আডলফ হিটলার। খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী। ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিকে নেতৃত্ব দেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি জার্মান বাহিনীতে স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি তৎকালীন জার্মানির ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি বা নাৎসি পার্টির নেতা হোন এবং জার্মান শাসন করেন।
ব্যক্তিগত ভাবে হিটলার ছিলেন কমিউনিস্ট বিরোধী এবং প্রচন্ড রকমের ইহুদী বিদ্বেষী। যার উদাহরণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেখা যায়। হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি সামরিক বাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হত্যা করে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখের উপর মানুষ!!! এর মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষই ইহুদী। ইতিহাসে এ অমানবিক গণহত্যা হলোকস্ট নামে পরিচিত।
কিন্তু বর্তমানে ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলী হামলার ফলে কিছু পাবলিক হিটলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে অফলাইনে সব জায়গায় হিটলারে দেয়া বাণী ছড়াচ্ছে। তাদের আফসোস কেনো হিটলার সকল ইহুদীদের মারলো না!!! অর্থাৎ, এক গণহত্যার নিন্দা করতে যেয়ে তারা ইতিহাস আলোচিত সবচেয়ে বড় গণহত্যাকে হালাল করে দিচ্ছে।
আসলে কি ঘটেছিলো??? হিটলার একজন চরম ইহুদী বিদ্বেষী লোক ছিলেন। তাছাড়া সেই সময়ে পুরো ইউরোপে ইহুদীর সংখ্যও যথেষ্ট পরিমানে ছিলো। হিটলার ব্যক্তিগত কারণ এবং ক্ষমতার জন্যই এই নৃশংস হত্যাকান্ড চালায়। আপনার কাছে ১ কোটি মানুষের মৃত্যু যদি কিছুই না হয়ে থাকে তবে ২শ মানুষের জন্য আপনার কান্না মানায় না।
কোন হত্যাই কাম্য নয়। হোক তা মুসলমান, ইহুদী, অথবা খৃষ্টান।
মানবতার জয় হোক