এবারের বইমেলায় আমার একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে পেন্সিল পাবলিকেশন্স থেকে যেটা এখন বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে অর্ডার করা যাচ্ছে। কেউ যদি উপন্যাসটি পড়তে চান তবে অর্ডার করতে পারেন রকমারি থেকে , দূরবীন থেকে এবং , প্রথমা থেকে । আমার কলমের নাম চারুলতা আরজু। এই নামেই উপন্যাসটি প্রকাশ পেয়েছে। আশা করি আপনারা কেউ না কেউ বইটি নিশ্চয়ই সংগ্রহ করবেন এবং আমাকে জানাবেন কেমন লেগেছে। সামু ব্লগের কাছে আমি চিরজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো এবং এখানকার বেশ কিছু লেখকের কাছেও চির ঋণী হয়ে থাকবো। কারণ এখান থেকেই আমার লেখালেখি কিছুটা হলেও পূর্ণতা পেয়েছে, এবং অনেক কিছু শিখেছি। আর বহু বছরের একটি ইচ্ছা এ বছরই পূর্ণ হলো।
বইটি সম্পর্কে সামান্য তথ্য নিচে দেয়া হলো।
ঢাকা শহরের বারান্দার গ্রিল ধরে মনের বিষাদগুলো দূরে নিক্ষেপ করতে গেলে পাশের বাড়ির বারান্দা পর্যন্তই চোখ যায়। তবুও দূরে সরে যাওয়া সম্পর্ক যখন আরও দূরে সরে যায় তখন খুব কাছের বারান্দাটিও অনেক দূরের মনে হতে থাকে রাইমির । হৃদয় কেঁপে ওঠে ঝরের মাতম হাওয়ায়। তবে বৃষ্টি ভেজা শহরের এক চিলতে বারান্দায় লতিয়ে ওঠা কুঞ্জ লতায় ঝুলে থাকা পানি আর বৃষ্টির ছিটা কোথা থেকে যেন বিন্দু বিন্দু স্বস্তি নিয়ে আসে রাইমির মনে । তারপর এক ভরা পূর্ণিমার রাতে জ্যোৎস্নায় ভেজা বাতাস ঢেলে নিয়ে আসছে যাদুকরী সূর। কে গাইছে এ গান? যে গান রাইমিকে আঁধার করা ঘরের দরজা খুলে মুক্ত করে দিতে চায়!
ওদিকে যূথিকা যে কিনা কড়কড়ে নোট দিয়ে চকচকে সুখ কেনে। ঠোঁট জুড়ে তখন প্রশস্থ হাসি ঝলমল করে । আনন্দের দ্যুতি বেরিয়ে আসে। আত্মবিশ্বাসে এক্কা দোক্কা খেলে মন। কি করে দূরে ঢেলে দেবে সেই টাকার স্রোতকে! তাইতো সুখের পায়রা হয়ে উড়াল দেয় পঞ্চাসঊর্ধ্ব একজনের স্ত্রী হয়ে । কিন্তু রাতের আঁধারে রমণী হতে হয় যূথিকাকে, যাকে রমণ করে তৃপ্ত হয় বেপরোয়া অথবা অসুখী পুরুষেরা। যূথিকা কে? কি করে এলো এই আঁধার করা বারবণিতার জগতে?
স্বাধীনচেতা সাংবাদিক এবং ব্যরিস্টার অনন্যা, যার বিয়ের জটিল শর্তগুলো পালন করার মত মানসিক শক্তি নেই। সে স্বাধীন খোলা সম্পর্কেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। নির্ঝঞ্ঝাট কর্তব্যহীন মুক্ত সম্পর্কে থাকতে চায়। কিন্তু মানুষ চাইলেই কি স্বাধীন খোলা সম্পর্কে থাকতে পারে ? একজনের ভালোবাসার বন্ধনে বাঁধা পড়াই কি মানুষের পরম চাওয়া নয়?
রাইমি, যূথিকা এবং অনন্যা এই তিনটি চরিত্র নিয়েই খোলা সম্পর্ক উপন্যাস। এরা কি অসম্পর্কের বাহুর ভুজঙ্গকে আটকে আছে, নাকি মুক্ত খোলা সম্পর্কে আছে সেটা পাঠকই বিচার করুক। চাইলে বিচারকের ভূমিকায় থাকতে পারেন আমার উপন্যাসের পাঠক হয়ে।
নাম : খোলা সম্পর্ক
লেখক : চারুলতা আরজু
ধরন : উপন্যাস
প্রকাশনী : পেন্সিল পাবলিকেশনস
প্রচ্ছদঃ নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
মুদ্রিত মূল্য : ৩০০
ফ্ল্যাপ থেকে -
জীবন প্রকৃতির নিয়মে চলে যায় তার নিজস্ব গতিতে । যেখানে প্রকৃতির মতই ঋতু বদলায়। কখনো রং ছড়ায়, কখনোবা রং বিনাশ হয়ে নির্জীব হয়ে যায় জীবন। তবে জীবন নতুন করে ফিরে পায় অন্য কোন রং, স্বাদ অথবা গন্তব্য। “খোলা সম্পর্ক” উপন্যাসিকায় এমন তিনটি প্রধান চরিত্র রয়েছে যাদের জীবন প্রকৃতির মত ভরাডুবির জীবনচক্রে আবর্তিত । চলমান জীবনের জয় পরাজয়, রহস্য, মানসিক দ্বন্দ্ব ও চাপ, চরম দুর্গতি তবুও আশাবাদের এবং মুক্ত তবে জটিল সম্পর্ক নিয়েই “খোলা সম্পর্ক” উপন্যাস।
ঢাকা শহরের জনাকীর্ণ একটি এলাকায় বেড়ে উঠা মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে রাইমি,পেশায় একজন সাংবাদিক, চারকুল ছাপিয়ে যখন প্রখর বিষণ্ণতায় ভোগে তখন জীবনের চলতি পথে আবিষ্কার করে তার থেকেও অনেক বেশী ধূসর জগতে বিপন্ন মানুষের জীবন। যাদের প্রশস্ত এবং প্রাণবন্ত হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে শীতল ধূসর দুঃখ জগত। আরও দুটি প্রধান চরিত্র হচ্ছে অনন্যা যে একজন মেধাবী বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার এবং সাংবাদিক। যূথিকা অপরূপা সুন্দরী বলরুম ডান্সার। এই তিন চরিত্রকে ঘিরেই ঘটনা চক্রে আসে অনেক চরিত্র।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১২