১. এই বার জে এস সি পরীক্ষার মত বাচ্চাদের একটা বড় পাবলিক পরীক্ষার সব প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে । নিশ্চুপ বাম - আওয়ামী মিডিয়া ।
২. এইবারে ক্লাস এইটের ইংরেজি বইয়ের সিলেবাস পরিবর্তন হয়েছে ৪ বার । সরকারের ভেতর কারা এই সিলেবাস প্রনয়ন করে বড় জানতে ইচ্ছা করে । অবশ্য এই সব বড় বড় লোকদের সন্তানরা তো আর আমাদের মত বাংলা মিডিয়ামে পড়ে না , সুতরাং আমাদের গিনিপিগ বানাতে অসুবিধা কোথায় ?
৩. দলীয় লোকদের দেদারসে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে কোন বিচার বিবেচনা ছাড়াই । অথচ যেগুলো এখনো আছে , তার বেশির ভাগের অবস্থাই খারাপ । পড়ে হবে কি , যেসব লোকেরা অনুমোদন পেয়েছে তাদের ও বেশিরভাগের পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই সুতরাং পরে বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে মালিকানা বিক্রি করে দিবে ।
৪. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় বিনামুল্যে বিতরনের জন্য বইয়ে স্বাধীনতার পরে এই সরকারের আমলে সর্বাধিক ভুলে ভরা বই ছাপানো হয়েছে । ভুল বানানে , ভুল তথ্যে ভরা বইয়ের অনেকগুলোই আবার নতুন করে ছাপানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
৫. শুধু ভুলে ভরা বই নয় , নামকরা অনেক কবি সাহিত্যিকদের লেখা বাদ দিয়ে আওয়ামী দলীয় লোকদের রচিত প্রবন্ধ , কবিতা নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।
৬. সৃজনশীলের নামে উদ্ভট সব নম্বরবিন্যাস করা হয়েছে । গনিত বইয়ে পাটি গনিত , বিজ গনিত এর নম্বর কমিয়ে সেসব নম্বর জ্যামিতি তে ঢোকানো হয়েছে । অদ্ভুত ও হাস্যকর সব কাণ্ড কারখানা । গনিত ও ইংরেজি'র সিলেবাস বদল করে কি পরিমান গাফলতি করা হয়েছে যে কেউ আগের একটা বই আর নতুন বই তুলনা করে দেখলেই বুঝবেন ।
৭. বাংলা ও ইংরেজির নম্বর কমিয়ে সেখানে শারীরিক শিক্ষা ও চারুকলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । আজব বিষয় । শারীরিক শিক্ষা ও চারুকলা আলাদা করে পড়াতে চাইলে পড়ান, কিন্তু মুল বিষয় বাংলা ও ইংরেজির নাম্বার কমিয়ে দিয়ে সেখানে কেন এই দুই বিষয় জোর করে ঢোকানো হল বোধগম্য নয় । সব যেন খেলা , আবার চাইলেই নতুন করে শুরু করা যাবে । হোকনা গিনিপিগ লাখ লাখ ছাত্র ছাত্রী , সরকারের তাতে বয়েই গেল ।
৮. নকল বন্ধ , জিপিএ বৃদ্ধি - এগুলা সরকারের কোন সাফল্যই না । কারন এই নকল বন্ধ বি এন পি আমলের শিক্ষা মন্ত্রি মিলনের জামানায় শুরু হয়েছিল যা আওয়ামীলীগ কেবল ধরে রেখেছে । আর জিপিএ কিভাবে এত বৃদ্ধি পেয়েছে , তা সকলেই কম বেশি জানে ।
একটা উদাহরন দিব - নামকরা এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এক পাবলিক পরীক্ষার আগে ছাত্রদের বলছেন , তোমরা গনিতের ফলাফল মুখস্ত জানা থাকলে শেষে বসিয়ে দিও । মাঝে যা হয় হোক । ভুল হলেও কিছু লিখ , খাতা খালি রাখবে না । কারন মাঝে কি আছে তা ওনাদের পড়ার সময় নেই । ১৮-১৯ লাখ খাতা দের মাসের ভেতর দেখে রেজাল্ট তৈরি করা সহজ কাজ নয় । সুতরাং , শুরু টা ভালো কর আর শেষে কোন মতে জানা উত্তর বসিয়ে দাও - জিপিএ ৫ নাও , এই হল বেশির ভাগের অবস্থা ।
যাই হোক এমন ভুল, অনিয়ম , দুর্নীতি , স্বেচ্ছাচারীর আর ও কয়েক শ উদাহরন দেয়া যাবে । তবু ও বুঝিনা কেন মিডিয়া সব সময়েই দেখি বলে এই সরকারের আমলে নাকি শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ।