হাসমু না কানমু বুঝবার পারতাছি না। আমাগো এলাকায় মাইকে গান চলতাছে মুন্নি বদনাম হুয়ি জানেমান তেরে লিয়ে। শেষ মুসিবতের মরার লগে মুন্নির বদনামের সম্পর্ক কি হেইডা আমার এন্টেনায় ধরা পড়তাছে না। কেউ বুইজ্জা থাকলে আমার কাশফের মধ্যে খোচা দিয়েন। ইদানিং আমার কাশফ খুব জ্বালাতালা করতাছে। কি সব আজে বাজে খবর পাই। স্টেটাস নিয়া এখন বড় বিপদে আছি। কি থেকে কি বইলা আবার কারে শত্রু বানাই বুঝতে পারতাছি না।
একখান ঘটনা কই, ...কেউরে কইয়েন না বড় সিক্রেট নিউজ চ্যানেল থেইক্যা লইছি।
আমাগো কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নাম হচ্ছে...না থাক নাম কইয়া গিবত করুম না, হের আব্বা আবার তবলীগের চিল্লার সাথী, মসজিদের প্রতি সপ্তায় গ্রাস্ত করে। হেই নেতাও এক চিল্লা দিয়া আইছে। মাশায়াল্লাহ পায়জামা পাঞ্জাবী পইরা মুখে দাড়িও রাখছে। পাক্কা ঈমানদার হওনের লক্ষন দেখা গেছিল। তয় এই বার তার বাবায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচন কইরা কয়েক লাখ ট্যাকা ধরা খাইছে। পোলাডা চিল্লা দিলে কি হইবো বাবারে জাহান্ন কমিটির সভাপতি বানানোর জন্য জীবনটা দিয়া ফালাছিল, এহন আবার শেষ মুসিবতের পবিত্র ওফাত দিবসের আলোচনা মাহফিল আর মাইকের কির্তন পরিবেশনে কোন ত্রুটি রাখেন নাই। এহন দিব মনির (প্রজাপতি মন্ত্রী) প্রশংসা কইরা বিলবোর্ডের মইধ্যে নিজের ছবিও দিছে। তবলিগে গেলে মানুষ ঈমান আর আমল শিখে হুনছিলাম, তয় ঈমান যে কি শিখাইছে হেইডাতো বুঝতেই পারছেন। আমলের দিকে মাশায়াল্লাহ পুরা সেকুল্যার রইয়া গেছে। আমাগো তবলিগের এক বড় ভাইরে কইলাম হের কতা। ভাইজান কয় আল্লাহ যদি হেদায়েত না দেয় তয় কি করার আছে। আমরা তো কেবল বয়ান করতে পারি, কাউরে হেদায়েত দিতে পারিনা। নবীজি আপন চাচারে মুসলমান বানাইতে পারেন নাই।
আমি কইলাম হেদায়েত কি জিনিস হেইডার বয়ান কি হেই চল্লিশ দিনে হুনছে নি একবারও। আপনারা যে হেদায়েত দিছেন বেচারা তাই নিয়া খুশিতে গদ গদ। আমারে দেইখা কয় চাচা, এসব জমত শিবির মওদূদীর দল ছাড়েন। সময় লাগান। মজা পাইবেন। দ্বীনের বুঝ পাইবেন। আমি কইলাম, ভাতিজা, কিছু শিকছো আর না শিকছো মওদূদীর নামটা যে শিখছো তাতেই আমি খুশি। আল্লাহ তোমারে হেদায়েত নসিব করুক। তা ভাতিজা কি ধ্বর্ষন লীগ ছাইরা দিছো নাকি এহনো আছো। ভাতিজা কয়, আপনারা ধর্মের সাথে রাজনিতী জড়াইয়া ব্যবসা করেন, আমরা তবলীগ আর আওয়ামী লীগ হেইডা করিনা। আমরা আখেরাত নিয়া আছি। আমি কইলাম হ, আওয়ামী লীগ আখের নিয়াই আছে। তুমিও থাকো।
বড় ভাই কয় হাচানী, এমন কথা কইছে। আমি কইলাম, তয় আমি কি ইয়ার্কি করতাছি। আপনারা তারে যা কিছু শিখাইছেন বেচারা হেই বয়ানই করতাছে। আপনারা তো নামাজ শিখান আর দস্তরখান বিছান, পাঞ্জাবী পড়ান আর দাড়ির মোহাব্বাত বাড়ান। একরামুল মুসলিমিনের সবক দিয়া সেকুল্যার ফাসেক গো সম্মান করন শিখান। এই সব নবী সাহাবারা করছিল কোন দিন। মাথা নিচু কইরা হাটেন, আর আশে পাশে কে কি করে খবর রাহেন না, এইডা কি সাহাবাদের আমল আছিল। আল্লাহর নবী কয় যে, ব্যক্তি কোন অন্যায় দেইখ্যা চুপ থায়ে হেইডা অইল বোবা শয়তান। আপনারা তো শুধু চুপই থাহেন না, লগে চোখ কানও বন্ধ কইরা হাটার তালিম দেন। কুফরের পরিচয় না দিয়া দিলে হেই বেডা তো এমন করবই। আসল ঈমানের পরিচয় না দিয়া কেবল নামাজের বয়ান কোন ধরনের নবীর কাজ আল্লাহ মালূম।
আমর কথায় আবার রাগ কইরেন না। অন্তরে আঘাত লাগতাছে তাই কইতাছ্।ি আপনাগো চেহারা দেখলে মায়া লাগে, কিন্তু আকিদা বিশ্বাশের বয়ান হুনলে ভয় লাগে। আল্লাহর দ্বীনের হাজারো হুকুমরে কেবল ছয়খান তাবিজের মইধ্যে ডুকাইয়া দিয়া মহা ঔষধের মিকচার বানাইছেন যাহা খাওয়নের পরে বেবাক রোগ আমনা আমনি সাইরা যায়। কিন্তু পড়ে দেহা যায় রোগ আরো বড় অইছে। আপনেগো আমাগো মতন দল করতে কইতাছি না। ঈমানের দাবি কি হেইডাও যদি না বুঝে তাইলে তারে চিল্লায় নিয়া চিল্লা চিল্লি শিখায়া কি লাভ হইলো। তার ঈমানই শেখা হয় নাই।
শেষ মসিবতেরে যে নিজের জাতির পিতা মানে, হেয় সরাসরি কোরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে বিধায় কাফের হইয়া যায়। আর যদি কন মুসলিম না বাঙ্গালী জাতির পিতা মানে তাইলে হেইডাও চরম মিছা কতারে ভাই। আমরা বাঙ্গালী আছিলাম কবে। বাংলা কি একাত্তরে জন্ম নিছে নাকি আগেও আছিল। মিছা কতা যদি কবিই, একটু শুদ্ধ কইরা কইতে পারোচ না। সব কিছুরে রাজনীতি আর জামায়াত দিয়া ভাবনের বদ অভ্যাস বাদ দেন। কোরআন হাদিসের কথার লগে যদি জামায়াত শিবির বা অন্যকোন ইসলামী দলের কথার মিল পাওয়া যায় তাইলে খামাখা অহংকার না দেখাইয়া সমর্থন করেন। ফাইজলামী কইরা তাগো বিরুদ্ধে বয়ান করেন কেন।
মিছিল মিটিং করে দেইখ্যা হেগো আমল আখলাক ভালো মনে হয় না। মিছিল কি আপনাগো বিরুদ্ধে করছে যে, আপনাগো এলার্জি বাইরা গেছেগা। চুলকাইতে চুলকাইতে তো সর্বনাশ কইরা ফালাইছেন। এইবার একটু খ্যান্ত দেন। আমাগো বদনাম করার লাইগা শাহবাগের বিরানী আর মাইয়া লইয়া জিরানী (বিশ্রাম) চত্তর আছে। কোন দুখে আপনারাও হেগো কাতারে যোগ দেন।
বড় ভাই কোন জবাব না দিয়া উইঠা গেছেগা। মনে হয় আমার কথায় কষ্ট পাইছে। আরামের কথা কইলে হয়তো আরো কিছু ক্ষন তাশকিল করতো। কিন্ত এইহানে হইল বিপ্লবী কথা বার্তা। পছন্দ হয়নাই।
দুঃখ লাগে কি জানেন, আমাগো জেলার মারকাজের আমির সাহেবের ছেলে হলেন শিবিরের সাবেক সাথী প্রার্থী বর্তমানে জামায়াতের একনিষ্ট কর্মী। হেয় রমজানে আমার বাড়ি আইছিল। কথায় কথায় জিগাইলাম আপনার আব্বায় হেফাজত নিয়া কি চিন্তা করে। হেতে কয়, আরে ভাই আমনে কার কথা কন। আমার আব্বায় কয় হেফাজতের নেতারা নাকি ভন্ডামী শুরু করছে। ধর্মটারে বিতর্কিত করতাছে। আমি তো টাস্কিত খাইয়া গেলাম। কি কন, আপনার আব্বায় এইসব কয়। বেচারা কয় বাদ দেন হেগো কথা। আমার শরম লাগে আমার বাজানের মন্তব্য অন্যের কাছে কইতে। এটুকে বুঝলাম তেনারা কি চিজ।