আমরা আজ এমন একটি সমাজে বসবাস করছি তা খুবই অস্থির সমাজ। এ সময়ে সবারই একটু সমঝে চলা উচিত। সবাই আছে ছুতোয়। কাকে কোন ছুতোতে কে ছোট করবে। এই প্রতিযোগীতা। কেউ ধর্মকে ছোট করছে? কেউ ধর্মীয় গুরুকে ছোট করছে। কেউ মানবতাকে ছোট করছে? কেউ রাষ্ট্রকে ছোট করছে? নানা ছুতোয় সবাই ছোট করার খেলায় মত্ত। তবে এই ছোট করার বিশ্রি খেলায় একটি মোরাল আছে। তা হল যে ছোট করে সেই ছোট হয়। ইংরেজীতে বলা যায়- টিট ফর টেট। এমনকি বাস্তবে দেখা যাছ্চে তাই হচ্ছে। এর জন্য দায়ি হল ছোট করার প্রবনতা। আমরা আজ উদার হতে ভুলে গেছি। আমরা আজ ভদ্র হতে ভুলে গেছি। আমরা আজ শালিন হতে ভুলে গেছি। আমরা আজ মানুষ হতে ভুলে গেছি।আজ চলছে মার ধর খাও এই নীতি। কেউ মারছে কেউ মরছে। কেউ সুযোগে লুটেপুটে খাচ্ছে। সম্মান শব্দটা আজ রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়েছে। যুক্তিক কারনে সম্মান আজ কজন পায়? ঠিক তেমনি সম্মান হারাতেও কোন যুক্তিক কারন লাগে না। যা লাগে তা হলো রাজনিতি।
একজন শিক্ষক কে কান ধরে অপমান করা হলা। সত্যই খুবই দুখের। কিন্তু আরো বেশী দুখের হলো এটা নিয়ে রাজনিতি। বলা হচ্ছে ধমীয় অনুভতিতে আঘাত দেবার কারনে তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। কথা হলো দেশে আইন আছে । সে আইনে তাকে শাস্তি দেয়া যেত। রাজনিতি করে তাকে শাস্তি দেয়ার কি দরকার ছিল? ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত দেয়া মারাত্মক অপরাধ। এর জন্য বাংলাদেশে কঠোর আইন আছে। তার অপরাধ হলে সে শাস্তি আইন দেবে । কোন মন্ত্রী এমপি নয়। মানুষের বাহাবা কুড়ানোর এত্তবড় সুযোগ ছাড়াবে কেন? বাস রাজনিতি শুরু। সরকারী দলীয় এমপি । সরকারের আইনের প্রতি তার আস্থা নাই এমনতেো নয়। আসল হলো রাজনিতি করা। আরো আর্চয্য লাগে সংখ্যা লঘু আর গুরু এই নিয়ে বির্তক তোলা। রাজনিতির প্যাচ এ কোন লঘু আর গুুরু নেই। এখানে আছে যা তা হল স্বার্থ স্বিদ্ধি।
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা এদেশে নতুন নয়। রাজনৈতিক কারনে এদেশে শিক্ষাগুরুদের বার বার অপমান করা হয়েছে। একজন শিক্ষাগুরু সে লঘু বা গুরু যেই হোক তাকে অপমান করা কখনোই ঠিক নয়।শিক্ষগুরু যেহেতু মানুষ তার দ্বারা অপরাধ হতে পারে। তার বিচার করবে দেশের আইন। যার চোখে বাদশা ফকির সবাই সমান। মনে রাখতে হবে অপরাধ দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না শুধু নতুন অপরাধ উৎপাদন ছাড়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০৬