জলে - স্থলে- অগ্নিকুন্ডে,
নিশাচর প্রহরী নেশার ঘোরে ঘুমাতে পারেনি
সভ্যতাকে চিনবে বলে নতুন করে ।
আজকের এই প্রভাতে,
স্বপ্নগুলো ফেরি করে সূর্য মাখা ক্লান্তি নিয়ে
তবেই ঘুমাবে ।
আর নিশাচর মানুষগুলো ঠিক এভাবেই ঘুমিয়ে থাকে
অন্ধকারে মাথা গুঁজে দিয়ে,
গলিত বরফের মতো হিমশীতল প্রদাহে,
চিরদিনের শান্তি নিয়ে ঘুমায় তারা,
কোন দিন আর জেগে ওঠা হবেনা জেনে।
বোধহীন, জ্ঞানহীন প্রাণী নই,
আমি একজন মানুষ,
তবু কেন অন্ধকারেই খুঁজে ফেরা এই আমাকে ?
যখন মাটির সকল কান্না মাটি নিয়েছে বুঝে,
ধানের শীষে লেগেছে সোনালী রং,
আমি তখন বুঝতে পেরেছি জীবনের যত ঢং।
মৃত্যুর মায়া জাগে;
যাপিত জীবনের ক্লান্তির অনুরাগে,
আমি তাকে কিছুতেই পারিনা এড়াতে।
গোধূলি অস্তগামী হলে পরে
যখন আমার কফির মগে বিষবাষ্প উড়তে থাকে,
আমি তখন টের পাই
হৃদপিণ্ডের প্রতিটি গরম অনুভূতিগুলো;
কফির প্রতিটি চুমুকে।
আজ এত বছর যুদ্ধ করে যে জেনেছে তার রণকৌশলই ছিলো ভুল,
তাকে আর কি সভ্যতা চেনাবে ?
জানি আমার সভ্যতার মতো তোমাদের সভ্যতাগুলো নয়,
আমার সভ্যতাটি বড্ড বেশী আনাড়ি হাতে গড়ে তোলা ।
মৃত্যুরা খুশি হয়, আনন্দিত হয়;
আমিতো পারিনা মৃত্যুকে ভালোবাসতে,
আমি ওই পথের ক্লান্তি নিয়ে
মৃত্যুর সাধ খুঁজে মেঘ কিনে নেবো;
ঝরবো বৃষ্টি হয়ে তোমাদেরই উন্মাদনায়,
তোমরা তখন না হয় আমাকে একটু ছুঁয়ে দেখো।