আজ মা দিবস। তোমায় জানাই হাজারো সালাম। সবসময়ের তরে।সালাম জানাই-প্রতিটি দিবস- রজনী। কোন দিবসের ফ্রেমে তোমার মহিমাকে আটকে রাখা যাবে না। তোমার তুলনা মাগো তুমি।
সেই ছোট বেলা থেকে তোমার আঁচল তলে বড় হয়েছি। এখন এই বৈবাহিক জীবনেও তোমার আঁচলের ছায়ায় বেশ ছিলাম। স্কুল-কলেজ বাড়ীর পাসে থাকায় মায়ের স্নেহ আর মায়াছেরে বেশীদুর কখনো যেতে হয়নি।
সেই ১৯৯৮ সালে যখন আমার অফিস ছিল শাহবাগ । টংগী থেকে তোমার হাতের খাবার খেয়ে কষ্ট করে প্রতিদিন সেখানে অফিস করেছি। দিন শেষে ফিরে এসেছি তোমার পদ তলে। আমার জান্নাতে। তোমার মিষ্টিমুখ দেখে ভরে যেত আমার মন। ভুলে যেতাম সারাদিনের যত ঝুক্কিঝামেলা কষ্ট। তোমার কাছ থেকে কখনো আলাদা থাকিনি। মেছে থাকলে হয়তোবা এই ঝুক্কিঝামেলা পোহাতে হতো না। কিন্ত তোমার স্নেহ- আদর থেকে তো বঞ্চিত হতাম।
আমার মা যখন মাঝে মাঝে ছোট ভাইয়ের বাসায় মুগদা চলে যায়। মনে কতকাল ধরে আমি মায়ের আঁচল থেকে বিছিন্ন হলাম। মনটা কেমন যেন লাগে সারাক্ষন। বাড়ীতে শূন্যতা বিরাজ করে কিসের যেনো। অফিস থেকে বাসায় গেলে মাযের আনন্দ ঝলমল করা মুখ আর স্নেহ আদরে সকল কষ্ট ভুলে যাই। আমাকে কিছু খেতে দেবার জন্য আমার বৌকে কিযে তারাদিতেন। কত খোঁজ খবর নিতেন। না মা ছারা ঘরে ভাল লাগেনা। বাবা মারা যাবার পর বট বৃক্ষ হিসেবে ও বাড়িতে আমার মা সবকিছু আগলে রেখেছেন। তার অনুপস্থিতিতে বাড়িটি মুরুব্বিহিন লাগে তখন।
হে আল্লাহ! রহমানুর রাহিম! তুমি তোমার অপার করুনা ধারা আমার মায়ের উপর বর্ষন কর। তাকে সুস্থ্য রাখ। হায়াত বাড়িয়ে দাও। সবারা কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া চাই।
মা -বাবাকে সবাই ভালবাসবেন ভাই। তাদের স্থান বৃদ্ধাশ্রম নয়। আপনাদের মনে তাদের স্থান দিন। তাদের যত্ন নিন। হেলায় অমূল্য রত্ন হারাবেন না। তাদের জন্য দোয়া করুন।
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা