ভাবছো বসে প্রিয় পাশে জীবন কত মধুর,
ভাবছি একা জীবন কেন এতো বেদনা-বিধুর!
কারো কারো জীবন কাটে সুখের খেয়া পাড়ে,
আমার জীবন ভাসে কেবল দুঃখ পারাবারে!
দুঃখ বাড়ে থরে থরে দুঃখ অবিরল,
দুঃখ আমার আপন ভারি দুঃখ পরিমল!
করছো বুঝি সঙ্গ খুঁজি মোহন সময় যাপন,
আমি ডুবে অথৈ জলে হাতড়ে ফিরি স্বজন!
কারো কারো সময় চলে প্রমোদ তরীর মতো,
আমার সময় বাড়ায় শুধু অন্তরেরই ক্ষত।
ক্ষতের পরে ক্ষত উঠে জ্বালায় অনর্গল,
বুকের ক্ষত লুকিয়ে করি করুণ কোলাহল!
দেখছো তুমি দিনে রাতে স্বপ্ন কত শত,
স্বপ্ন সুখের আশা আমার সুদূর পরাহত!
কারো কারো স্বপ্ন হাজার লক্ষ-কোটি বায়না,
স্বল্প সুখের স্বপ্ন দেখি ভাঙে তবু আয়না!
আয়না ধরে বায়না কেন নাইরে দেখা তোর,
তাইতো দেখি স্বপ্ন পুনঃ হই স্বপ্নেতে বিভোর।
শুনছো তুমি সপ্ত সুরের নানান রকম গান,
বিষাদ রাগে ভরছে কেবল আপন মন প্রাণ।
কারো কারো কল্পনাতে রঙিন আশার ছল,
আমার আশা পথ ভুলে যায় হারিয়ে সম্বল!
বেভুল পথিক ভুল করে তাও আশায় বাঁধে বুক,
এই বুঝি ঐ আসলো ফিরে একটু খানি সুখ।
কাটছে তব বসন্ত কাল ফুলের বনে হায়,
বসন্তেরই ফাগুনে মোর আগুন লাগে গায়।
ফাল্গুনী ঐ মাতাল হাওয়ায় উদাস হওয়া সহজ,
আমি কেন উদাস হলাম কেউ রাখেনি খোঁজ!
আনুরূপ্য খুঁজতে গিয়ে প্রভেদ হোল জ্ঞান,
পথ হারিয়ে পাথেয় করি চিন্তা নামক ধ্যান।।
কবিঃ রুদ্র আতিক, সিরাজগনঞ্জ
১৯ ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
৩রা মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৬