গায়ে অনেক জ্বর, মাত্রা ছারিয়ে গেছে অনেক আগেই তাই কিছু প্রলাপ বকতে ইচ্ছে হল। কিন্তু কার কাছে বলব, কে শুনবে এই অসুস্থ জনগনের কথা। একমাত্র মা, আমার দেশ মাতা, তুমিই আছ, তোমার কাছেই মন খুলে বলতে পারি।মাগো তোমার বুকে যে বড় দুটি পরিবার তাদের সম্পর্কে আর কিছু না বলে থাকতে পারলাম না।
যার পরিবার সবচেয়ে বড় সে পবিচালকের আসনে বসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিচালকদের পরিবারের সকল সদস্যের হাতে বড় বড় মিষ্টির খালি পাতিল, ওরা শুধু নিজ পাতিলে মিষ্টি ভরতে ব্যস্ত।
যে পরিবার পরিচালনায় নেই, তার সে কি কথা, পরিচালনায় থাকলে এইটা করতাম ওইটা করতাম। সামনের বার পরিচালনায় আসলে এইটা করব ওইটা করব ইত্যাদি।
ঠিক একই রকম কথা বলেছিল এখন যারা পরিচালনায় আছে..!
জ্বরের মাঝে বমি চলে আসে যদি সরকারি চাকরি নামক সেই সোনার হরিনের কথা মনে হয়।
আগে জানতাম একটি চাকরি মানে একটি পরিবারের মুক্তি, আর এখন যা বুঝি তা হল একটি চাকরি মানে একজন সুপারিশ দাতার রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হবার দশা। সুপারিশ ছারা চাকরি, তা হবে না, তা হবে না । মাগো ছোট একটা উদাহরন তোরে না দিলেই নয় ! একজন প্রাথমিক শিক্ষক যদি সুপারিসের মাধ্যমে নিয়োগ হয় তাহলে মাগো তোর বাকি জীবনের কথা আর নাই বা বল্লাম। সুপারিস তা আবার অন্য পরিবারের জন্য নয়, শুধু নিজ পরিবারের জন্য। কি আর বলব আমাদের পরিচালকদের ! নিজ পরিবারের সদস্যকে চাকরি দিতে হবে, না হলে ফায়দা হবে না।
আমরা কিছু করতে গেলে সে যে কি অবস্থা, এই ষাড়ের সই ওই ষাড়ের সিলমহর ইত্যাদি আবার ফাইলের পা রয়েছে, বকসিস ছারা ফাইল, হাটতে পারে না।
যদিও কিছু করি, তা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সে যে কি ধকল যে করে সেই জানে, এই হরতাল এই অবরোধ এই চাঁদা এই তোলা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর কত, বল মা, আর কত।
আর কত অপেক্ষা ।
তুই হয়ত বলবি এই আর অল্প কয় দিন ।
এখন আর আমাদের পিঠেও সয় না, পেটেও সয় না ।
কবে আইব সেই দিন ?
কবে আইব ?
তোর দামাল ছেলেরা কি পারে না আর একটি বড় পরিবারের জন্ম দিতে ?
তোর দামাল ছেলেরা কি পারে না ?
তোর দামাল ছেলেরা কি পারে না ভেঙ্গে দিতে সকল দুর্নীতি জাল ?
তোর দামাল ছেলেরা কি পারে না ?