ধর্ষিতার বিধ্বস্ত পা দুটির দিকে মিনিট দুয়েক তাকিয়ে থাকুন
প্লিজ ,চোখ সরাবেন না ,তাকিয়ে থাকুন।
তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবুন আপনি সুবর্ণচরের বাসিন্দা ,
ভাবুন পা দুটি আপনার মায়ের কিংবা বোনের কিংবা স্ত্রীর ।
ভাবুন আপনি-ই সেই অভাগা সন্তান,
যে সন্তানের সামনে মা ধর্ষিত হচ্ছে পালাক্রমে
এক -দুই নয় গুনে গুনে দশ-বারোটা জানোয়ারের হাতে ...।
কানের কাছে বাজা পশ্চিমা সঙ্গীত বন্ধ করে,একবার শুনুন
আপনার ধর্ষিত মায়ের করুন চিৎকার ,শুনুন ধর্ষকের শীৎকার
আপনার আকাশ ভেঙ্গে চিৎকার করার সামর্থ্য নেই
হাউমাউ করে কাঁদার অধিকার নেই
আপনি বলতে পারছেন না ,তোমরা আমার মাকে ছেড়ে দাও
তোমরা আমার মাকে কষ্ট দিয়না ,আমার মা মরে যাবে ।
একবার ভাবুন না আপনি সেই ধর্ষিত মায়ের ৪ টি সন্তানের একটি ।
একবার ভাবুন ,আপনি সেই হতভাগ্য স্বামী
যে স্ত্রীর সম্ভ্রম রক্ষায় পৌরষ্য দেখিয়ে হায়েনার সামনে দাঁড়াতে পারেনি,
যার সামনে বিবাহিত স্ত্রীকে হায়েনা'রা খুবলে খুবলে খাচ্ছে
আর স্বামীটি দাতে ঠোঁট কামড়ে পড়ে আছে ঈশ্বরের প্রার্থনায়
নপুংসকের গায়েও ভাতের বল থাকে কিন্ত স্বামীটি তার চেয়েও দুর্বল ।

একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন ,আপনি এদেশের প্রধানমন্ত্রী
আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ,
এবার ভাবুন সুবর্ণ চরে ধর্ষিত মহিলাটি আপনার মতই নারী
সেই ধর্ষিতাও পুতুল-জয়ের মত ফুটফুটে চারটি সন্তানের মা
আপনার গত হওয়া স্বামী ওয়াজেদ আলীর মত তারও স্বামী আছে...
এখন একটু কষ্ট হলেও ভাবুন ,একটু ভাবুন
আপনার দলের কোন নেতা যদি দলীয় প্রভাবে
স্বামী-সন্তানের সামনে আপনার সাথেই পৈশাচিক আচরন করে
আপনি কেমন বোধ করবেন ??
আচ্ছা ,আপনার সাথে নয় ধরুন বদ হায়েনা গুলো
আপনার মেয়ের দিকেই হাত বাড়ালও ,তবুও কি আপনি চুপ থাকবেন ?
আহা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ,বাস্তবে না আপনাকে কল্পনা করতে বলেছি ।

খুব রাগ,ক্ষোভ, ঘৃণা হচ্ছে আমার উপর তাইতো ,
কাছে পেলে হয়তো ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাবেন কিংবা
আপনার নেতারা আমার নামে কোটি টাকার মানহানি মামলা ঠুকে দিবে
কিন্ত আপনি কি পারবেন সুবর্ণচরের সেই হায়েনাদের ফাঁসি দিতে
আপনি কি পারবেন এদেশ থেকে ধর্ষণ শব্দ টা তুলে দিতে
আপনি কি পারবেন ধর্ষক কে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে ।
আপনি কি পারবেন সম্ভ্রমের সহিত প্রতিটা নারীকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে ।

আপনি নারী ,সংসদের স্পিকার নারী ,বিরোধীদলের নেতা নারী
নারীর অগ্রযাত্রায় আপনার সে কি গর্ব ।
এই ধর্ষিত মহিলার জননাঙ্গে তাকিয়ে আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত ।
এই ধর্ষিতার সন্তানের দিকে তাকিয়ে নিজেকে ধিক্কার দেওয়া উচিত।
আপনার দলের কুলাঙ্গার গুলোর কথা ভেবে আত্মহত্যা করা উচিত।
যে নারী প্রধানমন্ত্রী আরেকটা নারীর সম্ভ্রম বাচাতে পারেনা
তার প্রধানমন্ত্রীত্বের দরকার নেই ,আপনি যান উনুনে আগুন লাগান ।
কি করবো বলুন ,আপনার মত এই ধর্ষিতাও যে আমার মা ।

হে সুবর্ণচরের বাসিন্দা ,হে ধর্ষিতার সন্তানেরা
তোমরা এখনো নিথর হয়ে আছো!!!
তোমরা কি তোমার মায়ের পাশবিক নির্যাতনের বিচার চাইবে না
তোমরা কি রক্তে আগুন জ্বেলে হাতে মশাল নিয়ে রাজপথে নামবে না
মায়ের সম্ভ্রমহানীর প্রতিবাদে তোমরা কি আরেকটি গনমঞ্চ বানাবে না
তোমরা কি তোমার মায়ের জন্য স্লোগানে স্লোগানে কম্পিত করবে না শহর ,মাঠ ,ঘাট ,বন্দর হতে বন্দর ।
ওরে মুখপোড়ার দল ,
তোমরা কি হাত মুখ বাধা সুবর্ণচরের ঐ চার সন্তানদের চেয়েও দুর্বল হয়ে গেলে ???
আমি তোমাদের মত ঘাপটি মেরে চুপ করে বসে থাকতে পারিনি ,
আমি চিৎকার করে,আরও জোরে চিল্লাই চিল্লাই বলছি
আমি আমার ধর্ষিতা মায়ের সম্ভ্রম ফেরত চাই
আমি হায়েনা পশুদের প্রক্যাশে ফাঁসি চাই
আমি আমার বোনদের সম্ভ্রমের নিরাপত্তা চাই...
আমি তোমাদের মত চুপ করে থাকতে পারিনি...
সুবর্ণচরের ঐ ধর্ষিতা মহিলাটা-ই আমার মা ...