সবাই যখন #supportgaza এবং #freepalastine নিয়ে ব্যস্ত, আমি তখন একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আলাপ করতে যাচ্ছি।
আমরা মোটামুটি সবাই জানি কিছুদিন আগে ডাঃ সফিউল আজম নামক একজন চিকিৎসকের চিকিৎসা সনদ বাতিল হয়েছে অর্থাৎ তিনি ইনশাল্লাহ্ আর কখনও মানুষের চিকিৎসা(মতান্তরে কসাইগিরি) করতে পারবেন না। তার কি অপরাধ ?? নাহ্ তিনি ভুল চিকিৎসা দিয়ে অমর কোনো বাঙ্গালীকে(আবাল) মরনশীল করেননি। তার অপরাধ হচ্ছে শিশির মোড়ল নামের এক শুয়োরের বাচ্চা,খানকির পোলা,মাদারচোদ, বেশ্যার ছেলে,চুতমারানী সাংবাদিককে তিনি প্রহার করেন।।
কেন করেন? কারন এই বানচোতটা ডাঃ সফিউল আজমের কাছে উৎকোচ দাবী করেছিলো।
কেন উৎকোচ দাবী করেছিলো?? কারন ডাঃ সফিউল আজম সরকারী চাকরীর পাশাপাশি একই সময়ে সরকারী চাকরী বাদ দিয়ে/সরকারী হাসপাতালে রোগী দেখার সময়ে একটা বেসরকারী হাসপাতালে চাকরী করেন(যেটা অবশ্যই একটা অপরাধ), এই খবরটা চেপে যাওয়ার জন্য। কয়েকটা scratch mark ছাড়া যার আর কোনো ইনজুরিই হয়নি। কিন্ত আমাদের (চিকিৎসকদের) আরেক আবাল প্রতিষ্ঠান BMDC এই জারজ হলুদ সাংবাদিকদের চাপে ওনার চিকিৎসা সনদ-ই বাতিল করে দেয়(সবাই বলেন-সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ)।
সরকারী চাকরি চলাকালীন সময়ে অন্যত্র চাকরী করা অবশ্যই অপরাধ। এতে করে জনগনের সাথে অবশ্যই বেইমানী করা হচ্ছে কারন মাসের শেষে ওনাদের করের টাকা দিয়েই যেকোনো সরকারী চাকরীজীবির বেতন পরিশোধ করা হয়।এখন কথা হচ্ছে, যে মানুষটার MBBS, MCPS (medicine), D-card, MD( cardiology) ডিগ্রী আছে, যে মানুষটা তার জীবনের সোনালী সময়টা পার করেছেন পড়ালেখা করে উপরিউক্ত ডিগ্রী নিয়ে মানুষের কষ্ট আরেকটু নিখুতভাবে লাঘব করার জন্য আর বিনাবেতনে চিকিৎসাসেবা দিয়ে, সেই মানুষটা অন্তত এই শাস্তি deserve করেনা। আমিও চাই তার শাস্তি হোক(Certain period of time এর জন্য তার সনদ বাতিল করা যেত/সরকারী চারী থেকে তাকে বরখাস্ত করা যেত/অর্থদন্ড দেয়া যেত), কিন্ত তার পেটে লাথি মেরে না, তার আজীবনের পরিশ্রম,নির্ঘুম ক্লান্ত রজনী কলমের এক খোচাতেই শেষ হয়ে যেতে পারেনা। এটা অমানবিক।
কিছুদিন আগে সাকিব, আশরাফুলের(যে স্বঘোষিত ঘুষখোর) শাস্তির ব্যাপারে ফেসবুক বেশ গরম ছিলো। এদেশের জনগনের দাবী অপরাধ করলেও তাদের শাস্তি দেয়াটা উচিত হয় নাই বিসিবির।তাদের নাকি এদেশে জন্ম নেয়াটাই ভুল হইছে। অথচ একজন চিকিৎসক যিনি মানুষের জীবন বাচান/বাচানোর আপ্রান চেষ্টা করেন তার শাস্তি সবাই সমর্থন করছে। অদ্ভুত দৈত নীতি এদেশের মানুষের.....হাহাহাহা। পাপনের কল্লা চাই বলে যারা স্লোগান দিছে, তাদের মতো আমিও বলতে চাই BMDC এর কল্লা চাই। আর BMA এর পাবলিকরা যখন ভোট চাইতে আসে তখন কোমরের বেল্ট খুলে পেটাইতে মন চায়।চিকিৎসকদের অধিকারের/নিরাপত্তার জন্য যদি কিছু করতেই না পারিস হারামজাদারা, ভোট চাইতে আসোস কেন?