মেসোপটেমিয় সভ্যতা গুলো থেকে যাদুবিদ্যার প্রচুর ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছে, যেখানে তিন শ্রেনীর পুরোহিতের কথা বলা হয়েছে----বারু, এরা ছিল যাদুকর ও গুনিক, এরা মৃত প্রানীর যকৃৎ, নাড়ি ভুড়ি দেখে ভবিষ্যৎ গণনা করতো। অসিপু নামের আরেক শ্রেনীর পুরোহিত ছিল ওঝা , এরা ভুত প্রেত তাড়াত! তবে যাদুবিদ্যায় যারা সবচাইতে বেশি ভূমিকা রেখেছে তারা হলো প্রাচীন মিশরীয়রা। চতুর্থ রাজবংশ প্রতিস্ঠা হাবার আগে থেকেই মিশরে ব্যাপক হারে যাদুবিদ্যার চর্চা শুরু হয়! ভুত প্রেতের আছর থেকে শুরু করে রোগব্যাধীর নিরাময় এমন কি সাপে কাটলেও তার প্রতিকারের জন্য আলাদা আলাদা যাদুবিদ্যার আশ্রয় নিত এরা, আর এইসব কাজ করার জন্য আলাদা আলাদা ওঝা ছিল! এরা নিগ্রো আর এশিয়ার মৃত নারীর আত্মা সম্পর্কে খুব ভয় পেত, আর ভয় করতো নিজের আত্না হারানোর! তারা মনে করতো যাদুকরেরা ইচ্ছা করলে যাদুর সাহায্যের অন্যের আত্মাও চুরি করতে পারে! তৃতীয় রামেসেসের সময়ে হুই নামের এক যাদুকর সম্রাট রামেসেস ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের মূর্তি বানিয়ে এর মাধ্যেম রামেসেসের বংশ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রও করেছিল একবার। ইহুদির মিশরে বন্দী অবস্থায় অবস্থানের সময়েই মিশরীয় যাদুবিদ্যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল! অবশ্য তাদের নিজেদেরও আলাদা বৈশিষ্ট্যময় যাদু বিশ্বাস ছিল।তাদের বিশ্বাস মতে স্বর্গভ্রষ্ট আদম পৃথিবীতে যাদুবিদ্যাসংক্র ান্ত একটা বিশেষ বই এনেছিলেন, যার নাম দ্যা বুক অব রাজিয়েল! আবার কারো কারো মতো স্বর্গভ্রষ্ট ফেরেশতা উজ্জা ও আজাইল একজন নারীকে যাদুবিদ্যার গান শিখিয়েছিলেন। ইহুদি যাদুকরেরা বাস্পস্নানের মাধ্যমে বলি আর উপহার দিয়ে অতিপ্রকৃত শক্তিকে বশ করার চেষ্টা করতো! এদের যাদু চর্চায় স্হূল যৌনাচার হত এছাড়া অল্পবয়স্ক বালকদের ব্যাবহার করতো অতিন্দ্রীয় শক্তির সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে। তারা মনে করতো যাদুবিদ্যার সবার পক্ষে আয়ত্বকর সম্ভব না, শুধু মাত্র বিশেষ দক্ষ ব্যাক্তিদের পক্ষেই এটা সম্ভব আর এই বিশেষ দক্ষ ব্যাক্তিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো কিং সলোমন! তার ' কি অফ সলোমান' বইটা পরবর্তীকালে যাদুবিদ্যার সর্বশ্রেষ্ট বই হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ গুলোতেও যাদুবিদ্যা আর ধর্মের একটা জটিল সংমিশ্রন দেখা যায়! স্বপ্নব্যাখ্যাও প্রাচীন যাদুবিদ্যার অঙ্গরূপে স্বীকৃতি পেয়েছিল। যেমন কৌশিক সূত্রে অনিষ্টকারী ভুত প্রেতাত্মাকে তারানোর জন্য সেই অশুভ শক্তির উদ্দ্যেশ্যে পাখি যে ডালে বাসা বাধে, সেই ডালের লাকড়ি দিয়ে রান্না করে খাবার উৎসর্গের কথা বলা আছে। কিছু বৈদিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে বলি দেয়া পশুর নাড়ি ভুড়ি ও অন্যান্য অংশ রাক্ষস আর সাপকে উৎসর্গ করা হতো! এখনকার সমাজেও এমন অনেক বৈদিক যাদুবিদ্যাগত প্রক্রিয়া এখনও চালু আছে। হরপ্পা মহেঞ্জোদারতে উৎখননে প্রাপ্ত রিং স্টোন গুলো যাদুবিদ্যায় ব্যাবহার করা হতো বলে জন মার্শাল ধারণা করেন। বলা হয় কেউ যদি এর পাশ দিয়ে যায় তাহলে তার পাপ খন্ডন হব! যেমন আফজাল খানকে হত্যার পরে পাপ খন্ডন করার জন্য শিবাজী এই পাথরের তলা দিয়ে পার হয়েছিলেন!! হরপ্পান রিং স্টোন, ধারণা করা হয় এগুলো যাদুবিদ্যায় ব্যবহার করা হতো! জাপানের প্রাচীন শিন্টো ধর্মের মধ্যে যাদুবিদ্যার প্রচুর উদাহরণ দেখা যায়। জাপানিরা বিশ্বাস করে চালের মধ্যে ব্লাক ম্যাজিক প্রতিহত করার বিশেষ শক্তি আছে, এছাড়া রাস্তার সংগমস্থলও তাদের কাছে বিশেষ ভাবে পবিত্র। এসব স্থানে তারা এখনও জননেন্দ্রীয়ের প্রতিক চিন্থ স্থাপন করে, বিশ্বাস করে এই প্রতিক অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখবে! জাপানিদের মতো চীনাদের ভুত প্রেত সম্পর্কে বেশ ভালই ভয় ভীতি ছিল। মজার ব্যাপার হলো, চীনের ঘরবাড়ি ও পুল নির্মানে একটা বিশেষ দেবতা চীনদের প্রভাবিত করেছে, এই দেবতার নাম হলো শা'। শা হলো একটা অপদেবতা, আর চীনারা বিশ্বাস করে এই অপদেবতা সব সময়ে সোজা রেখা বরাবর চলে, তাই এটাকে প্রতিহত করার জন্য চীনা স্থাপত্যশিল্পে ছাদে এত বক্রতা আর কোণ! পরবর্তি কালে তাওবাদ যেমন চীনা লোকসংস্কারকে প্রভাবিত করে, তেমন করেছিল কনফুসিয়াস। কনফুসিয়াসের 'আই চিং' প্রধানত ভবিষ্যৎ গননার জন্যই নির্দিষ্ট ছিল। যাদুবিদ্যা চর্চায় প্রাচীন গ্রীক আর রোমানরাও কম ছিলেন না। যাদুবিদ্যার দেবী হেকেটি। যাদু বিধান প্রয়োগের জন্য বিশেষ স্থানে নির্বাচিত করা হতো, যেমন গোরস্তান বা রাস্তার সংগমস্হল! গ্রীকরা যাদুবিদ্যার জন্য বিশেষ বর্নমালার সৃষ্টি পর্যন্ত করেছিল, এগুলো লেখা হতো পবিত্র কালি দিয়ে আর লেখার সময় বার বার পাঠ করা হতো, কারণ ধারণা করা হতো এভাবেই যাদুকর অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার অধিকারি হতে পারবে! ওয়ার উলফের ধারণটাও এদের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছিল! এছাড়া এরা ফেব্রুয়ারি শেষ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে তিন দিন ধরে প্রেতাত্মাদের উদ্দেশ্য একটা বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করতো, এখনও করে। রোমান জনসাধারণ 'বদ নজর' (evil Eye) কে বিশ্বাস করতো! তারা মনে করতো কুনজর লাগিয়ে মানুষ থেকে শুরু করে শস্য গবাদি সব কিছুরই ক্ষতি করা সম্ভব! এই ধারণটা আমাদের দেশেও এখনও দেখা যায়! ছোট ছোট শিশুদের কপালে বা পায়ের নিচে কাজলের টিপ লাগিয়ে কুনজর দূরে রাখার রিতী এখনও প্রচলিত আমাদের দেশে!
ব্ল্যাক ম্যাজিক ! বাচ্চারা ১০০ হাত দূরে থাক
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন