এই লেখাটা লেখার প্রয়োজন হলো ব্রিটিশ ভারতকে নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখার ইচ্ছা থেকে | ভারত সরকার ইংরেজদের কালিমালিপ্ত করতে কোনো কসুর করে নি | তাদের সম্বন্ধে এমন এমন গল্প ছড়ানো হয়েছে যা শুনে ইংরেজদের রাক্ষস বলে মনে হওয়া স্বাভাবিক | কিন্তু অন্যকে পাপী বলার আগে নিজের পাপ পুন্যের হিসেবটা দেখে নিয়া অবশ্য কর্তব্য | তাই এই লেখা | পাঠক ভারত সরকারের ভার্সনটা জানেন | এবার ইংরাজদের ভার্সনটাও শুনুন | তারপরে সিদ্ধান্ত নিন , কোনটা ঠিক |
তবে এই লেখায় অধম লেখক তার নিজস্ব মতামত দেবে| সেটায় কান দেয়া না দেয়া পাঠকের ওপর নির্ভর করছে |
তথ্যসূত্র :
প্রথমে তথ্যসূত্র সম্বন্ধে কিছু বলে নেয়া ভালো | যে সাইট থেকে মেটিরিয়াল নেয়া হয়েছে , সেই সাইট এক ব্রিটিশ ইতিহাসবিদের তৈরী | ওনার আগ্রহই হলো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দিনগুলির ওপর | এই সাইট-এ ওভারসিস সার্ভিস পেন্সনার্স এসোসিয়েশন (ospa)-এর বহু সদস্যের লেখা আর্টিকেল রয়েছে | এই সংগঠনটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত অধুনা অবসরপ্রাপ্ত লোকেদের নিয়ে তৈরী | সাইটটিতে প্রতিদিন ২০০০০ লোকের আগমন হয় বলে সাইট-এর মালিকের বক্তব্য | সুতরাং সাইটটি খুব একটা হেজিপেজি জায়গা নয় | সাইট-টির অথেন্টিসিটি নিশ্চিত করার জন্য প্রবন্ধের শেষে তার লিঙ্কটি দেয়া হলো , পাঠক গিয়ে নিজে দেখতে পারেন |
বিষয়সূচি :
এই প্রবন্ধে আমি দেখাবো যে ভারতীয় সিপাইরা ইংরাজদের উপর কেমন অত্যাচার করেছিল | ইতিহাসের এই অংশটা ভারত সরকার সযত্নে এড়িয়ে যায় | এছাড়া সিপাই বিদ্রোহ কেন হয়েছিল. সিপাহী বিদ্রোহ কারা, কোথায়,কিভাবে করেছিল এবং ইংরাজরা কিভাবে দমন করেছিল এনিয়ে আর লিখলাম না কারণ ভারত সরকারের কল্যানে এসব সবার জানা |
তাহলে শুরু করা যাক |
সিপাহী বিদ্রোহ যে এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজ থেকে হয়েছিল সেত সবার জানা | কিন্তু কিভাবে হয়েছিল সবিস্তারে তা জানা নেই | সেটাই বলছি :
“The original cartridges were made in Britain and had been covered in tallow to help protect the cartridge from the elements. Unfortunately the tallow had been made from a beef and pork fat. To the British users of these cartridges, this made no big deal. Hindu and Muslim users were horrified at the defiling fat. The EIC quickly realised its blunder and replaced the animal fat with vegetable fat but the damage had already been done. To Hindus and Muslims alike, their worst fears of being ritually humiliated had been confirmed”
অর্থাৎ ব্রিটিশরা নিজেদের ভুল বুঝে কার্তুজে পশুর ফ্যাটের বদলে নিরামিষ ফ্যাট দিয়েছিল কিন্তু হিন্দু-মুসলিম সিপাইরা সেটা বুঝতে পারে নি | তারা ভাবলো যে তাদের জাত গেল | এরপর মঙ্গল পান্ডের নাটক আর ফাঁসি ইত্যাদি হলো |
“Many assumed that this had been a deliberate policy by the Europeans who were looking to impose their own religion on the sub-continent.”
এইটাও ভয়ের আরেকটা কারণ | কিন্তু মজার ব্যাপার হলো সবটাই ভুল বোঝাবুঝি |
কিন্তু প্রশ্ন হলো এই যে এই ঘটনার কথা সেনাবাহিনীর বাইরে গেল কি করে ? এইবার তার উত্তর :
“Most mysterious of all, flat cakes of flour and water known as chapatis were passed from village to village. A messenger would arrive bearing them, saying that they had been brought to his own village and must be passed on.”
এই চাপাটির মধ্যে নিশ্চই কোনো সাংকেতিক তথ্য থাকত | আর এটা গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ত | এইভাবে বিদ্রোহের খবর আদান প্রদান হত | এর ফল দেখা গেছলো সেনা বাহিনীর মধ্যে :
“There were reports of nocturnal meetings in the barracks. Mysterious fires broke out, burning arrows were shot into the thatched roofs of officers' bungalows, and the telegraph station at the great military post of Barrackpore near Calcutta was burned down.”
এর সাথে ওই চাপাটির সম্পর্ক আছে | এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় | যাই হোক ইংরেজরা কিন্তু এই চাপাটির মানে বুঝতে পারে নি :
“What could it mean? Some argued that it was a method of carrying away disease, though there was no epidemic in 1857. When Indians were questioned, some said the distribution of chapatis meant that something terrible would happen, but they did not know what it might be. Others replied that they believed the chapatis were distributed by order of the British, and had not thought to inquire further. Whatever it meant, no one dared to disobey the summons to pass the flat cakes on to the next village, and with the chapatis there spread throughout the land the feeling of expectancy, of tension, of uneasiness.”
যারা বলেছিল সাংঘাতিক কিছু হতে চলেছে , তারাই ঠিক ছিল | আর চাপাটির সাথে ছড়িয়ে পরেছিল ধম্মের বাত্তা |
মঙ্গল পান্ডের মৃত্যু দিয়ে বিদ্রোহের শুরু | ইংরেজরা যেসব সিপাইরা বিদ্রোহ করেছিল, তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করেছিল | মিরাটে এইসব বন্দী সিপাইদের ছাড়াতে বাকি সিপাইরা বিদ্রোহ করেছিল | তারা কিভাবে ইংরেজদের ওপর হামলা করেছিল তার একটা বিবরণ দিলাম :
“The next day was May 10, 1857. About 5 p.m. a rumour spread in Meerut bazaar that British troops were coming to seize the sepoys' arms. Sepoys in the bazaar hurried back to their barracks as an angry mob of villagers surged out to attack the Europeans' bungalows. On the parade ground, sepoys intent on releasing their imprisoned comrades slipped away from white officers desperately trying to control them. 'When Gough went out on his veranda an hour later the horizon was a sea of flame. Galloping down to the cavalry lines, he found "a thousand sepoys dancing and leaping frantically about, calling and yelling to each other and blazing away with their muskets in all directions."
By nightfall, Meerut was a city of horror. British officers had been cut down by their own men. Two officers' wives were murdered in incidents which acquired particular notoriety. One of them, a Mrs. Chambers, was pregnant; her unborn child was ripped from her womb by a local butcher. The other, a Mrs. Dawson, was recovering from smallpox; to avoid contagion, the mob threw burning torches at her until her clothes caught fire and burnt her to death.”
ব্রিটিশ অফিসারদের নিজেদের লোকেরাই তাদের হত্যা করেছিল | বিশেষ করে নারী আর শিশুদের | দুজন অফিসারের স্ত্রী মারা গেছিল | তাদের মধ্যে একজন আবার গর্ভবতী | তার শিশুকে পেট চিরে বার করে আনা হয়েছিল | এনেছিল এক স্থানীয় কসাই | লক্ষ্য করার বিষয় এটাই যে এই আক্রমনে সিপাইদের পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামের লোকেরাও ছিল | আরেকজন গুটি বসন্ত থেকে সেরে উঠছিলেন | তার গায়ে আগুন দেয়া হলো | কি ? খুব চেনা চেনা লাগছে না স্টাইলটা ? দেশভাগের হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা, গোধরা দাঙ্গা আর মুজঃফর নগর দাঙ্গা ইত্যাদিতে এটা পুরনো স্টাইল | আসলে এটা আমাদের জংলি জানোয়ার ভারতীয় স্টাইল | এভাবেই আমাদের পূর্বপুরুষরা নিরীহ নারী আর শিশুদের উপর নির্যাতন চালাত | ইংরেজরাও বাদ যায় নি | নারী আর শিশুদের উপর নির্যাতনের আরো বিবরণ আসছে |
ও হ্যা বিদ্রোহীদের একটা সরকারও ছিল | তাদের একটা সভাও ছিল | কিন্তু সেখানে বিদ্রোহীদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দিতা ছিল |
“They set up an alternative government, a "Court of Mutineers," but it was torn by rivalries between the various factions. Hindus, Muslims, sepoys, civilians and Mughal princes.”
আসলে সবাই খেতে এসেছিল | তাই স্বার্থ নিয়ে কামড়াকামড়িটা বড্ড বেশি ছিল | বিদ্রোহীদের একটা রাজাও ছিল : বাহাদুর শাহ | হায় আসুন তার কথা একটু শোনা যাক :
“All treated the Emperor, who was little more than a reluctant symbol of revolt, with open contempt. He even had to threaten suicide to save his closest confidant from death.”
বৃদ্ধের কি করুন কাহিনী | অন্য রাজারা অবশ্য ব্রিটিশদের সাথেই ছিল |
“Many princes preferred to play for safety by casting their lot with the British, now belatedly gathering their forces to strike back at the rebels.”
এইসব রাজারা আবার আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক বাহক | এদের মধ্যে যেসব রাজাদের স্বার্থে ঘা লেগেছিল , তারাই শুধু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়ে শহীদ হয়েছিল | পুরোটাই রাজনীতির খেলা |
এর মধ্যে বিদ্রোহী নানা সাহেবের নানা কীর্তিকলাপ একটু বলা দরকার | নানা সাহেব ছিল এক রাজার দত্তক পুত্র | সেই রাজা ব্রিটিশদের পেনসনের টাকায় রাজার হলে বিঠুরে থাকত | রাজার মৃত্যুর পর নানা সাহেবকে ব্রিটিশরা পেনশন দিতে অস্বীকার করে | সেই রাগটা নানার ছিল |
“Near Cawnpore, in the town of Bithur, lived a man known as the Nana Sahib. The Nana was the adopted son of a prince who, after defeat by the British, had been settled in luxurious exile at Bithur, For 33 years the British paid the Ptince a lavish pension; but when he died in 1851 they refused to continue paying it to his adopted son. To Nana's appeals the government turned a deaf ear. The Nana, living in indolence and luxury in his palace - even financing his own body of troops - bided his time. Noone seemed to suspect that he might harbour a deep grudge against the British.”
এইবার নানা সাহেবের বেইমানি :
“He remained on the friendliest terms with the British and, in particular, with General Wheeler and his Indian wife. It is probable that the General asked his advice and received an assurance that, should the sepoys mutiny, they would make for Delhi and leave the British in Cawnpore alone. Certainly, Wheeler trusted the Nana implicitly; after deciding on the barracks as his own defensive position, the General invited him to take over the magazine and the Treasury with his household troops!
The Nana occupied these two points and waited. On the night of June 4 nearly all of the sepoys mutinied, burning their barracks before looting the Treasury. Some of those who did not do so joined Wheeler inside the entrenchment. The mutineers - as the Nana had foretold left for Delhi. Wheeler felt that all he had to do was wait for reinforcements, which he expected at any moment. He was soon disillusioned. The sepoys had halted only a few miles up the road.
On June 6, Wheeler received a letter from the Nana Sahib saying that he intended to attack the entrenchment. Within a few hours the area was surrounded by the rebels, and the guns from the magazine that Wheeler had handed over to his friend were dropping roundshot on the barracks.”
বিশ্বাসের অপর নাম বোকামি বলে জগতে প্রসিদ্ধ | হুইলার সাহেব ঠিক সেই ভুলটাই করেছিলেন | উনি নানাকে বিশ্বাস করে যে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন , সেটাই নানা ইংরেজদের ওপরে প্রয়োগ করতে কসুর করেননি | কিন্তু এখনো এই নানা সাহেবের নিকৃষ্টতম কাজটি বলা হয়নি | এবার সেটা বলা যাক :
“Of those who survived this last battle, the men - 60 in number - were killed by the Nana's troops; the women and children were first imprisoned in a large house and later moved to a smaller one built by an English officer for his native mistress (hence its name, Bibighur, meaning "House of Ladies"). On July 15th, news reached Cawnpore that the British were approaching the city. Nana Sahib ordered all the remaining prisoners to be killed. His motives for doing this remain obscure. Perhaps it was out of blind rage, perhaps to rid himself of those who might give evidence against him, perhaps in the extraordinary belief that the approaching forces would then have no remaining motive to press home their assault in order to rescue their imprisoned countrymen.
Towards evening, five British men fugitives from elsewhere captured over the past few days - were taken out and shot. Then a party of sepoys was detailed off to execute the 210 women and children. Apparently unable to bring themselves to commit such cold-blooded murder, they-fired high. Butchers were then summoned from the bazaar and together with two or three of the Nana's troops went in to finish the job with knives. It was not efficiently done. A few were still alive in the morning, among them some children, saved perhaps, by the crush of bodies in the darkness. In the morning, the victims were dragged out and thrown down a near-by well. Some sepoys said that the children still alive were killed first, others that they were tossed alive into the well.”
অর্থাৎ ২১০ জন ইংরেজ নারী আর শিশুকে নানা সাহেব তার সৈন্যদের মারতে বলেছিল | সৈন্যরা এই ঘৃণ্য কাজ করতে অস্বীকার করেছিল | তখন বাজার থেকে কসাইদের ডেকে নানা কাজটা করিয়েছিল | কতবড় পশু হলে মানুষ এইরকম নৃশংস আর নির্দয় কাজ করতে পারে ? এই নানা সাহেব একজন মারাঠা ছিলেন | মারাঠারা চিরকালই পশু | তাদের ভাস্কর পন্থ একসময় চৌথ আদায় করতে এসে বাংলার গ্রামকে গ্রাম ছারখার করেছিল | ওই তো রক্ত | কত আর ভালো হবে ? এইরকম পশুকে কি ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামী বলা উচিত ? পাঠক আপনারাই বিবেচনা করুন | আমার মতে বলা উচিত নয় | বরং এদের থুতু দেয়া উচিত |
“It was this atrocity above all which inflamed British feelings when the relief forces under General Henry Havelock arrived to begin the assault on Cawnpore two days later.”
এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডটাই ব্রিটিশদের খেপিয়ে তুলেছিল | তারা ভারতীয়দের উপর অত্যাচার অমনি অমনি করেনি | পিছনে এইটাই কারণ ছিল | এটা আমাকেও খেপিয়ে তোলে | যে কোনো মানবিকতা বোধসম্পন্ন মানুষকেই এটা খেপিয়ে তোলে |
এইবার তাতিয়া টুপির কথা | এই লোকটাও কম বদ ছিল না | অযোধ্যায় বিদ্রোহীরা যখন ইংরাজ নারী পুরুষদের আটকে রেখেছিল, সেখানে এই লোকটাও বিদ্রোহীদের নেতা ছিল | অযোধ্যতে ইংরাজ নারী পুরুষদের আটকে রেখেছিল বিদ্রোহীরা |
“Inside the Residency, the garrison of 1,800 British men, women and children, as well as 1,200 native soldiers and non-combatants - had been holding out against a force of well over 20,000 Indian mutineers.”
ইংরাজদের সংখ্যাটা খুবই বেশি | আর বিদ্রোহীরা তো সংখ্যায় অনেকই বেশি | নারী আর শিশুদের অবস্থাটা কেমন ছিল ? আসুন দেখা যাক :
“At least the men of the garrison had their duties. But the women and children were confined to the cellars, and lived a terrible, separate life punctuated only by alarms and deaths. Food was rationed, each person receiving "attar or flour, which we made into chupatties; rice, dhal or peas; salt and meat." There were no proper cooking facilities so everything was cooked together, with ship's biscuits and some water, into a stew. "But as the saucepan was of copper and could not be relined during tpe siege, the food when it was turned out was often perfectly green - hunger alone could make it enjoyable." The children suffered most. The heat was intense and there were no coolies to pull the punkah fans. When the besiegers attacked the Residency, all the lights had to be put out and the children lay trembling in the darkness until the defenders had routed the Indians.”
নারী আর শিশুদের কার্যত বন্দী জীবন যাপন করতে হয়েছিল | খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা নেই, শিশুদের ভোগান্তি অনেক বেশি | কত শিশু , যারা বেঁচে গিয়েছিল , হয়ত পরে মানসিক রোগীতে পরিনত হয়েছিল | এই ধরনের ট্রমার এটাই পরিনাম | কত মেয়ে হয়ত ট্রমায় ভুগেছিল ভবিষ্যতে | বিদ্রোহীরা কেন যে নারী আর শিশুদের প্রতি এত নির্দয় , তাতো বুঝতে পারলাম না | এটা কি ভারতীয় বিদ্রোহীদের স্বভাবজাত স্মার্টনেস যা তারা বাড়িতে নিজেদের নারী আর শিশুদের উপর দেখায় ? হয়ত হবে |
অযোধ্যা অধিকারের (?) পর বিদ্রোহীদের রাজ্য স্থাপনের চেষ্টা নিতান্ত হাস্যকর | সেটাই দেখা যাক :
“The rebels in Oudh had few military leaders of any quality, but among the civilians there was a woman of strong character and sense of purpose. The Begum Hazrat Mahal, who had begun her career as adancing-girl, had caught the eye of the King of Oudh and borne him a son. After the rising in Oudh, the sepoys approached a number of the exKing's concubines. to persuade them to put up one of their 'sons as king. All refused until it came to the turn of Hazrat Mahal. She immediately agreed that her ten-year-old son, Birjis Qadr, should be proclaimed King and that she should be Regent during his minority. William Roward Russell - correspondent of the London Times - noted in his diary: "This Begum exhibits great energy and ability. She has excited all Oudh to take up the interests of her sop, and the chiefs have sworn to be faithful to him."”
কোনো যোগ্য রাজা নয় , বিদ্রোহীরা কাদের কাছে গিছল ? না, রাজাদের রক্ষিতা, প্রাক্তন বেশ্যা এদের কাছে গিয়ে তাদের সন্তানদের রাজা করার চেষ্টা করেছিল | চমত্কার | এই না হলে ভারতীয় রাজ্য | কেন এরা এমন করেছিল ? কারণ কোনো যোগ্য রাজাই পায়নি | কেন পায়নি ? কারণ রাজারা বুঝেছিল যে বিদ্রোহীদের এই রাজ্য এক ফুঁয়ে ইংরেজরা উড়িয়ে দেবে | কার্যত হয়েওছিল তাই |
আচ্ছা এই গল্পে ঝাঁসীর রানীর কথা না বললে খুব অন্যায় হয় | আসলে অন্যায়টা তার সাথেই করা হচ্ছে অনেকদিন ধরে | তাকে দেশপ্রেমী , স্বাধীনতা সংগ্রামী, হিন্দু রানী আরো কত কি বলে | কিন্তু আসলে ব্যাপারটা কি ছিল ? ইংরেজরা তাঁর সম্বন্ধে বলেছেন :
“This remarkable woman, only 23 years old, had been a reluctant rebel. She took up arms after the British accused her of leading a massacre of white women and children. Although there is no evidence of her complicity in the deed, she was condemned by the British as the "Jezebel of India" and chose to fight.”
অর্থাৎ রানী নিজে থেকে ইংরেজদের বিরোধিতা করেননি | বাহ , আর আমরা তো উল্টোটাই শুনে আসছি এত দিন ধরে | যখন ইংরেজরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যাকারী বলেছিল, তখনি তিনি যুদ্ধে নেমেছিলেন | অনিচ্ছাসত্বেও | reluctant শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে অনিচ্ছা বুঝাতে |
রানী কিভাবে মরলেন ? তারও চমত্কার বিবরণ আছে |
“The Rani was not among the dead. On April 4, she and a small party had left the fort and made for the north gate of the city. Passing through, she avoided Rose's patrols and was many miles away before the British discovered she had gone. A cavalry detachment, sent in pursuit, caught up with the party, and according to some sources the British officer commanding was wounded in a sword-fight by the Rani herself. The Rani and four retainers reached the town of Kalpi the next day, and were joined there by Tantia Topi. Rallying their forces, they descended on Gwalior, an immense fortress held by a ruler loyal to the British. The ruler marched out against the rebels, but his army deserted to them and he himself barely escaped capture.
Rose and his exhausted troops took Gwalior on June 20. Among those who fell in the fighting was the Rani of Jhansi, dressed as a man, her great jewelled sword still in her hand. Tantia Topi escaped, only to be betrayed to the British; he was hanged in April, 1859.”
রানী বিরত্ব ও বুদ্ধিমত্তা ভালই দেখিয়েছিলেন | সুতরাং তাকে সেলাম জানাই |
তাহলে গোটা বিদ্রোহটা কি ছিল ? এটা কি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ? না জাস্ট একটা স্বার্থ সন্ধানের গপ্প ছিল ? দেখা যাক ইংরেজরা কি বলেছেন, তারপরে আমি আমার মতামত দেব |
“There had been no real danger that British rule in India would be overthrown. The majority of the native soldiers had remained loyal. In fact, without them the British could hardly have suppressed the rebellion. During the attack on Delhi, for example, of 11,200 combatants on the British side no fewer than 7,900 had been Indian. Large areas of the country remained unruffled by what the Indians called "the devil's wind."”
তার মানে বেশিরভাগ ভারতীয় সিপাইরা ইংরেজদের এতটাই অনুগত ছিল যে তারাই সাহায্য করেছিল বিদ্রোহ দমন করতে | তাদের সাহায্য ছাড়া বিদ্রোহ দমন করাই যেত না | আচ্ছা |
ভারতীয় রাজাদের কি অবস্থা ?
ভারতীয় রাজাদের মধ্যে কিছু ছাড়া সবাই ইংরেজদের অনুগতই ছিল | যারা বিদ্রোহীদের সাথে ছিল তারা ইংরেজদের হাতে মারা যায় যেমন রানী লক্ষীবাই , তাতিয়া টুপি ইত্যাদি |
তাহলে এটা কিভাবে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ? কয়েকজন সিপাই গরু শুওরের চর্বি খেয়ে খুনখারাপি শুরু করে দিল , তার সাথে যোগ দিল আরো কিছু সুযোগসন্ধানী স্বার্থপর রাজা | কয়েকটা রাজ্য যেমন মিরাট , অযোধ্যা, ঝাঁসী, গ্বালিয়র ইত্যাদি দখল হলো ,ইংরাজ নারী আর শিশুদের পাইকারী দরে হত্যা করা হলো : এটা কি স্বাধীনতা যুদ্ধ ? এটা কি কোনো যুদ্ধ ? তার না আছে পরিকল্পনা, না আছে সুষ্ঠু সেনাবাহিনী, না কোনো ভালো সেনানায়ক | সিপাইরা ইংরাজদের সাথে বেইমানি করে বিদ্রোহ শুরু করেছিল আর বিদ্রোহ শেষ হতেই তাদের আর টিকিটি পাওয়া গেল না | ইংরাজদের ভাষায় :
“The fall of the two great centres of the revolt, Delhi and Lucknow, marked the beginning of the end, and many mutineers realized it. The civilian leaders of the Mutiny disappeared, some never to be heard of again. Those who had taken advantage of the breakdown of British rule to payoff old scores or acquire an easy fortune faded into the background from which they had emerged. Only a few, like the Rani of Jhansi and Tantia Topi, fought on to the end alongside their sepoy followers who - as the British had made clear - stood as much c:hance of death if they surrendered as if they went on fighting to the bitter end.”
এই হলো বীর সিপাইদের আসল বীরত্ব | এই যদি বীরত্ব হয় তাহলে কাপুরুষতা কাকে বলে ? সব কয়টা বিদ্রোহী সুযোগসন্ধানী, স্বার্থপর ছিল | দেশকে ভালোবেসে কেউ আসে নি | এসেছিল নিজেদের স্বার্থ বুঝে নিয়ে ক্ষমতার স্বাদ পেতে | আর এদেরই আমরা বিরাট দেশপ্রেমী হিসেবে জানি |
সিপাহী বিদ্রোহের ফলে কি হয়েছিল ?
ইংরেজদের ভাষায় : “Though the British lost at most about 11,000 men, three-quarters of them killed by disease or heat-stroke, the overall cost was high. There are no reliable figures for sepoy or civilian deaths, but many thousands, both guilty and innocent, had perished. The scars of the rebellion were there for all to see. Ruined cities, burnt villages and dead fields ran like a swathe across northern India. The country was further burdened by a debt of £30,000,000 and all the problems of reconstruction. In Britain, the Mutiny did more than produce a wave of hysteria and a desire for vengeance: it convinced the politicians that the British Crown must assume full responsibility from the East India Company for the government of India. This was done by Royal proclamation on November 1, 1858.”
তার মানে কি বিপুল পরিমান ক্ষতি যে হয়েছিল তা বুঝাই যায় | ৪৭ এর দেশভাগের দাঙ্গার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে | এর সাথে আর একটা কথা যোগ করি : উদ্বাস্তুর স্রোত | . Ruined cities, burnt villages and dead fields ran like a swathe across northern India. এর অনিবার্য পরিনতি হলো ঐসব গ্রাম আর শহরের বাসিন্দাদের উদ্বাস্তু হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়া | খুব সম্ভব সেটা কলকাতা | আচ্ছা দেশপ্রেমী সিপাহীরা নিজেদের লোকেদেরই রেহাই দিল না | এমন আগুন জ্বালালো যে তাতে নিজেরা তো পুড়ে মরলই , দেশবাসিদেরও মারলো | হারামজাদা আর কাকে বলে ? আর এই ক্ষতি কে বহন করেছিল ? কোন দেশভক্ত ?
কে আবার ? ইংরেজরা নিজেরাই | দু দুটো পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব তাদের বইতে হলো : সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন আর শহর-গ্রামের পুনর্গঠন | প্রথমটিতে ভারতীয় সেনার সংখ্যা কমানো হলো | আর তার জন্য, সব শোনার পর, ইংরেজদের আমি দোষ দেই না | দ্বিতীয়টি অবশ্যই ইংরেজ নির্মানকারীদের দায়িত্ব | এইভাবেই কি দেশের সম্পদ বিদেশে গেছলো ? কি জানি ? প্রশ্ন করতে ভয় হয় | আজকের ভারতে প্রশ্ন করা বারণ |
তবে সবচেয়ে উমদা জবাবটা দিয়েছিলেন এক বিদ্রোহী নেত্রী বেগম হজরত মহল | নেপাল থেকে রানীকে তিনি জানিয়েছিলেন সিপাহী বিদ্রোহ আসলে কি ছিল | কথার গুরুত্ব আছে কারণ এটাই হলো এক বিদ্রোহী নেত্রীর বয়ান , একমাত্র বয়ান যা বিদ্রোহীরা ইংরাজদের দিতে পারে | বিদ্রহটা কি বিদ্রোহীরা ছাড়া আর কে ভালো জানে | তাই এই বক্তব্যটা তুলে দিলাম :
“In the proclamation it is written that the Christian religion is true, but no other creed will suffer oppression, and that the laws will be observed towards all. What has the administration of justice to do with the truth or falsehood of a religion? That religion is true which acknowledges one God and knows no other. Where there are three gods in a religion, neither Mussulman nor Hindus - nay, not even Jews, sun-worshippers or fire-worshippers - can believe it to be true. To eat pigs and drink wine, to bite greased cartridges, and to mix pig's fat with flour and sweetmeats, to destroy Hindu and Mussulman temples on pretence of making roads, to build churches, to send clergymen into the streets and alleys to preach the Christian religion, to institute English schools, and pay people a monthly stipend for learning the English Sciences, while the places of worship of Hindu and Mussulman are to this day neglected - with all this how can the people believe that religion will not be interfered with? The rebellion began with religion, and for it millions of men have been killed. Let not our subjects be deceived; thousands were deprived of their religion in the northwest and thousands were hanged rather than abandon their religion. "”
তাহলে গোটা বিদ্রোহটা ছিল ধর্ম নিয়ে আর সংস্কৃতি নিয়ে | খ্রিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে হিন্দু আর মুসলিম ধর্মের যৌথ অভিযান : এই ছিল বিদ্রোহ | অবশ্যই তাই ছিল | ধর্ম ছাড়া আর কেউ এত বেকার বেকার রক্তপাত আর ধ্বংস করতে পারে না | ইংরাজদের ভাষায় সিপাহী বিদ্রোহ তাই :
“It was traditional India that had risen against the British, the India which remembered its past, hated the present and dreaded the future that was now absolutely certain to belong to the Westernized Indian, and not to the Indian soldiers or princes.”
স্বাধীনতা যুদ্ধ নয়, নতুনের সাথে পুরনোর বিরোধ হলো সিপাহী বিদ্রোহ | এটা ভারতের ঐতিহ্য | আর এস এস-বজরং দল- বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকে শুরু করে আল কায়েদা-ইসলামিক স্টেট-আনসার বাংলা-মুক্তমনাদের খুন এই সবই হলো বর্তমানকালে সিপাহী বিদ্রোহের ঐতিহ্য | এই বিদ্রোহ এখনো চলছে | ভবিষ্যতেও চলবে |
একটা তথ্য যোগ করতে ভুলে গেছলাম তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী | কলকাতার সেন্ট পলস গির্জা ও সেন্ট জন গির্জাতে বহু ইংরাজ সৈনিক ও তার স্ত্রী পরিবারের বিবরণ আছে যাদের ভারতীয় সিপাইরা হত্যা করেছিল | তাদের পরিবারবর্গ ট্যাবলেট বা স্মৃতিফলক দেয়ালে উত্কীর্ণ করে রেখেছিলেন | একটা ফলকে দেখা যাচ্ছে যে স্বামী স্ত্রী আর তাদের দুধের শিশুটিকে সিপাহীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল | এইসব ফলক এই বিষয়ের সাক্ষ্য দেয় যে ওপরে বর্ণিত ঘটনাগুলি সত্যই ঘটেছিল |
তথ্য সুত্র
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সিপাহী বিদ্রোহ