ধন্যবাদ দিয়ে মোটেও ছোট করতে চাইনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে। অন্ততপক্ষে আমাদের মত কিছু তরুণদের বীরত্ব দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। হাজার কোটি টাকা সম্প্রদান কারকে দান করে কিছু বিত্তবানদের বিত্তশালীতে পরিনত করলেও দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষগুলো রয়ে যায় চিরকাল দারিদ্রসীমার নিচে। তাইত প্রতি বছর শীত এলেই প্রয়োজন হয় দরিদ্র মানুষগুলোর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম সফল করা। আর সেই শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম সফল করে আমরা কতিপয় তরুনেরা শান্তির ঢেঁকুর তুলি। মানবসেবা কিংবা দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত হয় আমাদের মাঝে কিংবা এর মাঝে আনন্দদায়ক সময়ক্ষেপন কিংবা বিনোদন মূলক অবসর যাপনের উৎসব খুঁজে ফিরি অথচ ভবিষ্যতে দারিদ্রতা বিমোচন করে এই সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান বের করার চিন্তাও করিনা। বরং পরের বছর আরও দুর্দান্ত ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম সফল করার পরিকল্পনা করি। কিংবা এনজিও টাইপ সংস্থা খুলে ফেললেও মন্দ হয়না। সরকারকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাই আমাদের মাঝে এমন প্রত্যয় স্থাপন করে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। গল্পের মাঝেও অনেক গল্প থাকে এটা সত্য। হ্যাঁ আমরা প্রায় তেত্রিশ ঘন্টা খোলা ট্রাকে করে প্রায় পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রচণ্ড শীতের মাঝেও অমানবিক ভ্রমণ শেষে নানা ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে কিছু শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র দান করে এসেছি কিন্তু এতে করে আমি আমাদের কাউকে ছোট করে না দেখলেও শুধু এতটুকু বলতে চাই যে এর মাঝে বীরত্ব প্রকাশ করার কিছু নেই। বরং কোন স্থায়ী সমাধান খোঁজার আহবান করছি যেহেতু সরকার আমাদের সেই মহৎ সুযোগ করে দিয়েছেন। এই মুহূর্তে একটি বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গানের কিছু কথা ভীষণ মনে পরছে।
মা গো ভাবনা কেন? আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।
আমরা হারবো না হারবো না তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না
আমরা পাঁজর দিয়ে দুর্গঘাঁটি গড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।
আমরা পরাজয় মানবো না দর্বলতায় বাঁচতে শুধু জানবো না
আমরা চিরদিনই হাসিমুখে মরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।
আমরা অপমান সইবো না ভীরুর মত ঘরের কোনে রইবো না
আমরা আকাশ থেকে বজ্র হয়ে ঝরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।
ট্রাক থেকে শীতবস্ত্র ভর্তি বস্তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নারী, পুরুষ ও বয়স ভেদে পৃথক করার জন্য
উৎসুক শিশুদের মাঝে শীতকে জয় করার আনন্দ
যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম সফল হলো
শান্তির বসত গড়ার প্রচেষ্টায়
২০১৪ সালে এসেও যেখানে গাভীর খাঁটি দুধের চা পাওয়া যায় মাত্র তিন টাকায়
একটি মাত্র কম্বলের প্রতীক্ষায় শীতার্ত শিশুদের মাঝে উৎকণ্ঠতা
মা বলেছেন অপেক্ষা করতে শহর থেকে বাবুরা কম্বল এনেছেন
কম্বল নয় যেন বেঁচে থাকার শেষ ভরসা পেয়েছেন এমন কিছু অভাগী মানুষের হাসিমাখা মুখ
মৃত্যুর দরজায় অপেক্ষারত একজন যার কিনা একটি মাত্র কম্বল পেলেই শীতার্ত এই জীবনের একমাত্র সম্বল হবে ভেবে নীরব প্রতীক্ষা
মা বলেছেন এভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে কারন বাবুরা শহর থেকে ওদের জন্য কম্বল আর কিছু শীতের জন্য জামা এনে দিয়েছেন তাই এই যমজ দুই ভাই দাঁড়িয়েছে। এই ছবিটি তোলার সময় আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
সবশেষে আমার শুধুই মনে হয়েছে জীবন যেন এই বাঁশঝারের মতই শুধু মোথা আর মোথা
তবে ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ ভাইকে এবং তার পরিবারকে জানাই আমার বিনম্র শ্রদ্ধা যাদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় খেটে খাওয়া নিপীড়িত মানুষগুলো দুই চোখে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা জানাই সকল সহ ব্লগারদের যারা শীতার্ত মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং শ্রদ্ধাপূর্ণ সালাম জানাই আমার সকল সহযাত্রীদের প্রতি যাদের জন্য আর কিছু নাহোক অন্তত কিছু মানুষের মুখে হাসি এনে দিতে পেরেছি।
এ সম্পর্কিত পোস্ট সমূহঃ
সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষদের মাঝে ৬২০ টি কম্বল বিতরণ - ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ
সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগারদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন কার্যক্রম ২০১৩ - ব্লগার একজন আরমান
হিসাবের বিবরণ সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগারদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন কার্যক্রম ২০১৩ - ব্লগার স্নিগ্ধ শোভন
সামহোয়্যারইন... ব্লগ এর ব্লগারদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন কার্যক্রম ১৩ - ব্লগার আমিনুর রহমান
RIDE FOR A SMILE টিম পৌঁছে যাবে আপনার পাশে আপনার কাছে আপনার দরজায় কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য - ব্লগার মাগুর
নীলফামারীর ধোবাডাঙ্গা থেকে বলছি - ব্লগার মাগুর
৫৩ ঘন্টা - ব্লগার একজন আরমান
নীলফামারীর ডায়েরী - ব্লগার স্বপ্নবাজ অভি