” অতীত ডাকিয়া কহে, হে বর্তমান।
সময় থাকিতে করিয়া লহ গঙ্গাস্নান । ”
হায় আমার অতীত ! হায় আমার বর্তমান ! হায়রে আমার দেশের বর্তমান ! !
৪০ বছর পার হয়ে গেছে, পেয়েছি স্বাধীনতা নামক সেই অমূল্য হীরক রত্ন। কিন্তু বুঝতে পারিনি তার অনুভুতি। আমাদের বুঝাতে পারেননি, আমাদের কর্নধাররা। কোথায় যেন আটকে গেছে সেই হীরার আলোকছটা। কাজে লাগাতে পারিনি আমরা, পেরেছেন কি আমাদের কর্নধাররা ?
কিন্তু কেন ? কোথায় সমস্যা ?
সমস্যা আমাদের সাধারন জনগনের, সমস্যা আমাদের সহানুভুতির। আমরা আটকে গেছি দুটি পরিবারের দুটি মার্কাতে ( নৌকা অথবা ধান )। এই বার ভোট দিলাম নৌকাতে, ওরা ক্ষমতায় এসে ওদের সোনার তরী ভরতে ব্যস্ত। ওরা পারলনা। প্রতিশ্রুতি দিল ধান ! পরের বার ভোট দিলাম ধানে, কিন্তু ধানও ইঁদুরে খেয়ে চলে যায়। ওরা ও পারলনা, হয়ত পারবেনা কোনদিন !
নতুন মার্কা যুক্ত হল ” না ভোট ”। আজব আমার দেশের হালচাল।
ওরা ওদের মুখের কথা দিয়ে শুধু আলোচিত / সমালোচিত হবে, কাজের বেলায় ঠনঠনা, বার বার শুধু প্রতিশ্রুতি।
কেন আমরা না ভোট দেব ?
ওই দু্ই পরিবার থেকে রক্ষার জন্য ?
না ভোট দিলেই কি বের হওয়া যাবে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে ?
ওরা এক পরিবার শুধু আরএক পরিবারের দোষ ধরতে তৎপর।
সমস্যা সমাধানের বেলায় ঠনঠনা।
আমি বলব দায়ী সরকারওনা বিজিএমওনা দায়ী হলাম আমরা সাধারন জনগন।
আমরা সঠিক দেশ পরিচালক থুজে পাইনি। এখন আমাদের দরকার একজন পরিচালক যে পারবে সবকিছু ভালো ভাবে পরিচালনা করতে।
যদি তা না হয় এই রকম একটার পর একটা ঘটনা ঘটতেই থাকবে সমাধান হবে না কোনদিন। দরকার দেশপ্রেমিক।দরকার দেশপ্রেমিক পরিচালক।
আবার আরএক ভয় মৃত্যু বা হারিয়ে যাওয়া, এই গুলি খুব সাভাবিক আমাদের জন্যে ।
হিংশ্র পশু যেমন তার খাবারের কাছে কেউ এলে হত্যা কর।ঠিক তেমন আমাদের বেলায়ও। ওরা শুধু ওদের পেট ভরতে ব্যস্ত।
মৃত্যুভয়কে পেছনে ফেলে সামনে এস।
আরকত পিছিয়ে যাব আমরা, আর কত..?
এখনই সময়।
তাই বলব হে দেশপ্রেমিক, চল এইবার আমরা কিছু করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩