আমার খালাতো বোনের ছেলের নাম সাহিল। বয়স সাত আট বছর হবে। আমার এখানে মাঝেমধ্যে আসে কম্পিউটারে গেমস খেলতে। কোন কোন দিন গেমসের নেশায় রাতের বেলাতে আমার কাছে থেকে যায়। সকাল হলে দিয়ে আসতে হয়।
গতকাল মা ছেলে দুজনায় আমার এখানে এসেছিলো। রাতে আমি বসে বসে ব্লগ পড়ছি। এমন সময় সাহিল কাছে এসে বললো-
---মামু গেমস খেলবো।
---আজকে তোমাকে খেলতে দিবনা, শুনলাম তুমি আজকে ঠিকমত পড়ালেখা করনি।
---না আমি আজকে সব পড়া করেছি, মামু গাড়ির খেলাটা খেলবো।
---আচ্ছা একটু অপেক্ষা করো তোমাকে খেলতে দিচ্ছি। সেই সময় ব্লগে আমি একটা মন্তব্য লিখছিলাম। সে তখন আবার জিগ্গেস করলো, মামু কি লেখো?
---আমি বললাম কবিতা লিখি।
---মামু আমি কবিতা লিখবো।
---এই যে, কাগজ কলম নাও, সুন্দর করে একটা কবিতা লেখতো দেখি।
---না আমি কম্পিউতারে লিখবো । আমি দুইতা কবিতা লিখেছি, স্যাররা বলেছে খুব সুন্দর।
---আমি বললাম একটু দাঁড়াও এই লেখাটা শেষ করেই তোমাকে দিচ্ছি, কিন্তু কথা না শুনে এত বিরক্ত করা শুরু করলো, আমি আস্তে করে একটা ধমক দিতেই সে ঠোঁট উল্টিয়ে হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করলো । বাচ্চার মা দৌড়িয়ে আসলো।
--- কি ব্যাপার কি হলো কাঁদছে কেন??? আমি বললাম এই এই ব্যাপার।
--- একটা কবিতায় তো লিখতে চেয়েছে তাই বলে তুই ওকে এভাবে কাঁদাবি ।
--- এখানে বাচ্চারা তো লেখা লেখি করেনা।
--- আশ্চর্য বাচ্চা কাঁদছে একটা কবিতা লিখতে চায়, বড়রা সেটা পড়লে কি মহাভারত অসুদ্ধ হয়ে যাবে?
শেষে হার মানলাম সে তার কবিতা বলে গেল আমি টাইপ করতে থাকলাম। কবিতা লেখা শেষ হলে মায়ে জানতে চায় কবিতা প্রকাশ করলিনা!! আমি বললাম প্রকাশ করে দিয়েছি আগে মডারেটররা দেখবে আজে বাজে কিছু লেখা আছে কিনা তার পর তা প্রথম পাতায় আসবে, তাই কিছুটা সময় লাগবে।
কালকে রাতে দিতে পারিনি, এখন দিয়ে দিলাম।
শিরোনাম ছাড়া ছড়া।
একদিন এক খেকশিয়াল আসলো বাড়িতে
মুরগিরা সব পালিয়ে গেল নাচতে নাচতে
বাঘ মামা বললো শিয়াল কে
তুমি মুরগি কেন খাও
আমার বড় খিদা লাগছে
আমায় দুটা দাও
শিয়াল তখন বললো,
নিজে ধরে খাও।
বাঘ মামা তখন গেল রেগে
শিয়ালের ঘাড় মটকে দিলো
বললো আমার সাথে বেয়াদবি করার মজা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২