একদা এক রুপকথার দেশ ছিল। সেখানে বাস করতো ছাগল, ভেড়া আর গরু। সেই দেশে পরে মানুষেরও আগমন ঘটে। এরপর ধীরে ধীরে মানুষের বসতি বেড়ে যাবার কারণে ছাগল, ভেড়া আর গরুরা মিশে যেতে থাকে সেই মানুষের ভীরে। কিছুদিন পরে সেই রুপকথার দেশে একটি ব্লগ তৈরি করা হয়। সেই ব্লগটি ছিল সেই দেশের মাতৃভাষায় প্রথম ও সর্ব বৃহৎ ব্লগ। সেখানে প্রায় দেড় লক্ষাধিক নিক মানে ব্লগার এর রেজিস্ট্রেশন করা ছিল। প্রতি মুহূর্তে গড়ে প্রায় তিন শতাধিক ব্লগারেরও বেশি অনলাইনে থাকতো। আর পাঠক থাকতো হাজারের উপর।
ভালোই যাচ্ছিল দিনকাল। সেই ব্লগটাও দিন দিন আরও বড় হতে লাগলো। যতো বড় হতে লাগলো ততোই নানা ধরনের ব্লগার সেখানে আসতে শুরু করলো। আর লেখালেখির ব্যাপারে লেখকদের সুবিধার জন্য প্রি মডারেশন এর বদলে পোস্ট মডারেশন ব্যাবস্থা চালু ছিল। তাই যে কেউ যে কোন কিছু পোস্ট করতে পারতো আর সেই লেখা হুট করেই পাবলিশ হয়ে যেত। আর সেই সুযোগটা কতিপয় ছাগল, ভেড়া কিংবা গরু নিতো। আর এরপর শুরু হয়ে যেতো ভেড়া আর গরুর মধ্যে ক্যাচাল। ভেড়ার কোন পোস্ট দেখলে গরু গালি দিতো ব্লগের নির্মাতাকে আবার ঠিক গরুর কোন পোস্ট দেখলেও ভেড়ার পাল গালি দিতো সেই ব্লগের নির্মাতাকে ! মানুষরা বসে বসে এই ক্যাচাল দেখতো আর ভাবতো এরা গরু বা ভেড়া না হয়ে মানুষ হলে অন্তত এটা বোঝার ক্ষমতা থাকতো যে ব্লগের যিনি নির্মাতা তিনি একজন মানুষ। তাকে ঘুমাতে হয়, খেতে হয়, পরিবারের আরও হাজারো কাজ করতে হয়, এরপর আবার সময় করে ওই সব ছাগল, ভেড়া আর গরুর পোস্ট মুছতেও হয় !
যাই হোক এভাবেই চলছিল দিন। যতোই দিন যাচ্ছিল ততোই সাধারণ মানুষ ব্লগাররা অতিস্ট হয়ে উঠেছিল ভেরা-গরুর এই ক্যাচালে। আর মাঝখানে সুবিধা নিচ্ছিল ছাগলরা ! সেইদিকে কারো খেয়াল ই ছিল না ! সবার মনোযোগ যখন অন্যদিকে তখন সেই ছাগলরা একাগ্রচিত্তে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের ধান্ধায় মত্ত ছিল !
এরপর?
এরপর আর জানা যায় নি সেই রুপকথার দেশের কাহিনী !
তবে আমরা আশা করতে পারি সেই দেশের সবাই হয়তো কোন একদিন মিলে গিয়ে একটা বনভোজন এর আয়োজন করবে। আর তারা সেখানে গিয়ে ছাগলগুলোকে খাসি করে খাসির মাংসের রেজালা আয়োডিনযুক্ত লবন দিয়ে তৈরি করে খাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৯