নিজে জ্বলে,
অপরকে জ্বালায়,
দৃষ্টিকে ধোকা দিয়ে,
ধোঁয়া হয়ে মুহূর্তে পালায়।
ফুসফুসে বাসা বাঁধে নিকোটিন
কলজেয় ব্যধি বাড়ে সুকঠিন
পলে পলে দেহ হয়ে আসে লীন
প্রাণ বায়ু কমে আসে দিনদিন।
ক্রমে ক্রমে বাড়ে ভালোবাসা
গাঢ়তর হয়ে আসে নেশা
পথ হারিয়ে, পথের দিশা
খুঁজে ফেরে বুকের হতাশা।
এ হলো কবিতার ভাষা।
যখন আমি গদ্যের চাষা,
ছন্দের দাস আমি নই।
সাবলীল যা খুশি কই।
সিগারেটে বিষ আছে বলি
নয়তো দেয়ালে লিখে চলি
দেয়াল লিখন, তবু ধূমপায়ী
চলে আপন খেয়াল অনুযায়ী।
নিতিদিন টানে সিগারেট
ভাবেও না বুকে তার জমছে নিরেট
বিষকণা, অপরের নিঃশ্বাসে ঢোকে
বিনা দোষে হৃদরোগে মারে ধুকে ধুকে।
কখনও কি সিগারেট হবে অবসান
জীবনের তরে শেষ হবে ধূমপান
উদ্বেগে সারাক্ষণ জিজ্ঞাসে প্রাণ
কার দোষে, কার পাপে আমার সন্তান
বিনা দোষে কখন যে হয় বলিদান।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮