আমাদের প্রেমিকারা যে যার বয়সের সমান
দূরত্ব পার হয়ে গেলে সকরুণ সুরে দুটো
ডাহুক ডেকে উঠে, আমাদের ক্লান্তি বোধ হয়…
একরাশ নীলাভ বেদনা নিয়ে এই ষোলশহর
স্টেশনে উড়ে আসে কিছু চৈতালি মেঘ,
সম্ভ্রমহীন আধা-কালো মেঘগুলো ধুব-ধাব
করে দৌড়াদৌড়ি করে, এ’গাছ; ও’গাছের
ডাল ভেঙে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়, চায়ের
কাপে এসে বসে, মানুষের মনে হয়, আজকের
চা-টায় বেশ একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব…
মানুষের মনের প্রগাঢ় বেদনাগুলো খিড়কি
খুলে উঁকিবুকি দেয়, চাচামিয়া’র দোকান
থেকে যার যার নিজের সিগারেটটা ঠিক
ঠিক এসে যায়, বেনসন লাইট; গোল্ডলিফ
সুইচ; ডার্বি। সিগারেট থেকে বেদনাগুলো
উড়ে উড়ে গিয়ে মেঘেদের গায়ে মিশে…
নৈনিতাল থেকে উড়ে আসা আলাভোলা
মেঘটার হঠাৎ দক্ষ রাজকন্যার কথা মনে
পড়ে, সতীর আত্মহুতির কথা মনে পড়ে,
একান্ন খন্ড দেহের এক খন্ড কি উড়ে এসে
এইখানে, ষোলশহর স্টেশনে পড়েছিলো?
আলাভোলা শিব বহুজন্ম আগের কথা
মনে করতে পারে না। স্টেশনের এ’মাথা
ও’মাথা ধুব-ধাব পায়চারি করতে থাকে…
মানুষের প্রেমিকাগুলো মাঝেমধ্যে হাঁপাতে
হাঁপাতে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠে যায়…
৩১ মার্চ, ১৮। চৈত্রের রাত।
রহমান নগর, চট্টগ্রাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩