লন্ডনে অবস্থানকালে বঙ্গবন্ধু ৮ তারিখেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে দেখা করতে গেলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজে বাইরে এসে গাড়ির দরজা খুলে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানান। এই নিয়ে ব্রিটেনে খুব সমালোচনা হয়েছিল। কারণ বঙ্গবন্ধু তখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের কোন পদে অধিষ্ঠিত হননি। ঐ সময় তিনি ছিলেন শুধু রাজনৈতিক দলের প্রধান।
তাই ছবি বসে তুলছেন না দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন সেটার চেয়ে জরুরী হলো আপনি মেহমানকে সম্মান করছেন কিনা।
বসার এ্যারেঞ্জমেন্ট ছিলো? না ছিলো না ?সেটারও ব্যাপারটাও জড়িত। হোস্ট কেন বসবে? যদি বসতে পারার সীমাবদ্ধতা থাকে
ধরেন অনেক চেয়ার আছে কিন্তু তারা সম্মানে লীন হয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছে; তখন ব্যাপারটা অন্যরকম ভাবে নেয়া যেত।
যেহেতু মেহমান তাই সেটাও নেয়া সমুচিন হতো না।
খালেদা জিয়া তিন বারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও সোনারগাঁ হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে দেখে করতে গিয়েছিলেন নিতান্তই নিজের প্রয়োজনকে সামনে রেখে। এমনকি লন্ডন থেকে তাড়াতাড়ি ফিরছিলেন সুষমার সফরকে মাথায় রেখে। আমি এখানেও হীনমন্যতা দেখি না।
একলোক সব সময় বলতো আমার সেক্রেটারীও এম.এ পাশ। যে কোন সময় তিনি সেটা প্রকাশ করতেন । পরে ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেলো ঐ লোকের পড়ালেখা খুবই কম কিন্তু ব্যবসা করে টাকা হয়েছে। তাই তার মধ্য এটা নিয়ে এক ধরণের হীনমন্যতা ছিলো। সেটা কাটাতেই সে তার সেক্রেটারীর এম.এ পাশের কথা বলতো।
ধরেন যে ছবিটার কথা বলছি সেখানে ধরে নিলাম - আবুল মাল মুহিত চেয়ারটিতে বসে আছেন এবং অন্যদের সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন প্রণব মুখার্জি/ আপনারা কি খুশি হতেন? খুশি যদি হোন তাহলে এখানেও ইনফিউরিটি কম্প্লেক্সে ভোগেই আপনি খুশি হতেন। এই ভেবে যে দেখো ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানে আমাদের মুহিত সাহেব বসে আছেন। সমালোচনাকারীরা হয়তো ধরেই নিয়েছেন ইন্ডিয়া আমাদের বড়ো কিন্তু মানতে নারাজ; দেখাতে নারাজ। তাই ফেসবুকবাসীও ব্যাপক নারাজ
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭