=============================
ধুমপান সতর্কীকরণ: ধুমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এই সিগারেটের ছ্যাঁকায় কারো জ্বালা পোড়া লাগলে তাহা ছাগুতালীয়। জীবিত ও মৃত কোন ব্যক্তির কারো খিঁচুনী উঠলে পাঠক দায়ী থাকবেন। আমিন।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: গোল্লাখাড়ু ও ব্লগবাচ্চা
=============================
আমি: মহামতী, বাংলা ছিঃনেমার ভবিষ্যৎ সমালোচক মোসাম্মাৎ ভেবে ভেবে খাতুন, আপনার কি সময় হবে একটু?
ভেবে ভেবে বলি: অবশ্যই। ঈদে কয়েকটা আলু-পরোটা বানানো ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই।
আমি: আপনার নিক 'ভেবে ভেবে বলি' হলো কেন?
ভেবে ভেবে বলি: আসলে আমি অনেক সিনেমা দেখি। কয়েকজন অভিনেতাকে নিয়ে আমার পাগলামি আছে। :#> :!> তারা যখন অভিনয় করে আমি ভেবে ভেবে দেখি, ভেবে ভেবে শুনি। তাদের কথা লিখার জন্য ব্লগে এসেছি, তাই ভেবে ভেবে বলি।
আমি: ঈদের দিনে আপনার একটা চাওয়া কথা বলুন।
ভেবে ভেবে বলি: বাংলা ছিঃনেমার দিকপাল, স্বাস্থ্যবান নায়ক জনাব জসিমের কোমরবাঁকানো নাচ অতিশয় মনোরম লাগত। তাঁর সাথে একটা ছবি তোলার শখ ছিল। মূলত তার মৃত্যুর পরে অভিমানে হলিউডি সিনেমার খবর পোস্টাই। আজ এই বিশেষ দিনে তাকে মনে পড়ছে। আমি যাই, এখন আমি ভেবে ভেবে কাঁদব।
=============================
তারার হাসি: কেমন আছেন?
আমি: ঈদের চাঁদের মতো আছি। আপনি?
তারার হাসি: ভালো নেই বেশি। চাঁদের হাসি আমার তারার হাসিকে ঢেকে দিচ্ছে এই ঈদে।
আমি: মাটিতে নেমে আসুন। ওয়েস্টার্ন মিলনের মতো গিটার বাজিয়ে আনন্দ করুন। ওয়েস্টার্ন গুলি করে ঈদের বেলুন ফুটো করুন।
=============================
আমি: গোল্লাখাঁড়ু, আমাদের রাডারে রোবোট আগমনের সংকেত দিচ্ছে। দেখো তো এটা কোন পাগল।
গোল্লাখাঁড়ু (কাঁকন): সরজমিন তরঙ্গসংকেত পর্যালোচনা করে বলা যাচ্ছে যে ইহা একটি নুশেরাটিস রোগে আক্রান্ত নানা-৫৬ বুদ্ধিমত্তার রোবোট।
আমি: সাবধান, কোন ভাইরাস-টাইরাস যেন না ঢুকতে পারে। এসব রোবোট-ফোবোটকে দূরে রাখো।
গোল্লাখাঁড়ু: ওকে ভচ।
আমি: শুনো, খাঁড়ু। আমি বস্ ডাকবে না। আর আগে জানতাম তোমার বানান-বিভ্রান্তি আছে, এখন দেখছি উচ্চারণ-বিভ্রান্তি-ও আছে। বসকে ভচ বলেছো।
কাঁকন: ঈদের আনন্দে।
(গোল্লাখাঁড়ু ও রোবোটের মাঝে কথোপকথন)
গোল্লাখাঁড়ু: কি চাই?
রোবোট (ভার্সন: নানা-৫৬): এখানে কি ওরস্যালাইন পাওয়া যায়?
গোল্লাখাঁড়ু: ওরস্যালাইন কেন?
রোবোট: আমার উপর কিছুক্ষণ আগে একটা রান্নার অপারেশন চালানো হয়েছে। এখন ওরস্যালাইন দরকার। আচ্ছা, তার আগে বলুন, পায়খানাটা কোন দিকে...
=============================
ফারহান: আশরাফ ভাই, এবারের ঈদে-ও দেশে যেতে পারলাম না।
আমি: কি হয়েছে?
ফারহান: চাকরীটা তো গতমাসে ছেড়ে দিয়েছিই। টাহা নাই, তারপর এক দোস্তের লগে মাইন্কা-চিপায় পড়েছিলাম।
আমি: কী রকম!
ফারহান: গিয়েছিলাম পল্টনে। ফেরার পরে দেখে উট-পাল আর আজরা-ফুল।
আমি: অটোগ্রাফ নিলেন বুঝি?
ফারহান: আজরা-ফুল দেখি উট-পালের কাঁধে বাদাম রেখে বিক্রি করতেছে। বন্ধুর ইচ্ছে হইল বাদাম খাইব কিন্তু পকেটে নাই টাকা। পরে প্রুথুমুতুন-আলুর একটা কপি দেখায়ে (নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে পরিচয় দিয়ে) বাদাম কিনতে হয়েছে। তাই মেজাজ বিলা।
=============================
নির্ভয় নির্ঝর: ইউএস ওপেন ফাইনাল আজ। রেজার ফিতাবারবার (রজার ফেদেরার) খেলবে। আমার প্রাইভেট (পেইভারিট) খেলোয়াড়।
আমি: রেজার ফিতাবারবার কি জিনিস?
নির্ভয় নির্ঝর: ইয়ে মানে, সেই কালো চুলের ফরাসী খেলোয়াড়টা আরকি। চ্যাম্পিয়ন হলো যে!
আমি: ও আচ্ছা। রজার ফেদেরার। ঈদে সালামী দিয়ে কি করলেন?
নির্ভয়: সব সালামী জামাচ্ছি। কয়েক লাখ হয়ে গেলে রেজার ফিতাবারবারকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাব। তারসাথে ময়মনসিংহ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে হাড্ডুডু খেলার একটা গোপন ইচ্ছে আছে।
=============================
আমি: জনাব স্বপ্নজয়। কেমন লাগছে আজকের আবহাওয়া?
পাক্নাভয়: আজকের আবহাওয়া রমনা পার্কে লুলামি করার মতো লাগছে। আমার পুরাতন প্রেমিকা লাইলীকে মনে পড়ছে। আহা, তার একটু খানি স্পর্শে আমি প্রেম ভাবতাম, তার ... (কান্নাকাতর চেহারা)
আমি: দুঃখিত, আপনাকে কষ্ট দিলাম। বিবাহ জীবন সম্পর্কে বলুন।
পাক্নাভয়: ভাই, আপনি বুঝলেন। বউরে এই দূর প্রবাস থেকে বুঝ দেয়ার জন্য সপ্তাহে কয়েকটা পোস্ট করা লাগে। তাতে তার প্রশংসা করা লাগে।
আমি: পাক্নাভাই, আপনার এই লুলাম-কাহিনী ব্লগে সংক্রামণ করার কি দরকার?
পাক্না: শুনো, ভ্রাতা। ব্লগটা হলো আমার জন্য সময়লিপি। ভবিষ্যৎ পাঠক আপনাদের কবিতা পড়বে ব্লগে আর আদিত্য বড় হয়ে জানবে তার বাবা কতো বড় লুল ছিলো।
=============================
আমি: নুবু, মেইল করার দরকার ছিলো না, এমনি বললেই হতো যে তোমাকে যেন পচানো না হয়।
নুবু: তবু-ও, শিওর হওয়ার জন্য করলাম আরকি। আমি সাধারণ ভদ্রমহিলা, আমাকে পচিয়ে লাভ কি? পচালে লুলাক্কু কামাল ভাইকে পচাও। ব্লগে এসে ভাব দেখায় উনি মন্তব্য কম করেন, সময় নেই। অথচ বইবিক্রি হয় না বলে সব বই নিজে টাইপ করে ওয়েবসাইটে তুলে। আহারে বেচারা, মাঝে মাঝে আমি গিয়ে হিট করে আসি।
আমি: আচ্ছা, তুমি তথাকথিত সব ছিলেভেরেটিদের পোস্ট উৎসর্গ করো কেন? এর আগে জনাব তুষারকে, শওকত ভাইকে এবার লেখক আহমেদ কামালকে উৎসর্গ করলেন। কারণ কি?
নুশেবা: ওরা ছিলেভেরেটি। ভবিষ্যৎতে আত্মজীবনী লিখতে পারে কেহ কেহ (যেমন লুল্লেখক কামাল ভাই), আমার উৎসর্গিত পোস্টের সূত্র ধরে আমাকে যদি বইয়ে স্মরণ করে! ইতিহাস হয়ে যাব।
আমি: আচ্ছা, প্রায় দেখা যায় বাঙালি মেয়েরা বিয়ের পরে স্বামীর অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করে নেয়- নিতে হয়। স্বামীমশাই ভাত না খেয়ে পোলাও খেতে চাইলে দেখা যায় মেয়েটি-ও অনেক ঘি দিয়ে পান্তাভাত করছে! তোমার সেইরকম কোন গুণ.....
নুশেবা: না, গ্যেঁদার বাপের থেকে সেরকম কিছু পাই নি। আমাকে লাকি বলতে পার। তবে.....
আমি (আগ্রহে): কী!
নুবু: ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা........
=============================
বঙ্গোপসাগরের একটি নয়া দ্বীপের সামচা-মুখপত্র দলের (সংক্ষেপে সামু) সভা হচ্ছে। উপস্থিত আছেন অনেকেই।
ঘড়িয়াল: দ্বীপের শামুকদের বর্তমান অবস্থা কি?
নির্লজ্জ-বিজ্ঞপ্তিলেখক: কয়েকজন বিদ্রোহ করতেছে। তাহাদের দমনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
ঘড়িয়াল (কিছুটা অসন্তোষের সাথে; অসন্তোষ হলে তিনি ইংরেজি ভাষায় কথা বলেন): You should be tolerant. This is our property, but we will allow some childish people to be here; otherwise, our children wouldn't have someone to play with!
হিভা: জনৈক আশরাফ মাহমুদ সাম্প্রতিক দ্বীপে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তাকে বহিস্কৃত করা উচিত।
নির্লজ্জ-বিজ্ঞপ্তিলেখক (হিভাকে): একটা কী আপনার সেই 'না-দেখে-চিহ্নিত-করুন' পুঁথি থেকে ডাইরেক্ট বলতেছেন?
হিভা:
মহামান্য ঘড়িয়াল: I guess, he's trying to satirize. Anyway, Observe his steps and microblog the circumstances. What do you say, fana?
হিভা (রাগে, মনে মনে): বাঙালি শামুকদের জন্য মাইরের উপর ঔষুধ নাই। তবু-ও বাঁচা গেল, এটা ফুল-প্যান্ট পরা....
ফানা: ঠিকাছে। এখন রমজান মাস, সংযমের মাস। দেখা যাক কি হয়।
=============================
আজিজ সুপার মার্কেট।
আলখেল্লাভাণ্ডার ড্রেনপাইপ: জাফর ইকবাল স্বৈরাচার। তিনি কৌশলে ক্ষমতার অংশদারী হওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের সমালোচনা করছেন না।
হাব্বা (পড়ুন- হা.মা.): ওই জিমি। তোর গুল্লিটা আমারে দেতো। এই ড্রেনপাইপ গন্ধ ছড়াইতাছে।
সুমন আহমেদ: আমি জোড় দিয়ে বলছি আলখেল্লাভাণ্ডারের যুক্তিতে লজিক আছে। আমাদের উচিত সব বিবেচনা করা, বদলে যাওয়া।
আরাশি: এই সুমন লোকটার প্রথমালুর মতন অবস্থা হয়েছে। বদলে যাওয়া কথা বলে, নিজের 'জোড়-দিয়ে-বলা' বদলাইতে পার্লনা।
হাব্বা: বাদ্দেন, আরাশিদা। ছাগুদের কচুরীপানা দেন, কাঁঠালপাতা দেয়া উচিত না। এটা আমাদের জাতীয় ফল, তাছাড়া সুগন্ধি।
আরাশি: আপনি ঠিক বলেছেন।
=============================
জেলীবু: তাইন্জা, কেমনু আছিস?
তানুজ: জেলীবু, ভালো নাই। খাই-খাই স্বভাবটা এখনো যায় নি! কতো ডাক্তার-কবিরাজ দেখাইলাম।
জেলীবু: আমার-ও মন্টা খার্প।
তানজু: ক্যান, জেলীবু। টম দৌড়ানি দেয় নাকি?
জেরীবু (নাক সিঁটকিয়ে): সেটা একটা কারণ, I hate tom-bod। তবে শুনছি এইবারের ঈদে অঞ্জু ম্যাডামের ছবি দেখাবে না। আমিন খানকে দেখতে ইচ্ছে করছে।
তানজু: জেলীবু, তুমি নাকি অফলাইনে থেকে ১৮+ আর ক্যাঁচাল পোস্ট পড়ো!
জেরী: আমি-ও তো মানুষ। আমার কী শখ-আহলাদ নেই। টম বদ ঈদে মাত্র একটা শাড়ি কিনে দিল। আমার একটা মাছক্কালির কতো শখ ছিল।
=============================
সবাক: আশরাফ, কেমনাছ?
আমি: এইতো, তুমি?
সবাক: ভালো নেই। ব্লগে আমারে জেনারেল করে রাখছে।
আমি: পোস্ট দিতাম?
সবাক: না থাক লাগবে না। বুঝলা নাস্তিকতা নিয়া কথা বললে কিছু মানুষের গায়ে আগুন ধরে যায়।
আমি: তুমি নাস্তিকতা নিয়ে কথা বলছ না। নাস্তিকতা আর ধর্ম-নিয়ে-কথা-বলা এক না।
সবাক: মহাত্মা হুমায়ুন আজাদকে মনে পড়ছে। এক দ্রোহি ছিলেন বটে।
আমি: আমি বুঝতে পারছি। শুধু কবিতা লিখে বা সাহিত্য করে মানুষ আলোচিত হয় না আজকাল। কেউ পাশাপাশি ছবি আঁকে, কেউ আলোকচিত্র করে। তুমি ধর্ম নিয়া নাড়াচড়া দিচ্ছ। তবে হুমায়ুন আজাদ একজনই জন্মায়, একজনই জীবনবাবু, একজনই রবিদা।
সবাক: আশরাফ কি আমার উপর ক্ষেপ্পা আছনি?
আমি: না, শুধু তোমার কবিতার আলোটাকে উস্কে দিলাম।