আরিফ ।।
প্রথম যেদিন শুনলাম ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক বাংলাদেশ, কতটা খুশি হয়েছিলাম বলে বোঝাতে পারবনা। আমার দেশে হবে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ!! মাঠে গিয়ে খেলা দেখব বিশ্বকাপের ম্যাচ! নানা দেশ থেকে দর্শকেরা আসবে আমাদের দেশে খেলা দেখতে। সারা বিশ্ব জানবে বাংলাদেশের নাম।
কিছুদিন পর যখন জানলাম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বাংলাদেশেই তখন আনন্দের সীমা রইলো না। এবার আমার দেশেই দেখব সরাসরি! ভাবতেই লাফিয়ে উঠছিলাম কিছুক্ষণ পর পর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সারা বিশ্ব দেখবে বাংলাদেশ শুধু দারিদ্রতার দেশ নয়, শুধু বন্যা-ঘূর্নিঝড়ের দেশ নয়। বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। নিজস্য ঐতিহ্য। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বাংলাদেশের আছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন যেখানে আছে বিরল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বাংলাদেশের আছে আদিবাসীদের বৈচিত্রময় অনন্য সুন্দর ঐতিহ্য। হাজারো রঙের ছটায় বর্ণিল আমার এই দেশকে নতুনভাবে দেখবে সারা বিশ্ব । সারা বিশ্বের মানুষ এবারই প্রথম দেখবে বাংলাদেশের মাটি চোখ ধাধানো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
কিন্তু বিধাতার মনে হয় আমার সুখ সহ্য হলো না। আমি টানা ৩০ ঘণ্টা দাড়ানো পরও বিশ্বকাপের সোনার হরিণ বলে আখ্যায়িত করা টিকিটটি শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলাম। বিশ্বকাপ দেখার সুবর্ণ সুযোগ থাকা সত্বেও আমি বিশ্বকাপ দেখতে পারবনা।
বিশ্বকাপের আরেকটি দু:খের কথা হলো। আমাদের প্রিয় নরাইলের সন্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংদেশে প্রথম আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করার পথটা অনেকটা অনিশ্চিত। তবু আমরা একটা আশার আলো দেখতে পাই তিনি আগামীকাল শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত ফিজিওথেরাপি করতে যাবে । সেখানে তাকে শারীরিক ফিটনেস বলে আক্ষায়িত করলে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেতে পারেন ।