১। শেষ পর্যন্ত সরকারের এই মেয়াদে হবার সম্ভাবনা কম। নতুন ওয়ার্ডভুক্তি নিয়ে আইনি জটিলতা কেউ তৈরী করতে চাইলে সহজেই করা যাবে। কারণ নতুন ওয়ার্ডে যারা নির্বাচিত হবে তাদের মেয়াদ কি ২ বছর হবে? নাকি পুরা ৫ বছর হবে সেটা নিয়ে একটা জটিলতা রয়ে গেলো।
২। বিএনপির সম্ভাব্য দূই প্রার্থীর মধ্যে ডঃ আসাদুজ্জামান রিপন অধিকরতর যোগ্য হতো বলে মনে করছি। তাবিথ একজন পুরাদস্তুর ব্যবসায়ী এবং জনমানুষের সাথে তার অতীত যোগাযোগ এবং অবদান খুবই নগন্য। মরহুম আনিসুল হক ব্যবসায়ী হলেও তার নানাবিধ জনসম্পৃক্ততা ছিলো। তাবিথের পরিবারের পল্টি (৯৬ সালে তার বাবা শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ছিলেন)। প্যারাডাইস পেপার কেলেংকারীর সাথেও তাদের পরিবার জড়িত বলে নাম এসেছে। আওয়াল পরিবাবারের টাকা বেশি হবার কারণে সাবেক ছাত্র নেতা আসাদুজ্জামন রিপন সাহেব হেরে গেলেন।
৩। আওয়ামীলীগে এই মুহুর্তে ভালো প্রার্থী নাই। সাবেক বিজিএমই নেতা আতিকুল ইসলাম মনোনয়ন পাবার সম্ভাবনা বেশি। জেতার সম্ভাবনার জায়গায় আতিকের চেয়ে আনিসের ওয়াইফ রুবানা হক এগিয়ে আছে বলে আমার মনে হয়। এর বাইরে প্রথমবারের মতো শিক্ষিত একজন প্রথম নারী মেয়র পাবার আবেগও জড়িত আছে। সোহেল তাজ অথবা সাবের হোসেন মনোনয়ন পেলে ভিন্ন সমীকরণ হবে।
৪। তাবিথ এবং আতিক মনোয়ন পেলে বুঝতে হবে দূই দলই দেউলিয়া হয়ে গেছে গ্রহণযোগ্য নেতার দিক দিয়ে। দূই দলই "নেতার চেয়ে টাকার দাম বেশি" এই শ্লোগান নিয়ে মনোনয়ন দেন।
৫। এই দূই বড় জায়ান্টের বাইরে একজন ভালো প্রার্থী আছে তার নাম গণসংহতির জুনায়েদ সাকী। দিল্লীর মতো ঢাকার জনগণ কি বেচে নিবেন আম আদমির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো জুনাইদ সাকীকে?
৬। বাকী আছে আর মাত্র দূই বছর । বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করলে সরকারী বাঁধায় খুব একটা কাজ করতে পারবে বলে মনে হয় না। আর আওয়ামীলীগে ভালো প্রার্থী নেই । তাই এবারই সুযোগ তৃতীয় কাউকে সুযোগ করে দেয়া। জুনাইদ সাকী জিতলে দুই শিবিরেই উইন উইন সিটুয়েশন হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬