গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একটা ঘটনাই ঘটে গেল, হ্যাঁ আমার জন্য অনেক বড় ঘটনাই বটে। আমি বন্ধুবৎসল কিনা জানি না, তবে আমার নিজের তরফ থেকে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমার বন্ধুত্বে আন্তরিকতার এবং বন্ধুত্বের সম্মান রক্ষার চেস্টার কোন ত্রুটি নাই। আমার এক সময়ের খুব কাছের একজন বন্ধুর সাথে আমার একটা নীরব যুদ্ধ চলছিল বেশকিছু দিন ধরেই।

তার নানান মিথ্যাচারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম অনেকদিন ধরেই। তারপরে ও চুপ করেছিলাম, ঝামেলা আমার খুব অপছন্দের জিনিস। এই জিনিসটা আমার কাছে খুবই ক্লান্তিকর। কিন্তু আগুনে ঘি ঢালল বন্ধু মাহবুব রশীদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগটা। নিজে সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলাম ছবির হাটে সে ঘটনাটা বুঝতে। সেখানে গিয়ে যা বুঝলাম মাহবুব রশীদকে নিয়ে যা বলা হয়েছিল তা একদলা নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া অন্যকিছু না। আমি আমার সেই বন্ধুকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করার পর তিনি মাহবুব রশীদের সাথে ব্যাক্তিজীবনের নানা টানাপোড়নের কথা আমাকে বললেন। তারপরে ও আমি যখন প্রতিবাদ করলাম, এটা নিতান্তই অন্যায়। ব্যাক্তিজীবনের ক্রোধের জন্য কাউকে অনলাইনে হেয় করাটা একটা ভয়াবহ অন্যায় কাজ। তিনি আমাকে পালটা হুমকি দিলেন আমি ও যদি উনার সাথে এইরকম করি বা মতের পার্থক্য ঘটে আমার সাথে ও তিনি এমনটা করবেন।

কিছুদিন আগে উনার বান্ধবীদের অশ্লীল ম্যাসেজ পাঠানোর অভিযোগ করেন আমার বিরুদ্ধে, নীচে কমেন্টে আমি স্ক্রীনশটটা দিয়ে দিব।যাই হোক, উনি উনার হুমকির বানীকে সত্যি প্রমান করলেন তার কমেন্টের মাধ্যমে। কিন্তু হুমকি-ধামকি আমার বড় অপছন্দের জিনিস, সাথে যদি এইরকম নির্জলা মিথ্যাচার যোগ হয় তাহলে তো জ্বলন্ত উনুনে হাত দেয়া সমতুল্য কাজ।

ছবির হাটে উনি আমাকে ফোন দিয়ে আসেন আড্ডা দিতে। উনাকে আমার সম্পর্কে অভিযোগটার কথা জিজ্ঞেস করতেই অস্বীকার করেন, উনি এইরকম কিছু একদমই বলেন নাই। ভাগ্য ভালো, অর্বাচিন স্বাপ্নিক ভাইয়ের সাথে ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট কানেকশন ছিল। এইবার আমি নিজের আইডি দিয়ে লগ-ইন করে উনাকে উনার কমেন্ট দেখানোর পরে ব্যাপারটাকে অন্য খাতে নেয়ার চেস্টা করেন। বলেন আপনি তো মৌসুমীর সাথে উল্টা-পাল্টা কথা বলেছেন। আমি উত্তর দেই, হ্যাঁ, কিন্তু সেটা তো ম্যাসেজে না, ওপেন স্ট্যাটাসে, তাছাড়া সে তো একজন, কিন্তু লেখাতো বান্ধবীদের ! এরপরে উনি উনার এই কাজ হালাল করার জন্য নানান যুক্তি দেখাতে থাকেন। চুরি তো চুরি , একেবারে সিনা চুরি দেখে নিজেকে আর সামাল দিতে পারি নাই। মিনিটখানেক কান মলে, দুইটা প্রকান্ড থাবড়া দেই। সেই থাবড়াতে উনার চশমাটা ভেংগে যায়। এরপরে উনার সাথে আমার তর্কাতর্কি আরো প্রবল হয়, তারপরে আবার তিনটা চড় এবং একটা লাথি দেই।



মিথ্যাচারিতার শাস্তি আমার কাছে এইটাই এবং এটার জন্য আমি বিন্দুমাত্র অনুশোচনায় ভুগছি না। ব্যাক্তি মিথ্যাচার খুবই বাজে একটা জিনিস এবং কেউ ভবিষ্যতে ও আমার সাথে এইরকম করলে সে তার প্রাপ্য বুঝে পাবে। আমি মেরুদন্ডহীন মানুষ না। কেউ চুপচাপ থাকে , ঝগড়া-ফ্যাসাদ এড়িয়ে চলে, এটার মানে যদি হয় তাকে যা খুশী বলা যাবে। তাইলে আমি সেই হিসাব মানি না এবং ভবিষ্যতে ও প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে আমার বিন্দু-মাত্র দেরী হবে না।

দীর্ঘ পাঁচ বছরের একটা গভীর বন্ধুত্বের এইরকম পরিনতি নিতান্তই দুঃখজনক। কিন্তু খ্যাতির লোভ মানুষকে এত নীচে নামিয়ে আনতে পারে, খ্যাতি এতটা বেপরোয়া, বিবেকবোধকে এইভাবে রুদ্ধ করে দেয়, নিজের চোখের সামনে না দেখলে হয়ত বিশ্বাসই করতাম না। ধৈর্য, সহ্যের ও তো একটা সীমা আছে। দিনশেষে আপনি, আমি সবাই তো মানুষই।

এই ঝগড়ার পিছনের কারনটা নিতান্তই ব্যাক্তিগত বিরোধ এবং অনেকদিন ধরে ঘটে আসা কিছু অন্যায়ের প্রতিবাদ মাত্র। এই বিরোধের সাথে কোন গোষ্ঠী-বিশ্বাস-মতাদর্শ-রাজনীতি জড়িত নাই। কেউ যদি গুলিয়ে ফেলেন, তাহলে নিজ দায়িত্বে গুলাবেন দয়া করে।

ও হ্যাঁ, সেই ব্যাক্তিটার নাম আসিফ মহিউদ্দিন। আমাদের গদিনশীন ফেসবুক নবী।





মগা আচিপরে পিটানোর জন্য আমাদের সবার পক্ষ থেকে মহামান্য কহেন ভাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ।

লেখা সংগ্রহীতঃ আসিফ একজন স্বাধীনতা বিরোধী কুলাঙ্গার, যেহেতু আযম ভাই তারে এই রকম গদাম দিছেন, তাই কাদের সিদ্দিকির বঙ্গ বীর উপাধি এখন আযম ভাই এর, তাহলে বঙ্গবীর মহামান্য কহেন, আর কাদের সিদ্দিকি হবে বঙ্গবেগ কাদের সিদ্দিকি............