কাওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম গত বছর ৬ই এপ্রিল নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৫ই মের ঢাকা অবরোধের। ৫ই মে হেফাজতের কর্মীরা আবারও শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় এবং চালায় এক অমানবিক তান্ডব।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমানঃ ০১।৮২ টি ধর্মীয় বইয়ের দোকান। ০২।বাইতুল মোকারমের আশেপাশের মোট ৩০০টি দোকান যার মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা। ০৩।বিএইচবিএফসি এর ১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ০৪।জনতা ব্যাংকের ৫ কোটি টাকা। ০৫।৪০টি বাস সহ প্রায় ২০০টি গাড়ি। ০৬।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৫ কোটি টাকা।
তাছাড়া, তারা মতিঝিলের আওয়ামীলীগ অফিস, পুরানো পল্টন সড়কের কমিউনিস্ট পার্টির অফিস, সোনালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক সহ কয়েকটি এটিএম বুথ ভাংচুর ও লুটপাট করে।
৫ই মের এই তান্ডবের জন্য পরের দিন হেফাজতে ইসলামের নামে কয়েকটি থানায় মোট ৪২টি মামলা করা হয়।
আজ এক বছর পর মামলাগুলার দিকে তাকালে দেখা যায় একটি মামলারও কোন চার্টসিট করা হয় নি। নেই কোন গ্রেফতার। উল্টো সরকারের সাথে বর্তমানে হেফাজতের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে।
হাটহাজারি মাদ্রাসার কাছেই ১৬০ কাটা রেলওয়ের সরকারি জমি হেফাজতে ইসলামের কাছে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার বর্তমান মূল্য ৩২ কোটি টাকা। জমির মধ্যে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে,"লিজ সূত্রে এ জমির মালিক হাটহাজারি বড় মাদ্রাসা"। রেলওয়ের পুকুরের সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছে,"মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর অনুমতিক্রমে এ পুকুর ও স্টেশন এলাকার উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম পার্শ্বের ২.৬৪ একর কৃষি জমি ও পুকুরের দখলদার মালিক দারূল উমূল মঈনুল ইসলাম হাটহাজারি মাদ্রাসা"। জমির বিষয়ে আহমদ শাহ এর পুত্র মাওলানা আনাস সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে।
আবার, চট্টগ্রাম মহানগরীর কয়েকজন হেফাজতের নেতা থেকে জানা গেছে ডিসেম্বর থেকে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে আহমদ শফির নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।
তাহলে সাধারণ মানুষ কি ভেবে নিবে???? যেই হেফাজত এই সরকারের বিরুদ্ধে ছিলো, যারা গ্রামেগঞ্জে সরকারের নামে কুৎসা রটিয়ে গিয়েছিলো আজ তাদের সাথেই সরকারের ঘেঁষাঘেঁষি!!!! সত্যিই রাজনীতি এক আশ্চর্যের বিষয়