আদিকাল থেকেই মানুষ সপ্ন দেখে আসছে পাখির মত উড়তে পারার।দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় পেরেছেও ,তবে নিজে পাখি হয়ে নয়-নিজের বানানো পাখির উপর ভর করে। হ্যা আমি বিমানের কথাই বলছি।বিমানের সর্বাধিক গুরুত্ত পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে হলেও এর আরেকটি প্রয়োগ আছে যা খুব ই জনপ্রিয়।সেটা হল জয় রাইড ফ্লাইট। পর্যটনের অংশ হিসেবে শুধুমাত্র উড়ন্ত অবস্থায় কোন স্পটের দৃশ্য দেখা-যাতে করে উপর থেকে সেই দর্শনীয় বস্তুটিকে একসাথে সম্পূর্ণভাবে দেখা যায়।
উন্নত দেশের পর্যটনে অংশ হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বেশি লক্ষ্য করা যায়।কারন তাদের দেশে এই সার্ভিস সহজলভ্য আর সামর্থের আওতায়।ক্ষেত্রবিশেষে ১০০ ডলারের আশেপাশে একটি রাইড পাওয়া যায়।আমাদের দেশে এখনো এর সুযোগ নেই বললেই চলে।
দেখে নেই এই বিশেষ এয়ারক্রাফট রাইডের কিছু ছবি-
দুবাই-
সিডনি
হংকং
সিঙ্গাপুর
এবার মিশরের বিখ্যাত পিরামিড
চায়নার প্রাচীর
ভিক্টরিয়া ফলস,আফ্রিকা ফ্রম হেলি কপ্টার
আফ্রিকার ওয়াইল্ড লাইফ পার্ক
সবশেষে আমাদের বাংলাদেশ...সবুজ শ্যামল
বাংলাদেশে অর্থনীতির অগ্রসরতার সাথে সাথে পর্যটনের প্রসার বাড়ছে দ্রুত,যার অন্যতম লক্ষন বাংলাদেশের একের পর এক বানিজ্যিক বিমানসংস্থার আবির্ভাব আর ব্যাবসায়িক প্রবৃদ্ধি। সেদিন খুব দূরে নয় যখন এইসব বিমানসংস্থা আর পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে এদেশেও শুরু করবে বিনোদনমূলক ফ্লাইট সার্ভিস।তখন হাজার খানেক টাকা খরচ করে আমাদের দেশেও ভ্রমনপিপাসুরা পাখির চোখে দেখতে পারবে কক্সবাজারের সৈকত ,কাপ্তাইয়ের খরস্রোত,সবুজ জাফলং বা সুন্দরবনের প্রকৃ্তির মাঝে হরিনের ছোটাছুটি।