কোথায় যাচ্ছে দেশ? কি শুরু হয়েছে এসব। বাবা খুন করছে ছেলেকে, ছেলে মাকে। মা অবুঝ ছোট্ট শিশু সন্তানকে। পত্রিকার পাতা খুললেতেই পারি না, এমন সব বিভৎস কাহিনী পড়া লাগে!
কেন হচ্ছে এসব? আমাদের সমাজতো এমন না। আমাদের কাঠামো শালীন ও পারিবারিক। আবহমান বাঙলার সংস্কৃতিতে এ অপসংস্কৃতি নেই, ছিল না । হঠাৎ কোত্থেকে যেন উধাও হলো ‘আধুনিকতা’ নামক শব্দটা। উড়ে এস জুড়ে বসল আমাদের দেশে। তারপর আধুনিকতার বিষ বাষ্পে দিনে দিনে মহামারিতে রূপ নিচ্ছে এসব অনাচার।
চিন্তা করা যায়?- আদরের সন্তানকে সেক্স চরিতার্থ করতে গলা টিপে খুন করছে মা! বাবা করছে ছেলেকে!
সমাজে বাড়ছে সেক্স। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে খুন। যারা দেশকে ভালবাসেন, দেশের কথা ভাবেন, তারা একটু চিন্তা করে দেখবেন। সামাজিক যে দূষণ শুরু হয়েছে- তা যদি রোধ করা না যায় তবে একসময় হয়তো আমাদের পশ্চিমাদের মতো পারিবারিক সহিংসতা রোধে আইন করতে হবে।
মাকে ধর্ষণের দায়ে ছেলের বিচার করতে হবে। হা হা গরম খবরই বটে, এটি শুধু নামেই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-বাকি সব লোকাল। মার্কিন কংগ্রেসম্যান জো উইলসন
মেয়েকে বাবার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে মামলা করতে হবে।
আমাদের মেয়েদের বিয়ের আগেই জন্ম দিতে হবে হাজারো বেওয়ারিশ সন্তান। তারা পরিচয়হীন হয়ে বড় হয়ে উঠবে। তারা মাদকাসক্ত হবে, ক্রেজি হবে, মাতাল হবে।
একসময় দেশ ছেয়ে যাবে বিকৃত আর পাপী মানুষের আধিক্যে। নেমে আসবে প্রকৃতির গজব। লন্ড ভণ্ড করে দিয়ে যাবে এই জনপদ। ছোট্ট নগরী।
সাবধান! একদম সাবধান! জীবন মানে সেক্স নয়, জীবন মানে যৌনতার অবাধ বিচরণ নয়। জীবন মানে নিজের জীবনকে অন্যের জন্য বিলিয়ে দেয়া, জীবন মানে দেশের তরে নিজের সব সুখ আর শান্তিকে বন্দক দেয়া।
প্লিজ ভাবতে শিখুন, বলতে শিখুন, লড়াই করার সাহস রাখুন। হা হা গরম খবরই বটে, এটি শুধু নামেই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-বাকি সব লোকাল। মার্কিন কংগ্রেসম্যান জো উইলসন
এ দেশটা আমাদের, একে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। পারিবারিক বিরোধের মূল কারণ, ওপারের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমাদের রুখতে হবে। রুখতেই হবে!
আরও পড়ুন-হরলিক্সের নামে বাচ্চাদের আমরা কি খাওয়াচ্ছি?? সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন এই আওয়াজ….