এতদিন পরে টের পেলি চড়ুই? আঙ্গুল ভর্তি রোদ নিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছিলাম পালক,বিলি কাটতে কাটতে তোর যত মৃত ত্বক উড়ে উড়ে যাচ্ছিল হাওয়ায়। কেমন করে যেন আলেখ্য ফুঁড়ে বেড়ে উঠছিল সাহস, খসে খসে ফেলে কেমন আড়াল মগজের গাঢ় ছায়াতে গোপন নাম ধরে ডাক দিলি আমার,ওখানে কম্পন ছিল, আমার শীত ছিল ভীষণ!
বেশতো ছিলি,তবু কেন সাজঘরে আয়না ভেবে এ চোখে দেখে নিলি চোখ!
এই যে উড়ন্ত জেনোয়া, সেসব কুয়াশার নাম ছিল কোন? কিছু? আমরা ওদের শিষ দিয়ে ডাকতে পারতাম যে কোন দোয়েলের গলায়। ও গান তোকেই মানায় যে গান নিজের করে নিতে ফেলে রেখে এসেছি সরিষা ক্ষেতে। যে গান চুমু খেতে গিয়ে রেখে দিয়ে এসেছি তোর ঠোঁটে, তোর গ্রীবা, তোর দীর্ঘশ্বাসে।
একলা হাঁটা, এযেন শিষ দিয়ে ডেকে যাওয়া তোর নাম, কপিলা প্রিয় সুখ, ওতো আমার বুকেও বাজে। আয়নাবন্দি শ্বাসে বেজে ওঠে প্রিয় সাবানের বাস, গ্রীবা অবধি প্রসাধনে বোটা খসা বকুলের ঘ্রাণ, থামি হয়ে থাক আমার চৌচির হাতগুলো, যতদিন গুটিয়ে না নিতে পারি অভয় টুকু সাধারণ করে নিস।
আয়নামন্দিরে পালক চিৎকার শোনাতে চাসনা শুধু। খুন হয়ে যাবো, একই বৃত্তের ভেতর খাঁচা হয়ে যাবো, মেঘকালো আঁচল দোল দিয়ে শ্রাবনে ভিজিয়ে নেবো বৃষ্টি ব্যালকনি অথবা বারোমাসে একটি ঋতু যার নাম তোকেই নিতে হবে বারবার।