কবিতা আমি কোনো দিনও পছন্দ করি না, তবুও
ওলিও ড্রিম হ্যাভেনের এগারো তলার ছাদে যেদিন
প্রথম জিহ্বা পুড়লো, গলা জ্বলে গেলো, সেদিন-ই
আমার মনে হলো, প্রতিটি মানুষ কবিতা লেখে…
বস্তুত প্রতিটি মাতাল এক একজন জীবনানন্দ দাশ!
নাকি কবিরাই শুধু মাতাল হয়ে যায়? এক ইরানি
কবি বলেছিলেন, “এতো সরাব পান করবো যে,
পান করতে করতে মারা যাবো। যেখানে আমার কবর
হবে সেখানে এতো সুন্দর মদের ঘ্রাণ ছড়াবে, মানুষ
কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে মদের ঘ্রাণে লুটিয়ে
পড়বে এক একজন।” মূলত কিছু কিছু কবিতা রেড
লেভেলের চেয়েও আরো বেশি ভয়াবহ উত্তেজক!
অবশ্য কবিরা নিজেরাও বড় বেশি দাহ্য পদার্থ
যেইখানটা ভালোবাসে, পুড়ে ছাড়খার করে দিতে
দ্বিধাবোধ করে না, আর যেটা ভালোবাসে না, সেটাও।
মূলত সবকিছু পুড়ে ছাড়খার করে দেওয়ার জন্যই
কবিরা পৃথিবীতে আসে। মায়াকোভস্কি যেদিন
আত্মহত্যা করলো, শেলী যেদিন ডুবে মারা গেলো,
কিংবা জীবনানন্দ দাশ--যেদিন ট্রামের নিচে পড়ে
হাসপাতালে গেলেন, সেদিন পুড়লো লাবণ্য দাশের
সংসার। প্রতিটি রেড লেভেল কবিতার জঠরে শোয়ে
থাকে এক একজন পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া লাবণ্য দাশ!
কবিরা বড্ড বেশি পোড়ায়, কিংবা পুড়ে ছাই হয়ে যায়…
৪ অক্টোবর, '১৬। কার্তিকের দুপুর।
চট্টগ্রাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৩