হাড় হাভাতের গ্লানি ঘুছেবে না সে জানি,
তাসের ঘরে তাইতো জ্বলে লঙ্কাবতি রাণী!
মজুতদারে বসে রক্ত চুষে হাসে,
হারাধনে আর কি পাবে কপালডারে ঘসে!
জমি জিরাত সব গিয়েছে ঋণের দায়ে তার,
উননে তার শূন্য হাড়ি শূন্য পানাহার!
অর্থাভাবে আলগা যে হয় আলিঙ্গনের বাঁধন,
অনর্থ তাই মুখ লুকানো শুকনো চোখের কাঁদন!
অগ্রগণ্য নিত্যপণ্য বাজার সর্বনাশা,
স্বল্প আয়ের মানুষ যেন বানের জলে ভাসা!
মাছে ভাতে বাঙালি আজ প্রবাদপ্রতিম তুল্য,
লঙ্কা মেখে দুমুঠো ভাত অনেক তাহার মূল্য!
বর্ণচোরা শিল্পপতির সদাই পোয়াবারো,
শ্রমের মূল্যে অসংগতি চাই তবু তার আরো।
মহাজনের পদ-লিঙ্গ চাটুকারের চোষ্য,
অভাব কি আর বুঝবে তাদের পোষা প্রাণী-পোষ্য!
দেহই শুধু সম্বল যার বেহাল দশা তার,
প্রাপ্য হোল অপুষ্টি আর অর্ধ অনাহার!
বিলাসিতায় মত্ত থাকেন দূর্নিতিবাজ আমলা,
এদের কাছে তুচ্ছ্য সদা মুটে মজুর-কামলা!
হাড় হাভাতের গ্লানি ঘুছেবে কিসে রাণী?
স্বার্থলোভীর অত্যাচারে খাচ্ছি খাবি জানি!
অত্যাচারীর পাপের ঘড়া পূর্ণ হলে তবে
অধম জনে তৃপ্ত হবে সেই সে অসম্ভবে!
কবিঃ রুদ্র আতিক, সিরাজগঞ্জ
১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
Picture: Daily Sun, Wednesday, 13 September, 2023
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২২