যদিও দুর্গাপূজায় ঐতিহ্য হিসেবে বাজানো হয় ঢাকই, তবু ঢোলও বাদ যায় না। আর এখানে আমি সচেতনভাবেই ঢোল কথাটির ব্যবহার করেছি।
===============
দক্ষিণে ঢোল উত্তরে ঢোল
পূর্বেও ঢোল পশ্চিমে ঢোল
ঢোলের তালে ঘুম আসে না রাতে
সে ঢোল আমার ছোটবেলার
দুর্গাপূজার ঢোল
-বাজে বন্ধু বাদল সাহার হাতে
শ্রীলংকায় কি এভাবে ঢোল বাজে?
কিংবা পাকিস্তানে?
সে আমার এ বাংলাদেশের
দুর্গাপূজার ঢোল আমার মাও জানে
অনিল কাকার অশিন জ্যাঠার
শ্রীধর ঋষির ঢোল
বাজে হরিপালের ঢোল
বাজে অজিত-মৃণাল-নরেশ স্যারের ঢোল
যেন ঐ যমুনার বোল।
পদ্মা নদী হেলেদুলে
গোমতি নদী নাচে
ঢোলের তালে না নাচলে কি
মুকুল রানী বাঁচে?
পলাশী আর আশীষ সাহার
নৃত্য দেখে ঐ নেপালের
কাঠমান্ডুর রাজার প্রাসাদ নাচে
কেউ কি আছে বাংলাদেশে
দুর্গাপূজার ঢোল না শুনে
একটা জীবন বাঁচে?
রচনা:
2 আশ্বিন 1400 বঙ্গাব্দ, গয়ামবাগিচা রোড,
পশ্চিম চান্দপুর, কুমিল্লা
নোট: 1993 সালে রচিত এ কবিতাটি আজ অবধি কেউ ছাপাতে রাজি হোননি। রচনার অনেকদিন পর 2006 সালের দুর্গাপূজায়ও ‘সাপ্তাহিক কুমিল্লার কাগজ’ পত্রিকায় কবিতাটিকে ছাপানোর জন্য ওই পত্রিকার তৎকালীন সাহিত্য সম্পাদক আমারই বন্ধু গল্পকার কাজী মোহাম্মদ আলমগীরকে দেই। কিন্তু আলমগীরও এই কবিতাটিকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ওই পত্রিকায় প্রকাশের ক্ষেত্রে আপত্তি জানান। সর্বশেষ এই ব্লগেই পেলো আজ এই কবিতা তার আত্মপ্রকাশের প্রথম অধিকার।