সকালের নাস্তায় পাউরুটির সাথে মেয়োনেজ ছোট বড় সবারই প্রিয়।কারন এতে মিষ্টি কম আর পুষ্টিও আছে।কিন্তু সামান্য এক বোতল মেয়ো এর দাম কিন্তু অনেক।ভাল করে খেলে বেশি দিন চলেও না।তাই খুব সহজেই আমরা বানাতে পারি হোম মেড মেয়োনেজ।আমি হঠাত একদিন কোউতুহল বশত বানাতে চেষ্টা করলাম,বানিয়ে আমি নিজেই আশ্চর্য!!! আন-এক্সপেক্টেডলি গুড। যাই হোক এবার আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেয়োনেজের রেসিপি।তবে আমি নিজে বানাবার সময় যেহেতু ছবি তুলতে পারিনি তাই ইন্টারনেট থেকে কপি করে দিয়েছি। আর হ্যা রান্না শেখার দুইটা পার্ট আছে।
১।রান্নার আসল রেসিপি যেমন উপকরন,প্রনালী।
২।কিছু মিসটেকিং টিপস অর্থাৎ শিখে আসার পর কিছু কমন জিনিস সবার ভুল হয় সেগুলা।
যন্ত্রপাতিঃ ব্লেন্ডার বা এগ বিটার দুইটাতেই হয়।
কিন্তু আমার কাছে ব্লেন্ডার বেশি সুবিধাজনক মনে হয়েছে।
যদি দুইটাই না থাকে তবে হ্যান্ড মিক্সার ও চলবে।
উপকরনঃ
১।ডিম ১টা,
২। ভেজিটেবল ওয়েল ১কাপ(এর মধ্যে ১ টে চামচ সরিষার তেল হবে),
৩।লবন- ১/৪ চাঃ চামচ,
৪।চিনি-১/৪ চাঃচামচ,
৫।সাদা সরিষার গুড়া-১/২ চাঃ চামচ,
৬।ভিনেগার বা লেবুর রস-২ টেঃ চামচ,
৭।গোল মরিচ গুরা-১/২ চাঃচামচ,
প্রথমে একটা বাটি (যদি মিক্সার এ কাজ করি) বা ব্লেন্ডারের জগ( যদি ব্লেন্ডারে কাজ করি)নিয়ে তাতে শুধু তেল বাদে বাকি সব উপকরন ঢালি।
তেল দেয়া যাবেনা।এরপর মেশিন চালু করে তাতে ফোটায় ফোটায় তেল ঢালি,বা আধা চা চামচ করে তেল ঢালি। ভুলেও একবারে তেল ঢালা যাবেনা তাহলে মেয়োনেজ শেষ।
দরকার হলে এটি দিয়ে ঢালতে পারেন।
এভাবে ৭-৮ মিনিট ধরে ব্লেন্ডারে একটু একটু করে তেল ঢালতে থাকি।এভাবেই তৈরী হয়ে যাবে মেয়োনেজ।আর হ্যা,মেয়োনেজ বানানোর সাথে সাথে যদি দেখেন তাহলে দেখা যায় মেয়ো টলটল করছে।কোণ ব্যাপার না,সঙ্গে সঙ্গে দেখলে এমনই লাগে,১০ মিনিট পর দেখুন জমে গেছে।
অবশ্যই তেলের পরিমান কমাবেন না,অনেকে মেয়ো ঘণ হয়না দেখে তেলের পরিমান কমায় ।মনে করে পানি কম দিলে যেমন সস ঘন হয় তেমনি তেল কম দিলে মেয়ো ঘন হবে।এ ধারনা সম্পূর্ন ভুল।বস্তুত মেয়োনেজের ডিমটাকে ঘণ করে তেল।আর একটি ডীমের তেল ধারণ ক্ষমতা ১থেকে পৌনে ১ কাপ তেল।
এই মেয়োনেজ অবশ্যই ফ্রীজে রাখতে হবে।
এতে একটু চীজ দিয়েও দেখতে পারেন।
নেক্সট টাইম আসব আরেকটি রেসিপি নিয়ে। বানিয়ে বলবেন কেমন হল।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮