ফেকাই খীকুর নামখান নিয়া তার নিজেরই কষ্টের সীমা পরিসীমা নাই। অবশ্য তার কষ্ট পাওনের যথেষ্ট কারণ আছে। বন্ধু-বান্ধবের কাছে প্রায়ই হেনস্থা হওন লাগে। নামের পেছনে যে ইতিহাস সেইটাও খানিকটা বিব্রতকরই বটে। জন্মের পর তার মাইনষের মতোন হাত-পা, চোখ, কান সবই আছিলো। কিন্তু তারপরেও কি কারণে জানি তারে মানুষের বাচ্চার বদলে কুত্তার বাচ্চার মতোনই লাগতেছিলো। গলার আওয়াজও আছিলো কুত্তার মতোন- খেক খেক। সেই থেকে বাপমা হের নাম দিয়া দিলেন খীকু। খেক খেক থাইকা খীকু। বড় হওনের পর অবশ্য খীকু তার নামের আগে ফেকাই বসায়া নিজেরে কুত্তার চাইতে আলাদা করনের বহুত চেষ্টা নেয়। তারপরেও বাপমার দেয়া নামের কারণে বন্ধু মহলে যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হয় তাকে।
খীকুর বহুত দিনের শখ আছিলো ফিল্মের হিরো হওনের। বাংলা ফিল্মের রগরগা কাহিনীর লগে নিজেরে সে বহুত কল্পনা করছে ছোটবেলা থেকে। মাগার কামের কাম হয়নি। শেষ বেলায় এফডিসি চত্বরে ঘুরতে ঘুরতে যখন জুতার তলা ক্ষয় হওনের পথে, তখনই একদিন খীকু অফার পাইলো আমার শেষে কাজ করনের। আমার শেষ একখানা পত্রিকা। খীকু সেইখানে বিনোদনে কাজ করবার পাইরা যারপর নাই আনন্দিত হইলো। এরপর আবার তার এফডিসি চক্কর বাইরা গেলো। খীকু এইবার নিজেরে মহান হাম্বাদিক হিসাবে জাহির করনের লাইগা হাম্বা হাম্বা বাড়ায়া দিলো। খেক খেকের চাইতে হাম্বা হাম্বা তারে অনেক বেশি মানায়াও গেলো। খীকুর দাম বাড়ছে। কাটপিস তৈরি করা পরিচালক আর প্রযোজকগো মধ্যে খীকুর কদর বাড়লো। খীকু ক্যামেরার পিছনে পাত্তি লয় আর ক্যামেরার সামনে আদিলীলা চলে। খীকুর গরম লাগে। খীকু কিছু কইতে পারে না। এইভাবেই কাটলো অনেক দিন। এরপর একদিন আমার শেষ থাইকা খীকুর প্রদায়কগিরি শেষ হইলো। কিন্তু খীকুর গরম তখনো যায়নি। অনেক ভাইবা চিন্তা খীকু গাভীর দুগ্ধখামার করনের পরিকল্পনা করলো। যেই পরিকল্পনা সেই কাজ। গইড়া উঠলো খীকুর দুগ্ধখামার। চরম গরমে খীকুর প্রাণ ওষ্ঠাগত হইলেই খীকু তার খামারে যাইতো। খীকু সেইখানে আরাম বোধ করে। এখনো চলতাছে সেইভাবে। খীকু আর তার দুগ্ধখামার তেমনই চলতাছে। খালি একটা জিনিস বদলাইছে, খীকুর খেক খেক গেছে, অহন হাম্বা হাম্বা চলতাছে। জয় হো ফেকাই খীকু। জয় হো হাম্বা। জয় হো খীকুর দুগ্ধ খামার।