অনেকে মনে করেন ব্ল্যাকহোল মহাকাশে কোনো গভীর খাদ। ব্যপারটা এমন নয়। ব্লাকহোল, অসীম ভরের একটা বস্তু, যার ওপাশে কি আছে তা আজও অজানা। ভর অসীম হওয়াতে নিউটনের সূত্রানুসারে এর গ্রাভিটিও অসীম। অসীম এই গ্রাভিটির সীমার মধ্যে কোনো ফোটন কণা গেলেও তা বিলীন হয়ে যায়। ধরেন, আপনি ভুলবশত এর সীমায় ঢুকে পরলেন তৎক্ষণাৎ অসীম গতিতে আপনি পতিত হবেন এর বুকে এবং চিরতরে হারিয়ে যাবেন, শেষ চিহ্ন হিসেবে থাকবে Black Body Radiation। তবে আশার কথা হলো পদার্থবিদগণ এই Black Hole থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন এবং আশা করা যায় ঢাকার ম্যানহোলের মধ্য থেকে কেউ উদ্ধার পাক বা না পাক হয়ত ব্ল্যাকহোল থেকে মুক্তি পাবে!
এর ওপারের জগত আজও অজানা। কারো মতে এর ওপারে রয়েছে White Hole। অনেক বিজ্ঞানীদের মতে এর ওপারের জগত সম্পূর্ণ ঋণাত্মক, সংখারেখায় শূন্যের বামপাশের মতো!
এর ওপারের জগৎ সম্পর্কিত মতামতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মজাদার হলো Mirror Theory। এই Theory অনুযায়ী এই জগতে যা হয় তার ঠিক প্রতিবিম্ব সংঘটিত হয় এর ওপাশে। অর্থাৎ, এর ওপাশেও 'বিমূর্ত ধূমছায়া' নামের কেউ হুবহু একই লেখা লিখছে! আর হুবহু আপনার মতো কেউ এই লেখা একই সময়ে পরছে! ঠিক যেমনটি আপনি আয়নায় দেখতে পান তেমনি প্রতিবিম্ব!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৬