হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশের কাওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক একটি সংগঠন। এটি প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ২০১০ সালে ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষানীতির বিরোধীতার মধ্যদিয়ে। সংগঠনটির বর্তমান প্রধান আল্লামা আহমদ শফি।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করলেও তাদের ১৬ কলা পূর্ণ হয় রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে। নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির দাবি নিয়ে হেফাজত রাজপথে নামে।
এ দাবির ভিত্তিতে তারা ৬ই এপ্রিল মতিজিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে এবং ৫ই মে ঢাকা অবরোধের ঘোষণা দেয়।
৫ই মে প্রথম থেকেই তারা ঢাকার ৬টি প্রবেশ পথে অবস্থান নেয়। তাদের সহায়তা করে বিএনপি এবং জামাতের কর্মীরা। শহরে ঢুকে তারা শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা শাপলাচত্বর ও তার আশে পাশের এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। তারা প্রায় ৩০০টি দোকানে আগুন দেয় এবং তাতে কুরআন সহ অসংখ্য ইসলামী বই পুড়ে যায়। তারা বিভিন্ন দোকানপাট এবং ব্যাংক ভাংচুর ও লুটপাট করে। বেশ কিছু এটিএম বুথ ভাংচুর করে টাকা পয়সা লুট করে নেয় তারা। বেশকিছু গাড়িতেও তারা আগুন দেয়। গুলিস্তানের আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে তারা ১০টি হাত বোমা ফাটায়। পুরানো পল্টন সড়কের কমিউনিস্ট পার্টির অফিসেও তারা অগ্নিসংযোগ করে। মতিঝিল এলাকার সকল গাছ তারা কেটে ফেলে রাস্তা অবরোধ করে। এমন কি নারী সাংবাদিকের গায়েও তারা হাত তোলে। এসব সহিংসতার পেছনে বিএনপি এবং জামাতের কর্মীদেরও হাত ছিলো। বিএনপি জামাত হেফাজতের সাথে হাত মিলিয়ে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র শুরু করে।
এক পর্যায়ে হেফাজতের তান্ডবে নগরবাসীর নিরাপত্তা যখন হুমকির সম্মুখীন তখন সরকার তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ বিজিবি ও যার্বের যৌথ অভিযানের মাধ্যমে হেফাজতের কর্মীদের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় হয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪