ঝুলে স্পেন থেকে পর্তুগালে পাড়ি দিচ্ছেন।
ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×