মুলত কয়েকটি কেন্দ্রে দুএকটি বড় ঘটনা ঘটলে আমাদের পারসেপশন হয়ে যায় টোটাল ভোটই বোধই এমন হয়েছে। মিডিয়া যেহেতু এখন অনেক বেশি এবং কাঁচা তথ্য বেশি তাই আসলে বুঝা যায় না রিয়েল ঘটনা কি হয়েছিলো। দেখা গেলো যে সব কেন্দ্রে সমস্যা তা মোট ভোটের ১ শতাংশও না। কারণ এক একটি কেন্দ্রে ২০০ হাজার থেকে ৫০০ ভোটই থাকে। মোট ব্যবধান যখন বেশি হয় তখন ধরে নেয়া হয় যে ঘটনা গুলা মোট ভোটের উপর বেশি প্রভাব ফেলেনি। কুমিল্লাতেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিলো কিন্ত বিরোধী দল জিতে যাওয়ায় ঘটনা গুলা চাপা পড়ে যায়। নীচে প্রথম আলো থেকে কিছু তথ্য দিলাম আপনাদের বিবেচনার জন্য।
কেন্দ্র=২৮৯ স্থগিত = ৩ কেন্দ্র।
১। বিচ্ছিন্ন ঘটনার ব্যাপকতা বেশি না হওয়ায় ভোটের ফলাফল পরিবর্তন প্রভাব ফেলেনি।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রাথমিক বিবৃতিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মোর্চা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) এ কথা বলেছে। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই বিবৃতি তুলে ধরা হয়।
২। মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট। ধানের শীষ প্রতীকের নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট।
৩। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক ১৪ হাজার ৩৬৩ ভোট, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল) ১০৭২ এবং কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান ৫৩৪ ভোট পেয়েছেন।
৪। ১০৫ কেন্দ্রে ভোট-ডাকাতির অভিযোগের পাশাপাশি মঞ্জু ৪৫টি কেন্দ্রে ভোটের তদন্ত দাবি করেছেন। কেন্দ্র গুলিতে ভোটের ব্যবধান কি রকম সেটা জানা থাকলে এবং সুনির্দৃষ্ট থাকলে একটু রিভিও করা যেত। মোট ভোটের জন্য এই কেন্দ্র সংখ্যা ৫০ শতাংশও কভার করে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫