(জাতিয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সকল কচ্ছপের উদ্দেশ্যে নিবেদিত)
কচ্ছপ বস্তায় লবন টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। গিরগিটি আপছে লবনের বস্তার উপর বসে মালিকানা দাবি করল। কচ্ছপ যতই বলে বস্তার দড়ি তার হাতে বাধা, কে শোনে কার কথা। গিরগিটি বলেছিল রাস্তায় যে যা কুড়িয়ে পায় সেই তার মালিক হয়! আমি রাস্তায় এই বস্তা কুড়িয়ে পেয়েছি, কাজেই বস্তা আমার!
তখন কচ্ছপ বলল চল আমরা বিচারকের কাছে যাই। দুই জনে বিচারকের কাছে গিয়ে সব খুলে বলল। বিচারক রায় দিল সমান ভাগ করে নাও। গিরগিটি বস্তা থেকে অর্ধেক লবন রেখে বস্তা সহ বাকী লবন নিয়ে গেল।
বেচারা কচ্ছপ অতি অল্প লবনই নিতে পারল। তবে কচ্ছপ আমাদের মত গাধা ছিল না। সে তক্কে তক্কে থাকল কখন গিরগিটিকে বেখায়ালে পাওয়া যায়। একদিন পেয়েও গেল। সে পেছন থেকে যেয়ে গিরগিটিকে কামড়ে ধরল!
গিরগিটি অবাক হয়ে বলল কর কি কর কি? কচ্ছপ বলল আমি তোমাকে রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছি, কাজেই তুমি আমার! অনেক বিতন্ডার পরে তারা আবার বিচারকের কাছে গেল।
বিচারক সব শুনে বলল, রায় পূর্ববৎ। কচ্ছপ বিলম্ব না করে গিরগিটিকে দুই ভাগ করে ফেলল।
তাহলে আমরা কি শিখলাম? রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া মালের বিচারের রায় জানা হয়ে গেল। প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সুবিধামত পাওয়া মাত্র এক্কেবারে সমান ভাগ করে ফেলতে হবে। ওদের ভাগে দিতে হাত আর পা, যাতে করে ওরা ওদের ভাগ হাতে করে পায়ে বয়ে নিয়ে যেতে পারে। বিচার ন্যায্য হতে হবে তো!
[এটা একটি উপকথা]