জাস্ট কপিপেস্ট-দৈনিক উটপাখির নিয়মিত কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফের ‘জামায়াত প্রীতি ও জামায়াত ভীতির দোটানা' লেখাটি নিয়ে জামায়াত-শিবির ব্যাপক ক্ষেপেছে। কিন্তু বাস্তবতা অনুধাবন করতে পারছে না। সামলোচনাগুলো আবার শিবিরের সেই রগচটা স্বভাবের সমালোচনা!
একটা ইসলামি সংগঠন থেকে শিবির এখন পরিণত হচ্ছে একটা করপোরেট হাউজে। ওদের বহু নেতা শিবির শেষে জামাত করে না বিএনপি করে। আওয়ামী লীগ করে এমনও পাওয়া যায়! তাহলে কোথায় ওদের আদর্শ? এইদলে এক সময় অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী ছিল। এখন সব বাটপার আর সুবিধাবাদীতে ভরপুর। কর্মী থেকে নেতা সবাই তেল মারায় ব্যস্ত! দলের ভিতর পদ পেতে চলে লবিং। কয়দিন পর হয়তো ছাত্রলীগের মতো মারামারি পর্যন্ত হবে। শিবির দিনে দিনে একটা আঞ্চলিক সংগঠনে পরিণত হচ্ছে।
জামায়াতিরা এখন টাকা আর আরামে বোদ। তাদের পক্ষে দলের জন্য আদর্শের জন্য জেল খাটা সম্ভব না। তাদের জীবন এখন অনেকটা নারীবান্ধব হয়ে পড়ছে। এ বাস্তবতাটাকে স্বীকার করতে হবে। জামাত যদি তাদের দূর্বলতা মেনে নিয়ে সামনে এগুয় তবে ভবিষ্যত বাংলাদেশে তাদের অস্তিত্ব রক্ষ হতে পারে। নইলে সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টিসহ বামদলগুলোর আকার পরিণত হবে এ দলটি।
বাম দলগুলোর টাকা-পয়সা, মিডিয়া-ক্ষমতা সব আছে অথচ মাঠে নামার কর্মী নেই। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। একদিন জামায়াতও মাঠে নামার কর্মী খুঁজে পাবে না।
হয়তো টাকা পাবে কিন্তু টাকায় কেনা কর্মী দিয়ে কি সংগঠন চলে? চিন্তা করুন মীর কাশেম আলী জেল থেকে বাঁচতে জামায়াত ভাঙা, সরকারকে বিশাল অঙ্কের টাকা দেয়াসহ কত চেষ্টাই না করলো । শেষ পর্যন্ত তাকে কিন্তু তাকে জেলেই যেতে হলো।
বাস্তবতা-১ জামাত নেতারা রাজনৈতিক নেতা হিসেবে চরম অযোগ্য
বাস্তবতা-২ জামায়াত এখনও বাংলাদেশের রাজনীতির সঙে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি
বাস্তবতা-৩ ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো উপযুক্ত দল এখনও জামায়াত হয়ে উঠতে পারেনি।
বাস্তবতা-৪ জামায়াতে আসলেই কর্মী সংখ্যা অনেক কম, টাকা ও অনেক কম
বাস্তবতা-৪ তাদের ছাত্র সংগঠন শিবিরের মধ্যে চরম অধ:পতন শুরু হয়েছে
বাস্তবতা-৫ আগে মেধাবীরা শিবির করতো এখন করে বাটপাররা
বাস্তবতা-৬ শিবিরের সেই নৈতিক শক্তি এখন নাই, হরতালসহ বিভিন্ন সময ঢাকার রাজপথে চুপিসারে ঝটিকা মিছলিগুলো ও মিছিল থেকে কর্মীদের পালানোর খবরই তার প্রমাণ
বাস্তবতা-৭ শিবির নেতারা এখন নেতা হওয়ার আগেই ব্যবসায় মনোযোগ দেন। ফলে সংগঠনকে ঠিক করে সময় দিতে পারেন না। দেন না সত্য হচ্ছে এটাই।
বাস্তবতা-৮ শিবির শেষ করার আগেই মাশাআল্লা একটা বিয়ে করেন তারা। কেউ কেউ দেখি বাচ্চাসহ মেয়েও বিয়ে করেন। কোথাও কোথাও জামায়াতের আমিরই আয়োপজন করে নিজের মেয়ের সঙেমিবির নেতার বিয়ে দিয়ে দেন।
বাস্তবতা-৯ শিবিরের শৃঙ্খলা কমছে। দলাদলি বাড়ছে। এখন আর এহতেসাব সিস্টেম নেই। এ পক্ষ ও পক্ষ বিবেচনায় চলছে কাজ। ফলে বিভক্ত হচ্ছে নেতাকর্মীরা।
বাস্তবতা-১০ নেতাদের ভোগবাদ সীমা ছাড়িয়েছে। ফাইভ স্টার বা এসি রোম ছাড়া এখন আর তারা প্রোগাম করতে পারেন না। আগে একটা শুকনা রুটি খেয়ে সারা দিন থাকতে পারতো। এখন বিরানি ছাড়া কোন কথাই নেই। রোদে যেতে পারেন না।
সর্বোপরি টাকাই বামদের মতো শিবিরের সাবেকদের বেপথে নিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত একটি অথর্ব প্রতিষ্ঠান বিধায় কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। আসলে সংস্কার বা দলের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে একটি সুন্দর ও সবল সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের চিন্তার ক্ষমতা এসব নেতাদের মধ্যে নেই।
ওরা গোঁগড়ামিটাই ভাল বুঝে???
শিবিরের ভবিষ্যত কি ? এটা কি নোয়াখালি বা বরিশাল সমিতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে???
জামায়াতের মিডিয়া নেই
সাংস্কৃতিক কর্মী নেই
সমৃদ্ধ লেখক নেই
ত্যাগী কর্মীর সংখ্য খুবই কম
বিপ্লব তারা করবে কি দিয়ে ???
আর শিবিরের যে কয়জন সাংস্কৃতিক কর্মী বা সাংবাদিক রয়েছেন ওনারা আধুনিক হওয়ার লুভে শুধু শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য এমন সব কাজ করছেন যা একজন ছাত্রলীগ কর্মীরও করে না। অতি প্রগতিশীল সাজতে গিয়ে পরে কিন্তু ঠিকই ধরা খাচ্ছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন।
ইখওয়ান গত ৮০ বছরে করল কি???
আর জামায়াত গত ৬৫ বছরে করল কি ???
একটু হিসাব মিলান, একটু হিসাব, একটু হিসাব। অপরের লেখার সামলোচনা করার আগে নিজেরা লেখক হন। কোন মিডিয়া বর্জন করার আগে নিজেরা মিডিয়ার মালিক হন।
জামাত-শিবিরের পোলাপানের বড় গলায় কথা বলার আগে লজ্জ্বা থাকা উচিৎ।
এই দেশে তোদের চেয়ে লঞ্ছনার জীবন আর কে যাপন করছে বল???
তবু তোরা হেসে-খেলে প্রেম-পিরিতি করে জীবন কাটাস!!!
তোদের কচু গাছের সঙে ফাঁসি দেয়া উচিৎ।