জাতি হিসেবে আমরা অনেক কনফিউজড।এদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা কখন কোন দলে যাবেন তা নিয়ে কনফিউজড থাকেন। অর্থনীতিবিদরা দুধে না মদে কর আরোপ করবেন তা নিয়ে মাথার চুল ছেড়েন। এমনকি ক্রিকেট মাঠে রান নেব নাকি নেব না এই করতে করতে ক্রিকেটেররা রান আউট হন। কনফিউশন সর্বত্র। তবে সব কনফিউশনের মাত্রা বোধহয় ছাড়িয়ে গেছে আমাদের প্রবাদ-প্রবচন গুলো। নিচের উদাহরণগুলো পড়ে কেউ আরও কয়েক কাঠি কনফিউজড হয়ে গেলে লেখক দায়ী নয়
১.
প্রথমে একটা পুরোনো জোকস-
রহিম সাহেবঃ বুঝলেন ছেলেটা অনেক দুষ্টামী শুরু করেছে। ওর জ্বালায় বাসায় টেকা কঠিন হয়ে পড়ছে।
করিম সাহেবঃ বাসা থেকে বের করে দিন। কথায় আছে "দুষ্টু গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো।"
রহিম সাহেবঃ "তা কি করে করি বলুন? একটাই তো ছেলে আমার।"
করিম সাহেবঃ রেখে দিন কথায় আছে। 'নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো।'
২.
কোন অভিজাত খাবার খেতে গিয়ে যদি না খেতে পারেন তবে শুনতে হতে পারে,'কুত্তার পেটে ঘি হজম হয় না।' এই ভেবে আবার গপাগপ সব খেয়ে ফেলবেন না যেন। হয়ত একটু পরেই হয়ত শুনতে হবে
'পোড়ামুখে সব ভালো লাগে'। তখন আপনার পোড়াকপাল দেয়ালে চাপড়ানো ছাড়া আর উপায় থাকবে না।
৩.
আভিজাত্য মৃত্যুর পড়েও অটুট থাকে। কারন 'হাতি মরলেও লাখ টাকা।' তবে ভুলেও যেন মরার আগে খাদে পড়তে যাবেন না, কেননা 'হাতি খাদে পড়লে চামচিকাও লাথি মারে।'
৪.
যেকোন কাজের শুরুটা ভালো না হলে সে কাজে সফল হওয়া অনেক কঠিন। কারন 'বিসমিল্লায় গলদ' বলতে একটা কথা আছে। এই কথা চিন্তা করে যখন হাল ছেড়ে দিতে যাবেন তখন মনে পড়বে,
'একবার না পারিলে দেখো শতবার।'
৫.
মহান হতে হলে বংশপরিচয় লাগে না, কর্মই আসল। ছোটবেলায় শুনেছেন নিশ্চয়ই
'নহে আশ্রাফ যার আছে শুধু বংশ পরিচয়
সেই আশ্রাফ জীবন যাহার পূন্য কর্মময়।'
এই পঙক্তিতে উদ্ভুত হয়ে বংশ পরিচয় ছাড়াই আশ্রাফ হতে গেলে পড়বেন বিপদে। লোকে স্রেফ 'গোবরে পদ্মফুল' বলেই উড়িয়ে দেবে।
৬.
স্মরণ করুন পুলিশকে শুনবেন 'চোরের মনে পুলিশ পুলিশ।'
স্মরণ করুন কোন চোরের কথা, শুনবেন 'চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।' আল্টিমেটলি আপনাকে চোর বানানো হবে। ইটস সিম্পল
৭.
নদীর পানি ঘোলা ভালো
জাতের মেয়ে কালো ভালো।
......উহু আপনি তো এটাও শুনেছেন
আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারি
৮.
শত প্রতিকূলতা আর হতাশার মাঝেও আমরা আশার বেলুন উড়াই। আশায় বুক বাঁধি। কেননা আমরা জানি যতক্ষন শ্বাস ততক্ষন আশ । কিন্তু সেই আশার বেলুন হঠাৎ চুপসে যায়, যখন শুনি 'অতি আশে সর্বনাশ।'