দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব
বঙ্গে, তিষ্ঠ ক্ষণকাল । এ সমাধিস্থলে
(জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি
বিরাম) মহীর পদে মহানিদ্রাবৃত্ত
দত্ত-কূলোদ্ভব কবি শ্রী মধুসূদন ।
যশোরে সাগরদাঁড়ী কপোতাক্ষ-তীরে
জন্মভূমী, জন্মদাতা দত্ত মহামতি
রাজনারায়ণ নামে, জননী জাহ্নবী ।
কবি ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতাস্থ আলিপুর ইউরোপীও জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণের পূর্ব মুহূর্তে ১৪ অক্ষরে আট লাইনের এই কবিতা লিখে বলেছিলেন তাঁর মৃত্যুর পর যেন এই ‘সমাধি’ লিপি কবিতাটি তাঁর সমাধির উপরে লিখে রাখা হয় ।
সাগরদাঁড়ি গ্রামেই কবির পৈত্রিক নিবাস;মাত্র ৯বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সাগরদাঁড়ি ছিলেন। শৈশবের বেড়ে ওঠা ও বাল্যশিক্ষা অর্জন এগ্রামেই। মাত্র তিন বৎসর শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে বাংলা, ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় সুনাম অর্জন করেছিলেন মধুসূদন দত্ত । শৈশবে তাঁর মধ্যে অসাধারণ প্রতিভা ধরা পড়ে । তাই শিক্ষক হরলাল রায় কবিকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন-
নামে মধু, হৃদে মধু বাক্যে মধু যার
এহেন মধুরে ভুলে সাধ্য আছে কার।
হরলাল রয়ের মধু’কে ভুলার সাধ্য কারও নেই ।
আগে যখন গিয়েছি টিকেট লাগেনি। এইবার লাগল।
কবিবাড়ির পুকুরঘাট
একটা জিনিস আমার খারাপ লেগেছে কোন ভবনটা কি কাজে ব্যবহৃত হত তা কোথাও লেখা পাইনি। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ চাইলে দর্শনার্থীদের এই সুবিধাটা করতে পারত।
ভিতর বাড়ী
কবির প্রসূতিস্থল আর স্মৃতি স্তম্ভ।
কবির প্রতিকৃতি।
এই কপোতাক্ষ নদকে ভালবেসেই ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসে রচনা করেছিলেন-
সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে,
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;
সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া-মন্ত্র ধ্বনি) তব কলকলে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে ।
বহুদেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে।
(কবিতাটা পড়লে মনটা খারাপ হয়ে যায় কবির জন্য )
জানিনা প্রিয় নদের এই হাল দেখলে কবি কি লিখতেন।
ব্লগে আমি একা না আরো অনেকেই মধুপল্লী গিয়েছেন।
নিশম ভাইয়ার ভ্রমণ বিলাস
ইভা লুসি সেনের মধুমেলা
এহসান ভাইয়াও গিয়েছিলেন
সুতরাং আপনারাও পিছিয়ে থাকবেন না
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬