স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বন্ধুত্বের। একে অপরের কাছে শতভাগ স্বচ্ছতাই এনে দিতে পারে সংসারে শান্তি। তবুও মানুষের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত থাকে যা কখনোই সঙ্গী বা সঙ্গীনিকে জানানো উচিত নয়। এতে সংসারে শান্তি নষ্ট হয় এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হারায়।
বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কের কথা কখনোই সঙ্গী বা সঙ্গীনিকে জানাবেন না। আর যদিও জানিয়ে থাকেন তবে ব্যক্তিগত সম্পর্কে যেনো প্রভাব না পড়ে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। আপনাদের যৌন সম্পর্কের পরেই হয়তো সঙ্গীকে আনন্দের সঙ্গে বলে বসলেন ‘ওঃ সেই সময়ের সম্পর্কটাই ছিলো ভালো।’ নিঃসন্দেহে পারিবারিক শান্তি নষ্ট হবে।
আপনার সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকা দেখা করতে চেয়েছে। আপনারা দেখাও করেছেন কিন্তু এটি যথাসম্ভব সীমিত এবং সঙ্গীর কাছে গোপন রাখাই ভালো। কারণ আপনার সুন্দর একটি সংসার আছে এরপরেও আপনি সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করছেন এটি মেনে নেয়া কষ্টকর।
আপনারা খুব সুন্দর এবং রোমান্টিক সময় কাটাচ্ছেন, এরমধ্যে হঠাৎ বলে উঠলেন ‘ও আমার সঙ্গে এভাবেই কথা বলতো।’ নিঃসন্দেহে এটি আনন্দময় সময়টিকে পুরো মাটি করে দেবে। অতীতে সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে অনেক কথা হয়ে থাকতে পারে কিন্তু সেটিকে বর্তমান জীবনের সঙ্গে তুলনা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আপনার আগের প্রেমের সম্পর্কটি হয়তো ভেঙেছে আপনারই ভুলে। আপনার সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকা হয়তো শতভাগ ঠিক থাকলেও, আপনি যেকোনো কারণে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তবে সাবধান ভুলেও আপনার প্রতারণার কথা জীবন সঙ্গী বা সঙ্গীনির কাছে বলবেন না। কারণ এতে করে আপনাকে সবসময় সঙ্গী সন্দেহের চোখে দেখবে। বারবার না চাইলেও উনি আপনাকে প্রতারক বলেই ধরে নিবে।
রোমান্টিক সম্পর্কে সারপ্রাইজ থাকবে না তা কি করে হয়! জীবন সঙ্গী বা সঙ্গীনিকে অবাক করে দিতে আপনি হয়তো তাকে একটা উপহার দিলেন। তিনিও খুশি হয়ে বলে উঠলো, এটি খুব সুন্দর হয়েছে। এতে আপনার খুশি হওয়ার কথা থাকলেও, আপনি হতে পারবেন না। কারণ আপনার মনে হবে, তাহলে কি এর আগের উপহারগুলো ওর ভালো লাগেনি। এজন্যে উপহার পেলে এভাবে অনুভূতি ব্যক্ত করবেন না।