তরুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে মুহম্মদ জাফর ইকবাল একজন। তারা তিন ভাই-ই নিজ নিজ স্থানে প্রতিষ্ঠিত, দেশে সুপরিচিত।
রত্নগর্ভা মা আয়েশা ফায়েজ এর মেজো ছেলে হলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। নেত্রকোনার ছেলে হলেও বাবা ফয়জুর রহমান সরকারি পুলিশ কর্মকর্তা, সেই সুবাদে এক জায়গায় স্থির থাকতে পারেন নি। বিভিন্ন সময়ে স্থান পরিবর্তনের একপর্যায় পিরোজপুরে আসেন এবং ঠিক তখনই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
৭১এ পিরোজপুরের মানুষের কাছে "দেইল্যা" নামটা ছিলো এক আতংক। মানুষ আজকের "সাঈদী সাহেব"কে দেইল্যা রাজাকার নামেই চিনতো।
সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা পাঁচ নম্বর অভিযোগটি ছিলো, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাইফ মিজানুর রহমান, এসডিও ফয়জুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত এসডিও আব্দুর রাজ্জাককে হত্যা।
স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পিরোজপুরের তৎকালীন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাইফ মিজানুর রহমান সর্বদলীয়
সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। মে ১৯৭১ এ সাঈদী ও তার শান্তিকমিটির কয়েকজন সদস্য পাক বাহিনীর সাহায্যে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাইফ মিজানুর রহমান, এসডিও ফয়জুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত এসডিও কে ধরে নিয়ে যায় এবং বর্বর ভাবে হত্যা করে বলেশ্বর নদীতে লাশ ফেলে দেয়।
আজ ক্ষমা চাচ্ছি জাফর ইকবাল স্যারের কাছে। আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি। আপনার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়াটা মনে হয় আর হলো না।
রাজাকাররা দেশের মাটিতেই ঘুরবে, এই দেশের হাওয়া, বাতাস খেয়েই বেঁচে থাকবে দেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পিশাচগুলো!!!