আমরা ইংরেজদের গোলাম ছিলাম নাকি এখনো আছি?.আমাদের কাজেকর্মে সেই দাস দাস গন্ধটা এখনো রয়েই গিয়েছে। আসুন তো দেখি
১. ছোটবেলা থেকেই আমি, আপনি সবাই দরখাস্ত লিখি। যেটা ইংরেজিতে শুরু করা হয় এভাবে : I beg most respectfully to state that কেন ভায়া?? আমি কি জীবন ভিক্ষা চাচ্ছি এখানে? এইভাবে Beg most না লিখলে নয়?
২. অফিসিয়াল পোশাক নির্ধারণ হওয়া উচিত নিজ নিজ দেশের আবহাওয়া কে Suit করে। বিলাতি বাবুদের দেশে আল্লাহর ১২ মাসের ১০ মাস ই শীত থাকে। তারা কোটের উপর ডাবল কোট পড়লেও মানায়, কিন্তু আমাদের Weather তা সুইট করে না। শুধু শুধু বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে এই গরীব দেশে।
৩. কোর্ট- কাচারী আমাদের, সেখানেও দেখেন ইংরেজ বাবুদের পোশাক। সাদা শার্টের উপর কালো কোট/ গাউন। গরমে আমাদের উকিলরা দরদর করে ঘামে।কেন ইংরেজদের পোশাক ই Follow করতে হবে?
৪. পুলিশ বাহিনী কোন আইনে চলে জানেন?? ১৮৬১ সালের পুলিশি আইন। যেই আইনে পুলিশ ছিল কোম্পানি/ ইংরেজদের অধীন এক বাহিনী।পুলিশ এখনো এই মূল আইনে চলে, যদিও তা সংশোধিত হয়েছে।
৫. হান্টার বলেছিল, এমন শিক্ষা পদ্ধতি রেখে যাব, যাতে এরা বাহ্যিকভাবে হবে বাংগালী, কিন্তু মন মগজে হবে ইংরেজ। আসলেই আমাদের শিক্ষা ধর্মহীন ও নি:সার। যেখানে ধর্ম এর সুন্দর প্রায়োগিক বিশ্লেষণ নাই, শুধুই বিবৃতিমূলক আলোচনাই আছে।
বলি, ইংরেজ, পাকিরা চলে গিয়েছে, কিন্তু তাদের দূষিত বীজ এখনো আমাদের মাঝে রয়ে গিয়েছে।