“হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে ময়ূরের মত নাচেরে। শত বরনের ভাব উচ্ছ্বাস কলাপের মতো করেছে বিকাশ, আকুল পরান আকাশে চাহিয়া উল্লাসে কারে যাচে রে”।।
রবি ঠাকুর কারে যেচেছে তা তো জানা। ঘনধারা যখন নবপল্লবে ঝরে তখন রবি ঠাকুরের হৃদয় নেচে ওঠে। কিন্তু আমরা তো ঘনধারার নির্যাতনে অতিষ্ঠ। তবে আজ কি হতে চলেছে? আজও কি ঘনধারার অবিরাম প্লাবনে হৃদমাঝে বিঁধিবে শূল? নাহ, প্রকৃতি অবশেষে যেন দক্ষিণাস্বরূপ দান করেছে একটি বৃষ্টিহীন সকাল। স্মিতাকে ডেকে তুললাম প্রকৃতির আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য। আজ আর ঝর ঝর বর্ষার ব্যাথাতুর নিনাদ শোনা যায় না। আকাশ যদিও গোমরামুখো তথাপি সময় আর প্রকৃতির কাছে ধার নিয়েছি স্বচ্ছ সকাল। আর তাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে শুরু হল সিলেটে আমাদের তৃতীয় দিন।
গতরাতে ‘উণদাল’ রেস্টুরেন্টে বসে ঠিক হয়েছিল মাধবকুণ্ড যাওয়ার পরিকল্পনা। জাফলং এর অভিজ্ঞতা কিছু বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছিল। বর্ষার এই সময়ে এখন প্রায় সব জায়গায় থই থই পানির অবিরাম ধারা। তাই টিপু বলল বিছানাকান্দি আর রাতারগুলে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিতে। বিছানাকান্দি বলতে চোখে ভাসে কিছু স্থিরচিত্র। পাথরের বালিশে শুয়ে পাহাড়ের কোল বেয়ে ধেয়ে আসা জলের সাথে মিলন- এভাবেই সংজ্ঞায়িত করা যায় বিছানাকান্দিকে। অন্তত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যে ছবিগুলো দেখেছি তার সূত্র ধরে বিছানাকান্দির ছবিটা আমার কাছে এমনই। টিপুর কথামতে সেই বিছানাকান্দিকে আমরা এখন গিয়ে পাবো না। পানির ঢলে নাকি পাথরের বালিশগুলো ডুবে আছে! রাতারগুলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নয়নাভিরাম এই সোয়াম্প ফরেস্টটি এবার না দেখা হলেও অন্য কোনসময় নিশ্চয় ঘুরে যাবো।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল ট্রেনে করে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া যাবো। সেখান থেকে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। হোটেল থেকে বের হয়ে সোজা রেলস্টেশন। বিধিবাম! টিকেট নেই। অগত্যা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বাসে বড়লেখা পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে মাধবকুণ্ড যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিক হল। বলে রাখা ভালো যে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলি অঞ্চলে অবস্থিত এই মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক। ছোটবেলা যখন এখানে এসেছিলাম তখন এটি ইকোপার্ক হিসেবে গড়ে ওঠেনি। পার্কটির অনেকটা ভিতরে অবস্থিত অপরূপ জলঝর্নার আধার এই মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। বাসে করে দু ঘণ্টার ভ্রমণ। এককথায় অসম্ভব সুন্দর রাস্তা। গতদিন জাফলং যাওয়ার সময় যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা এখনো দগদগে। স্মিতার তাই আপত্তি ছিল বাস ভ্রমণে। কিন্তু অন্যকোন উপায়ও ছিল না। এবার ভ্রমণে আমাদের দুজনের মুখেই হাসি। নির্বিঘ্নে চলে এলাম বড়লেখা। সকালবেলা নাস্তা করে আসার সুযোগ ছিল না। বড়লেখায় নেমে তাই কিছু মুখে দিয়ে নিলাম আমরা। এবার বাকি পথটা যেতে হবে সিএনজি তে। ৪০০ টাকা চাইলেও শেষমেশ ৩০০ টাকায় ইকোপার্ক পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ঠিক করে ফেললাম সিএনজি। রাস্তার অবস্থা খারাপ না। মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক যাওয়ার পথে পড়লো বেশকিছু চাবাগান। অদ্ভুত হলেও সত্য, দুটি পাতা একটি কুড়ির এইদেশে ঘুরতে এসে ৩ দিন হয়ে গেলো, কিন্তু আমরা এখনো চাবাগানের দেখা পায়নি। সিএনজি থামিয়ে ঝটপট কিছু ছবি তুলে ফেললাম চাবাগানের। টিপু এখানেও তার ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে ভুল করেনি। নিত্যনতুন ভঙ্গিতে তার ছবিতোলার আইডিয়া। আমার মাথায় কেন এইসব চিন্তা আসে না সেই নিয়ে কিছুক্ষন মাথা চুলকালাম। ১ ঘণ্টার কিছু কম সময়ের মধ্যেই চলে আসলাম মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে। বাংলাদেশের পর্যটন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়নে ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে তোলা এই ইকোপার্কটিকে পার্ক হিসেবেই গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। সাথে যোগ হয়েছে প্রকৃতির দানস্বরূপ বিশাল বিশাল গাছ, পাখপাখালির কিচিরমিচির, পাহাড়ের গা নিঃসৃত অপরূপ ঝর্ণা। ৩০ টাকার টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকে অনেকটা পথ হাঁটার পর দেখা দেয় কাঙ্ক্ষিত জলপ্রপাত। পথিমধ্যে পরল পর্যটন কর্পোরেশনের রেস্টুরেন্ট আর একটি কালীমন্দির। ১০ তলা দালানসম উচ্চতার উপর থেকে নেমে পরা পাহাড়ি ঝর্ণা যেন গায়েমনে এক শিহরণ জাগায়। আমরা তিনজন অদ্ভুত বিস্ময় নিয়ে এই বিস্ময়লোকে দাড়িয়ে তিন জোড়া চোখে পান করছিলাম প্রকৃতির সুধা। স্মিতার জীবনে দেখা প্রথম ঝর্ণা এটিই। তাও এতো কাছ থেকে। স্বভাবতই মনের মুকুরে নৃত্যের ঝঙ্কার বাজছিল তা থৈ তা থৈ। স্মিতার উচ্ছ্বাস আর আনন্দ ছিল দেখার মতো। এখানেও সেই আগের মতোই স্মিতার সাথে আমার পার্থক্য। আমার বিস্ময়ের বস্তু আলাদা। ঝর্ণা টানে না আমায়। পাহাড়ের গায়ে বেড়ে ওঠা বড় বড় গাছগুলোর শৌর্য বীর্যে মোহিত আমি। প্রশ্ন জাগে ইকোপার্কের ভিতর বসবাস করা মানুষদের জীবনধারা সম্পর্কে, ভাষা সম্পর্কে। ফেরার পথে পার্কের ভিতর স্থানীয় ছোট ছেলেমেয়েদের একটি দল খেলাধুলা করছিল। তাদের দেখতে দেখতে এগুচ্ছিলাম। বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করলাম তাদের মুখের বুলি। অচেনা, অজানা – এ কি ভাষায় কথা বলছে এরা? টিপু অনেক্ষন দাড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করলো। নাহ, বুঝতে পারলাম না। পৃথিবীর অচেনা অজানাকে জানতে গিয়ে উপলব্ধি আমাদের ক্ষুদ্রতা- এই ব্রহ্মাণ্ডের বিশালত্বের মাঝে। কতো কি অজানা অচেনা পড়ে আছে চোখের সামনে তা জানার সুযোগ হয় না। ১ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় কাটিয়ে আমরা পার্ক থেকে বেড়িয়ে আসলাম। সিএনজি যোগে আবার বড়লেখা। টিপুর সাথে সিলেট ভ্রমণে আমাদের শেষদিন আজই। সিলেটে পড়ালেখার জন্য থাকলেও এই ঈদের ছুটিতে সবার মতো তাকেও বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। বড়লেখা এসে টিপু ছুটল হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে আর আমরা আবার সেই সুন্দর পথে ফিরে আসলাম সিলেট শহরে। গত তিনদিন সুবিধা-অসুবিধা, সুখদুঃখ,রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে আমাদের সাথে ছিল টিপু। জীবনের নিয়ম মেনেই প্রতিটি সম্পর্ক আমাদেরকে মায়ার বাঁধনে জড়ায়। সময়ের বিচারে কোন কোন সম্পর্ক হয়ে ওঠে মহীরুহ, অবিচ্ছেদ। আর কোন কোন সম্পর্ক ছোট বয়সের ব্যর্থ প্রেমের মতো হারিয়ে যায়। টিপুর সাথে গড়ে ওঠা সার্বজনীন সম্পর্কের চেয়েও এই ৩ দিনের সম্পর্কটি অনেক গাঢ়। আর গাঢ় বলেই এই বিচ্ছেদের মর্মবেদনাও অনেক। টিপুকে আমরা আবার পাবো, অনেকবার পাবো কিন্তু এই সময়টার মতোকরে হয়ত পাবো না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুভূতির বাতিঘর হয়ে জ্বলে থাকা আমাদের শ্বাশত জীবন এই বিচ্ছেদ বেদনাগুলো নিয়েই হয়ত বেঁচে থাকে।
সিলেটে বিকেল বিকেল ফিরে আসলাম। বিচ্ছেদে যেমন ফুলের চোখ বেয়েও ঝরে পড়ে অশ্রু তেমনি অঙ্কুরিত হয় নতুন প্রাণ। জীবনের সংবিধানে এইতো নিয়ম। প্রতিটি দিনে জন্ম নেয় বেঁচে থাকার নতুন জীবাণু। এই বেঁচে থাকার শক্তিই মূল। টিপুকে রেখে এসে আমরাও যেন নতুন শুরুর মুখোমুখি। সিলেটে আসতে আসতেই প্রকৃতি রোদের চাদরে স্নেহ বিলাতে লাগলো। হ্যাঁ, গত ৩দিনে এইপ্রথম আমরা সূর্যের মুখ দেখলাম। একটু সময় নিয়ে ঘুরে আসলাম সিলেট শহরে অবস্থিত মনিপুরী ও লামাপাড়া সংলগ্ন কাপড়ের দোকানগুলোতে। আগামীকাল ঈদ আর রথযাত্রা একসাথে। উৎসব উৎসব চারপাশে টোনাটুনি কি করবে? পরিকল্পনাগুলো গুছাতে গুছাতে রাতের আঁধারে ঘুমের রাজ্যে দিলাম ডুব।
নতুন একটা দিনে নতুনভাবে শুরু আমাদের যাত্রা। যেভাবেই হোক আমাদেরকে যেন একা ছাড়তে রাজী নন গল্পের চিত্রনাট্যকার। টিপুর প্রস্থানে আবির্ভাব নতুন একজনের। ছোটবেলার বন্ধু মিহির। সকালবেলা অনেকটা বেলা পর্যন্ত ঘুমানোর পর উঠেই দেখি মোবাইলে মিহিরের বার্তা। অদ্ভুত হলেও সত্যি মিহিরের বাসা আমাদের হোটেলের খুব কাছেই। অথচ গত ৩ দিন এতো কাছে থেকেও একে অন্যের খবর জানতে পারলাম না। আর আমিও জানতাম না মিহিরের পরিবার সিলেটে আছে। ছোটবেলায় সুনামগঞ্জে একসাথে পড়ালেখা করা আমার এই বন্ধুটি আমাদের সিলেট আসার খবর জানতে পারে ফেসবুকে ছবি দেখে! আজকের এই দিনটিতে সিলেট শহরেই ঘোরার পরিকল্পনা করলাম। সাথে মিহিরকেও পাওয়া যাচ্ছে। স্মিতার শখ ছিল রথযাত্রা উৎসবটা স্বচক্ষে দেখবে। সাথে ঈদের আমেজ। দুপুর ১ টার দিকে বের হয়ে গেলাম। এ এক অন্যরকম সিলেট। গত কয়েকদিন যে সিলেটকে আমরা দেখেছি তা থেকে আলাদা। স্বাভাবিকভাবেই ঈদের আনন্দে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘরের বাইরে বের হয়েছে অনেকেই। সাথে রং বেরঙের পোশাক, বাহারি সাজ। গত কয়েকদিন সিলেট বলতে আমরা বুঝেছি প্রচুর ব্র্যান্ডের(লন্ডনি) জামাকাপড়ের দোকান, রাস্তায় শুধু পুরুষ মানুষ (একটা সময় মনে হয়েছিল সিলেটে হয়ত মেয়েলোক নেই ), রক্ষণশীল একটা আবহ আর শহরের আশপাশ দিয়ে ছোটবড় টিলা। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই সিলেট শহরের বেশিরভাগ পরিবারে কমপক্ষে ১/২ জন কিংবা তারও বেশি সদস্য একটা সময় লন্ডনে চলে যায়। তাদের আয়ের একটা বড় অংশ পরিবারে আসে তথা সিলেটে আসে। সিলেটের শ্রীবৃদ্ধি বা চাকচিক্যের জীবন অনেকটা এরই দান বলা চলে। বড় বড় শপিংমল গুলো দেখলেও তাই মনে হয়। রাস্তাঘাটগুলোতে মেয়েদের উপস্থিতি অনেক কম। ঢাকার আবহে চলাফেরা করা আমাদের জন্য সিলেটের এই পরিবেশ সহজেই চোখে ধরবে। মেয়ে যারাওবা বের হয় রাস্তায় তাদের বেশিরভাগই হিজাব কিংবা বোরখা পরিহিত থাকে। রোজার মাস বিধায় এমনটা হয়ত বেশি চোখে পড়েছে। কিছুদিন আগে একটা লেখায় পরেছিলাম যে সিলেটে হিজাবের সংস্কৃতি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে মেয়েদের মাঝে। এই কয়দিন সিলেট ঘুরে তা চাক্ষুস করলাম। হাত ধরে সিলেটের রাস্তায় স্মিতাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে গিয়েও বেশ অস্বস্তিকর পরিবেশের সম্মুখীন হয়েছি। মানুষ এমনভাবে তাকাচ্ছিল যেন আমরা কোন অপরাধ করে ফেলেছি! হাত ধরে হাঁটার সময় পাশ দিয়ে যাওয়া এক হিন্দু মহিলা তো স্মিতার পা থেকে মাথা পর্যন্ত তীক্ষ্ণ নজর দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলো। ছোট ছোট এই বিষয়গুলো অবাক লাগলেও উপভোগ করলাম। সে যাই হোক, আজ ঈদের রঙ্গে আর রথের সমারোহে রঙ্গিন সিলেট। রথযাত্রার সময় বৃষ্টি আসা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এদিনও আসলো আর আমরাও সরে যাওয়ার জায়গা পেলাম না। রথযাত্রা এবং রথের আনুষ্ঠানিকতা দেখার নেশায় খানিক বৃষ্টিতে ভিজতে হল। ওদিকে মিহিরও আমাদের সাথে মিশে গেছে। বৃষ্টিতে অনেকটা ভিজে যাওয়ায় ঠিক করলাম কাপড় চেঞ্জ করে আবার বেরবো। মিহিরের সাথে কথা বলে ঠিক করলাম শহরের একটু বাইরেই অবস্থিত পর্যটন মোটেল, মালিনিছড়া ও লাক্ষাতুর চাবাগান ঘুরে আসবো।
শহর থেকে ৬ কিমি দূরে এয়ারপোর্ট রোডে অবস্থিত পর্যটন মোটেল। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রিত এই মোটেলটিকে ঘুরাফেরার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে। অনেকটা উঁচুতে টিলার উপর এই মোটেল। এর আশেপাশে দেখার মতো রয়েছে একটি এমিউজিং পার্ক, চাবাগান আর টিলাসদৃশ্য নয়নাভিরাম চারপাশ। যাওয়ার পথে উপমহাদেশের প্রথম চাবাগান মালিনিছড়া চাবাগানটাও দেখা হয়ে গেলো। সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যায় সুরমা নদীর পাড়ে বসে চটপটি, ফুচকা আর মিহিরের সাথে আমাদের ধুম আড্ডা। যে দিনটি ভেবেছিলাম কাটতে চাইবে না সেই দিনটি কি সুন্দর করেই না চলে গেল। রাতারগুল আর বিছানাকান্দির পরিকল্পনা বাদ দেওয়ায় আমাদের বাধ্য হয়েই একদিন থাকতে হল সিলেটে। সিলেট ভ্রমণের সবচেয়ে আকাঙ্খিত মুহূর্তটি কিন্তু এখনো আসেনি, সামনে আসন্ন। স্মিতার জন্য না হলেও আমার জন্য তো আকাঙ্খিতই। দীর্ঘ ১৬ বছর পর যাচ্ছি ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত সুনামগঞ্জে। রাতটা কাটতে চাইবে না। কিন্তু ভোরের আলো দেখতে পাচ্ছি। দেখতে পাচ্ছি অনেক প্রিয়মুখ। গুড়িগুড়ি বৃষ্টিমাখা ৪র্থ দিন শেষে বুঝতে পারলাম আমাদের ভ্রমণের যে চিত্রনাট্য তার ক্লাইম্যাক্স আর সমাপ্তি এখনো লেখা হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩০