শেষ পর্যন্ত আর পারলাম না;
তোমার নিঃশ্বাসের জ্বরে,
মেহেদি রাঙা নখের আঁচড়ে,
ক্ষত-বিক্ষত;
ক্লান্ত অশরীরী এক যোদ্ধা আমি,
আমাকে তুমি আদর কর কাতান শাড়ি পরে।
পূব আকাশে ভোরের অপেক্ষা,
নিথর ঘুমে নিমগ্ন;
আযানের সুরে তবু আত্মা জাগেনা,
এলো চুলের সুবাসে মাতাল ভাবনা;
অলিক এক স্বর্গ রচে চলে,
ক্রমশ শুষ্ক হয়ে উঠে তবু আমার পিয়াসী ঠোঁট।
ঠোঁটের বদলে ঠোঁট,
গ্রেনেডের বদলে গ্রেনেড,
রক্তের প্লাবনে তবু সাজুক আমাদের বাসর তট।
বুনো গোঙানির সুর ফিরে-ফিরে আসে চার দেয়ালে;
আমাকে নিরন্তর চলার সুযোগ দাও,
তোমার শ্যাওলা জমা লোহিত প্রান্তর জুরে।
ত্রিশ লক্ষ লাল গোলাপে সাজানো বিছানাটা;
দুমড়ে-মুচড়ে নিমিষে,
তোমার-আমার সহবাসে,
কপালের আল্পনায় নরক এঁকেছে;
এমন মধুচন্দ্রিমার রাতই চেয়েছিলাম বুঝি !
এক পশলা বৃষ্টির চোখকে উপেক্ষা করে চলেছি,
জ্বলছি অহমের মায়াজালে বহ্নির পথে-পথে,
নগ্ন পায়ের পাতা পায়নাতো খুঁজে সবুজ ঘাস;
তুমি-আমি শহুরে সন্যাসী বেশে,
অরণ্যের স্বাদ খুঁজি নির্জলা হেসে,
আমাকে তুমি আদর কর কাতান শাড়ি পরে।
পাখির ঠোঁটের মতো সুরকে উপেক্ষা করে চলেছি,
হারছি কবিতার খসড়ায় বিমূর্ত শব্দের রথে-রথে;
বিদগ্ধ স্বপ্নরা পায়নাতো খুঁজে কৃষ্ণচূড়ার শ্বাস,
তুমি-আমি মেঘকাব্যের দেশে,
মিশে থাকি দুজনাতে স্বপ্নের রেষে।
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া; জিকির ওঠে-
আমাকে তুমি আদর কর,
লাল-সবুজের কাতান শাড়ি পরে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৮