somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আশরাফ আল দীন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩০ বছর চাকরি করেছি; অবসর নিয়েছি কর্নেল পদবীতে ২০০৬ সালে। এরপর এযাবৎ প্রিন্সিপাল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে; এখন অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে। ‘স্কুল সাইকোলোজি’ নিয়েও কাজ করছি।

যুদ্ধ-বিধ্বস্থ হৃদয়ে কবিতার সুবাতাস

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধ-বিধ্বস্থ হৃদয়ে কবিতার সুবাতাস
- কর্ণেল জি, র, মো, আশরাফ উদদীন, পিএসসি, জি

‘গৃহযুদ্ধ’ কীভাবে একটি সমৃদ্ধ জনপদকে ছারখার করে দিতে পারে, আপন সংস্কৃতিতে স্থিত একটি বহমান জীবনধারাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে এবং বেহিসাব ক্ষতি করতে পারে সম্পদ ও জীবনের, তা আমরা বুঝতে পারলাম জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য হিসেবে সিয়েরা লিয়ন যাওয়ার পর। পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ সিয়েরা লিয়ন। দৃষ্টিনন্দন রাজধানী ফ্রি টাউনের তিন দিকে থৈ থৈ করছে আটলান্টিকের শান্ত শীতল জলরাশি। সারাটা বছরজুড়ে চমৎকার আবহাওয়া। দেশটির বিশাল ভূখন্ডজুড়ে নানা প্রকার মূল্যবান খনিজ সম্পদ। লোহা, রুটাইল, বক্সাইট, সোনা, ডায়মন্ড ইত্যাদির কি নেই সেখানে! মাটিও অত্যন্ত উর্বর। বাংলাদেশের অর্ধেক আকৃতির বিশাল ভূ-খন্ডে মাত্র অর্ধকোটি লোকের বাস! পাম গাছে ভর্তি সমগ্র দেশ! আফ্রিকার কালো মানুষেরাই এদেশের বাসিন্দা। বৃটিশরা শাসন এবং শোষন করেছে দীর্ঘকাল। দুঃখের কথা হলো, স্বাধীনতা লাভের পরও ঐক্যবদ্ধ থাকেনি দেশটি। এর ফায়দা উঠিয়েছে বিদেশীরাই! এদেশের মানুষগুলোই একদল আরেক দলের বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষ-বিরোধে প্রবৃত্ত্ব থেকেছে এবং অবশেষে যুদ্ধে নেমেছে বর্বর সহিংসতা নিয়ে।

অতি-সুন্দরীর যেমন বিয়ে হয় না এবং হলেও দূঃখই আসে পদে পদে, তেমনি এদেশের খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের প্রাচুর্য্যই যত সঙ্ঘাত ও দূঃখ বয়ে এনেছে সিয়েরা লিয়নের জন্যে। গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে সে দেশে চলছিল একনায়কের শাসন! এর প্রতিক্রিয়ায়, প্রতিবেশী দেশ লাইবেরিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে রগচটা যুবকদের একটি বিদ্রোহী গ্রুপ অমানবিক সহিংসতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আপন জনগণের উপর। শুরু হয়ে যায় ভ্রাতৃঘাতি গৃহযুদ্ধ। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের প্রক্রিয়ায় বাড়তে থাকে গোলা-গুলি, হত্যা, রক্তপাত, জ্বালাও-পোড়াও, এক কথায় সার্বিক ধ্বংসযজ্ঞ। সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে যুদ্ধরত দল-উপদলের সংখ্যা। যেকোন গৃহযুদ্ধে এমনই হয়! শতধা বিভক্ত যোদ্ধাদের সহিংসতার শিকার হয় নিরুপায় জনগণ। আইন-শৃঙ্খলা নেই, উৎপাদন নেই, ক্ষুধা নিবারণের খাবার নেই; কিন্তু অস্ত্র ও গোলা-বারুদ আসতে থাকে চতুর্দিক থেকে; এর কোন অভাব নেই! ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ দশ বছর স্থায়ী হয় সিয়েরা লিয়নের গৃহযুদ্ধ। প্রাণহানি ঘটে ৫০,০০০ এর বেশী মানুষের। লক্ষ লক্ষ লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। দেশের ভেতরেই গৃহহীন ও উদ্বাস্তু হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ সম্বলহীন মানুষ।


সিয়েরা লিয়নের মানুষগুলো যখন সত্যিকার অর্থেই রণক্লান্ত! সেই সময়টাতেই আমরা সেখানে গেলাম, ২০০১ সালের মার্চ মাসে, শান্তি স্থাপনের জন্যে। সাথে নিয়ে গেলাম কামান, অস্ত্র-শস্ত্র ও গোলা-বারুদ। যুদ্ধ বন্ধ কিন্তু সকল পক্ষের হাতেই অস্ত্র! অস্ত্র-সমর্পন নিয়ে দরকষাকষি চলছে। যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করেও আমাদের করতে হচ্ছে শান্তি স্থাপনের কাজ। ক্যাম্পগুলো আমরা স্থাপন করেছি দূর্ভেদ্য দূর্গ হিসেবে। শান্তিরক্ষার বিধিবদ্ধ সামরিক কর্মকান্ডের সাথে মানবিকতা, সামাজিক উন্নয়ন ও সেবার উপকরণ মিশিয়ে আমরা চেয়েছিলাম ওদের মন জয় করতে, ওদের চিন্তা ও হৃদয়ে খানিকটা জায়গা করে নিতে। ওদের বলতে, নানা দল-উপদলে বিভক্ত রণক্লান্ত যোদ্ধারা আর মার খেতে খেতে চিড়াচেপ্টা হয়ে যাওয়া সর্বশান্ত ও অসহায় জনগণ! ওরা কাউকেই বিশ্বাস করে না! আবার ওদের উপরও আস্থা-বিশ্বাস রাখার উপায় নেই! বলা যায়, আমরাই ওদের সকলের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছিলাম পুরোপুরি। তার প্রমাণ হলো, আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর (ব্যানআর্টি-১) হাতে অস্ত্র সমর্পনে সম্মত হয়েছিল লুনসারে অবস্থিত বিদ্রোহী বাহিনী। এর মাধ্যমেই শুরু হয়ে গিয়েছিল সমগ্র সিয়েরা লিয়নে সকল বিদ্রোহী বাহিনীর আত্মসমর্পনের কার্যক্রম। পুরো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর জন্য এটা ছিল এক বড় ধরণের সাফল্য; যার সুত্রপাত হয়েছিল বাংলাদেশীদের হাতেই।

আমাদের অবস্থান ছিল লুনসার নামক শহরে, রাজধানী ফ্রি-টাউন থেকে একশত কিলোমিটান দূরে। এখানেই ছিল আরইউএফ (রিভুলিউশনারি ইউনাইটেড ফ্রন্ট)-এর, কুখ্যাত ও দুর্দান্ত, ৫ম ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টারর্স। এর আগেও অনেকবার শান্তি চুক্তি হয়েছে এদের সাথে এবং প্রতিবারই তারা তা ভঙ্গ করেছে বলে দোষারোপ করা হয়। ওদের বক্তব্য হলোঃ সরকারি বাহিনী, এবং এমনকি জাতিসঙ্ঘ বাহিনীও, বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করেছে তাদের সাথে! বিরাজমান অবিশ্বাসকে আমরা প্রতিস্থাপন করেছিলাম আস্থা ও বিশ্বাস দিয়ে! সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলতা ও কঠোরতার সাথে মানবিকতা ও সহমর্মিতার মিশেল দিয়ে আমরা মিশে গিয়েছিলাম ওদের সাথে। সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় কাজ করে আমরা তাদের আস্থা অর্জন করেছিলাম, পুরো মাত্রায়। এককালের জনমানবহীন শহরে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করলো ধীরে ধীরে। যুদ্ধের ভয়-ভীতি কাটিয়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে জনপদ। এখানকার যুবকরা ফুটবল খেলার জন্যে পাগল! জনগণের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার জন্যে লুনসার স্টেডিয়ামে আমরা ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিলাম বেশ ক’বার এবং শহরতলী ও আশেপাশের গ্রামগুলোতে অনেক ফুটবল বিতরণ করেছিলাম। নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে এদেশের সব মানুষ যেন সঙ্গীতকে পছন্দ করে ও নৃত্যকে ভালবাসে। হাসতে হাসতে শরীর দোলানো নানা ভঙ্গীমার আফ্রিকান নৃত্য! তাই ব্যান্ড গ্রুপগুলো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এদেশে। আমাদের অনুমতি নিয়ে লুনসার টাউন হলে আয়োজিত ব্যান্ডের সঙ্গীত সন্ধ্যায় সমগ্র লুনসার শহর ভেঙ্গে পড়েছিল, মনে পড়ে। এভাবেই জন-জীবনে প্রাণ-চাঞ্চল্য ফিরিয়ে এনেছিলাম আমরা যুদ্ধবিধ্বস্থ এই শহরে। মৃত শরীরে ধীরে ধীরে প্রাণের লক্ষণ ফিরে আসার মতো প্রতিদিনের পরিবর্তন দেখে দেখে আমাদের একটি বছর কেটে গেল, লুনসারে। নীরবে শুরু হয়ে গেল দেশে ফেরার প্রস্তুতি।

দেশে ফেরার আগে লুনসার টাউন হলে এখানকার বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের পক্ষ থেকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে, এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো ব্যানআর্টিতে। আমরা উদ্যোগ নিলাম যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। অর্থাৎ সিয়েরা লিয়নের ও বাংলাদেশের নানা সাংস্কৃতিক উপাদান দিয়ে সাজানো হবে অনুষ্ঠানকে। এদেশের মানুষগুলো নানা গোত্রে বিভক্ত। গোত্রগুলোর যেমন আলাদা ভাষা আছে তেমনি এদের আচার-আচরণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ভিন্নতাও খুবই গভীর, স্পস্ট ও বৈচিত্রপূর্ণ। গৃহযুদ্ধের সময় প্রধান গোত্রগুলো ছিল পরস্পরের প্রতিপক্ষ ও রক্ত-পিপাসু শত্রু। সবচেয়ে বৃহৎ গোত্র দুটোর নামঃ তিমনি ও মেন্ডে। লুনসার এলাকায় তিমনিদের অধিবাস। আমরা তাই আমাদের সৈনিকদের কিছু তিমনি ভাষার গান, চুটকি, নাটিকা ইত্যাদি শেখার ব্যবস্থা করলাম আর উদ্যোগ নিলাম সেদেশের ক’জন যুবক-যুবতিকে বাংলা ভাষায় কিছু গান-অভিনয়-আবৃত্তি ইত্যাদি শেখানোর। এছাড়াও, আমাদের অফিসার ও সৈনিকরা মিলে জারী, সারি, দেশাত্মবোধক গান এবং সারা বছর ধরে অর্জিত নানা চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার কৌতুকপূর্ণ উপস্থাপনা দিয়ে একটি আকর্ষণীয় ও মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান সাজিয়ে নিলো। আফ্রিকার কালো মানুষের মুখে বাংলা ভাষার গান ও কৌতুক শুনে হল ভর্তি দর্শক বিমোহিত! আর, স্থানীয় মানুষগুলো ভীষণ আনন্দিত হলো যখন দেখলো হাজার হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশ নামক দেশটির কিছু মানুষ জড়তাহীন আন্তরিকতায় গান গাইছে, অভিনয় করছে এবং উপস্থাপন করছে তিমনি ভাষায়। আনন্দে-উল্লাসে ফেটে পড়লো উপস্থিত সকলেই। ফ্রি-টাউন থেকে আগত জাতিসঙ্ঘ সদরদপ্তরের ও অন্যান্য দেশের কন্টিনজেন্ট থেকে আগত মেহমানরা অবাক বিস্ময়ে দেখলো বাংলাদেশীরা এমন প্রতিকূল ও বৈরী পরিবেশেও কি অসাধ্য সাধন করেছে! গান-নাচ-অভিনয়-কৌতুক সবই হলো, বাকী রইলো কেবল আবৃত্তি ও কবিতা। অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে এসে আমিই আবৃত্তি করলাম দু’টি কবিতাঃ একটি বাংলায় আর অন্যটি ইংরেজীতে। বাংলা কবিতাটি বাংলাদেশী ক’জন ছাড়া অন্য কেউ বোঝার কথা নয়। এরপর আবৃত্তি করলাম ইংরেজী কবিতাটি! ইংরেজী ভাষায় লেখা বলে কবিতার বক্তব্য বুঝেছিল বিশাল হলেঘরে উপস্থিত স্থানীয় ও বিদেশীদের সকলেই। আমার কবিতা পাঠের সময় সুনসান নীরবতা নেমে এসেছিল সমগ্র হল জুড়ে। আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল গৃহযুদ্ধে সর্বশান্ত স্থানীয় মানুষগুলো। চোখের পানি রোধ করতে পারেনি বয়স্করা তো বটেই, এমনকি যুবকেরা-মহিলারা অনেকেই; বিশেষতঃ যারা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িত ছিল তারা! আলমামী নামের একজন যুব-নেতা আমাকে বলেছিল, “তোমার কবিতা আমাদের এতটাই নাড়া দিয়েছিল যে বিগত দশ বছরের নানা দূর্দশার কথা আমাদের মানসপটে এসে ভীড় করেছিল মুহূর্তেই! আমাদের না কেঁদে উপায় ছিল না!” ফাতিমাতু নামের একজন মাঝবয়সী এনজিও-নেত্রী কবিতাটি চেয়ে নিয়েছিলেন আমার নিকট থেকে, নির্যাতিতা মেয়েদের শোনানোর জন্যে। স্থানীয় গির্জার ফাদার কবিতাটির একটি কপি চেয়ে নিয়েছিলেন, সানডে ক্যারলে’ শেখাবেন বলে। পুরো ব্যাপারটাই ছিল কবিতার রচয়িতা হিসেবে আমার জন্যে পরম পাওয়া! আমি আল্লাহর প্রশংসা করছি। সত্যি বলতে কি, হৃদয় নিংড়ে লেখা এই কবিতাটি পড়তে গেলে আবেগে আজো আমার চোখ ভিজে যায়! পরে অবশ্য কবিতাটি ছাপা হয়েছিল ফ্রি-টাউনস্থ জাতিসঙ্ঘ সদরদপ্তর থেকে প্রকাশিত UNAMSIL Journal-এ। দেশে ফেরার পর আমার প্রকাশিত সিয়েরা লিয়নের স্মৃতিচারণমুলক গ্রন্থ “সাদা কাক ও কালো মানুষের গল্প” গ্রন্থেও কবিতাটি ছাপা হয়। নীচে ইংরেজী কবিতাটিই শুধু পেশ করছিঃ


GIVE ME SOME TEARS
Colonel Z. R. M. Ashraf Uddin, psc, G (Retired)

Give me some tears, O' world! Give me a drop of tear,
Whoever you are - a white, a black, a boss or a peer
O' people on the God's earth! Can you hear?
Give me some tears, O' World! Give me a drop of tear.

All over inside me you will find it dry,
That's the reason why I can't cry!
Whatever pain you force me to bear,
You squeeze my heart and my body you tear!

I can only look with motionless eyes,
Not even wet, it ignores all heighs!
Oh my God! All over it is dry!
I can't cry O' you see! Even if I try!

Seeing me so don't you be in fear,
I'm not a ghost, only I don't have tear;
'cause in Sierra Leone for past ten or more years,
I had been shedding
And shedding
And shedding all scalding tears!

I had cried when my toy was broken,
I had cried when they burnt my house;
I had cried when they send me to bush,
Forced me to starve and sleep with the mouse.

I had cried when they molested my mum,
Gagged me down and took my sister away;
I had cried when they dragged my dad,
We all cried when only fear was to sway!

We returned but again we were driven out by the war;
We became helpless, lost everything and it went too far!
Then we forgot to cry when each other they killed,
All over life was vacuum; only by war it was filled.

Now, I can't cry! I have no tear I'm exhausted;
The civil war has burnt and destroyed, left us wasted!
Nothing is clear why all these happened,
we were in the mist;
At the end we are left wounded,
bloody and tired like a beast.

It was their selfish power-struggle; hell had befallen on us;
O' World, see today! How shattered is this peace-loving mass!
O brothers, fathers, sisters, mothers! Lend me a drop of tear;
So that I may cry again, laugh and normal life can come near.

So much of pain and so much loss I can't alone bear;
Your helping hand has given me hope, O' world! You dear!
When I'm in need O' brethren of the world! You didn't sneer;
Give me some tear to bear the life; I shall be back, I swear!

Lunsar, Sierra Leone, 04 Feb 2002.

#সিয়েরালিয়ন #শান্তিরক্ষা #কবিতা #গৃহযুদ্ধ #peacekeeping #civilwar #sieraleone #poetry

Colonel Z. R. M. Ashraf Uddin, psc, G (Retired): An educationist, researcher and poet, is now the Principal of Orchid International School Dhaka. Writes in the pen-name: Ashraf Al Deen.

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৮
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে জাস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্রগ্রামে যৌথবাহিনীর ওপর ইসকনের এসিড হামলা সাত পুলিশ আহত।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

এসিড নিক্ষেপে আহত পুলিশ সদস্য



চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর ইসকন সমর্থকদের হামলা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসকন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭


INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি তাদের কাছেই যাবে তারা তোমার মূল্য বুঝবে....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪


মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, 'এই নাও, এই ঘড়িটা আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত বছর আগের। তবে, ঘড়িটা নেওয়ার আগে তোমাকে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×