এনার্জি ড্রিংকস-এর হাত ধরেই তরুনরা নেশার জগতে প্রবেশ করছে। ভয়ঙ্কর এই তথ্য দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাদের মতে, এ পানীয় দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মস্তিস্ক বিকৃতির কারন হতে পারে।
চরম ক্ষতি করতে পারে গর্ভবতী মা ও সন্তানের। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর জানিয়েছে, কম পরিচিত তিনটি ব্রান্ডের এনার্জি ড্রিংকস পরীক্ষা করে তারা ভয়াবহ মাদক আফিম পেয়েছেন। এনার্জি ড্রিংকস নিয়ে কেন এই উন্মাদনা। কারন তরুনরা এর ক্ষতিকর দিক না জানলেও ভেতরের খবর তাদের জানা আছে।
তরুনদের আগ্রহ আর বিসিএসআইয়ের ল্যাবরেটরী রিপোর্ট নিয়ে মুখোমুখি দেশের খ্যাতিমান বিশেষেজ্ঞ চিকিৎসকদের। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. গোলাম রাব্বানি এনার্জি ড্রিংকস-এ অ্যালকোহলের উপস্থিতিকে ভয়ংকর বললেন। তার মতে, এনাজিং ড্রিংকস এর হাত ধরেই মূল নেশার জগতে ঢুকছে তরুন সমাজ।
এনার্জি ড্রিংকস-এর ক্যাফেইন দীর্ঘ মেয়াদে মানব দেহের ক্ষতি করে। একইভাবে ক্ষতি হবে গর্ভবতী মা এবং শিশুর। এনার্জি ড্রিংকস উৎপাদনকারীরা সরাসরি লাইসেন্সের শর্ত ভাঙ্গছেন বলে জানালেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ।
এনার্জি ড্রিংকস-এ ব্যবহৃত টরেইনের ক্ষতিকর দিকগুলো জানালেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু ।
তবে এসব মানতে নারাজ এনার্জি ড্রিংকস প্রস্তুতকারীরা। তাদের কথা যেকোন জিনিসই বেশী খেলে শরীরের ক্ষতি হয়।
বিএসটিআইয়ের অনুমেদিত এনার্জি ড্রিংকস-এর যেখানে এই অবস্থা সেখানে নকল, অবৈধ এনার্জি ড্রিংকস এ বাজায় ছেয়ে যাচেছ। বিদেশ থেকেও আসছে নানা পথে।
আর ম্যানপাওয়ার, ভিগোভি এবং পাওয়ার ফিলিংস নামে তিনটি এনার্জি ড্রিংকস পরীক্ষা করে ভয়াবহ মাদক আফিম পেয়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতর। তারা বিএসটিআইএর লাসসেন্সের শর্ত ভেঙ্গে এনার্জি ড্রিংকস এর নামে বাজারে ছাড়ছিল মাদক।
তাই এনার্জি ড্রিংস নামে যা বাজারে ছাড়া হচ্ছে তা নিয়ে এখনই তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা।
মুলখবর: Click This Link