একজন মুসলমান যিনি তার জন্য আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সবার বড়) বলার পর অন্য কিছুকে বড় মনে করা ( যেমন- মা বাবা পরিবার সমাজ দেশ বা পৃথিবীর ক্ষমতাধর কেউ) মানে ভন্ডামী করা। কে বড় দেশ না ধর্ম এ প্রশ্ন করার অর্থ ধর্ম আর দেশের মধ্যে একটা বিতর্ক তৈরি করার মাধ্যমে ফয়দা হাসিল করা। দেশ আমার জন্মস্থান। আমার রুট। আর ধর্ম আমার বিশ্বাস। যখন আমি বিশ্বাস করলাম আমার রব সবার থেকে বড়। তখনতো আমার বিশ্বাস আমাকে বলেই দিলো রব দেশের থেকেই বড়। সূত্র মতেতো তাই ।এখন আমি যদি বিশ্বাস বাদ দেই। তাহলে আমার দেশ থাকবে ঠিকই কিন্তু সে দেশ হবে এমন নতুন আবিষ্কারের মত যার কোন গাইড বুক নাই। এখন বলুনতো মোবাইল বড় না মোবাইলের গাইড বুক বড়?
একজন আবিস্কারক মোবাইল আবিষ্কার করে যদি গাইড লাইন বা কোন বই না দিত কিভাবে তা চলনা করতে হবে কি ভাবে জানা যেত। এক্ষেত্রে গাইড ছাড়া আবিস্কার নিস্ক্রিয় বা মৃত। আরেক কথায় মূল্যহিন। কাজেই বড় গাইড লাইন। আর গাইড লাইন কোথা থেকে এসেছে আবিষ্কারকের কাছ থেকে।তাহলে আবিষ্কারক ছাড়া গাইড লাইন অসম্ভব।বড় কে আবিষ্কাকারক । আমাদের এ মহা বিশ্বের আবিস্কারক যে স্রষ্টা তাকে বিশ্বাসীরা বিভিন্ন নামে ডাকে। হ্যা বিশ্বাসের ভিন্নতা আছে। আছে বিশ্বাসের মাঝে সঠিক আর ভুল বিশ্বাসের দন্দ্ব। কিন্তু সব বিশ্বাসেই এটা ঠিক যে স্রষ্টাই বড়।
আমাদের দেশের কিছু তথাকথিত প্রগতিবাদি লোক বলেন বাঙ্গালী আগে না ধর্ম বিশ্বাস আগে। কথা হল এই তর্কইতো এক পেসে। কারন এদেশে শুধু বাংগালী নয় আদী বাসিরাও বাস করে। এদেশতো শুধু বাংগালীদের নয়?
মগ চাকমা সাওতাল, মরামা মুরং আরো অনেক গোষ্ঠি এদেরওতো দেশ। তাহলে শুধু বাংগালী বলা কেন?
.হ্যা যদি বলেন সংখ্যাধিক্য কারনে। যদি তাই হয় তবে কেন বাংগালীটাই দেখবেন ধর্ম বিশ্বাসের সংখ্যাধিক্যও দেখুন। আসলে তর্ক করে যারা ফয়দা হাসিলের চেষ্টা করে তাদের এসব নিয়ে ভাবার প্রয়োজনীয়তা কোথায় একটা গিট্টু লাগাতে পারেলেই খুশি।
বাংলাদেশ একটি বৈচিত্রময় দেশ। প্রকৃতি থেকে শুরু করে শিল্প সংস্কৃতি, ধর্ম বর্ণ পোষাক সব কিছুই বৈচিত্রময়।এসব বৈচিত্র আমাদের পরিচয়। এখন যে যার অবস্থানে থেকে এটাকে তুলে ধরতে হবে। হোক সে মুসলমান, হিন্দু , বৌদ্ধ, খ্রীষ্টন, আদী বাসী । হোক নানা বর্ণের বা পেশার। মানুষের ব্যবহারেই তার ধর্ম শিল্প সংস্কৃতি দেশের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। এটাই মূখ্য। তর্ক টেনে অশান্তিই আছে শান্তি নাই। আপনি যে পরিচয়ে মনে করবেন আপনার দেশের মানুষকে শান্তি দিতে পারেবেন স্বস্তি দিতে পারবেন সেভাবেই চেষ্টা করলেই হয়। অন্যকে নিজের মত করতে তর্ক লাগিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করার দরকার কি?
সত্য সবসময় সৃষ্টিশিল শান্তিরই হয় । আর অসত্য মানেই ধ্বংস অশান্তি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯